দেশজুড়ে

ত্রাণসামগ্রী, টিসিবির পণ্য বিতরণ ও হাট- বাজারেও ভিড় : করোনা ঝুঁকি বাড়ছে

  প্রতিনিধি ১৭ এপ্রিল ২০২০ , ৮:৩২:১৯ প্রিন্ট সংস্করণ

চাটমোহর (পাবনা) প্রতিনিধি : ত্রাণের দাবিতে বৃহস্পতিবার শতাধিক মানুষ জড়ো হয় চাটমোহর উপজেলার মথুরাপুর ইউনিয়ন পরিষদ চত্বরে। ত্রাণের জন্য তারা বিক্ষোভ করেন। একই দিন নিমাইচড়া ইউনিয়নের গৌরিপুর পালপাড়ায় ত্রাণের জন্য আসেন শতাধিক নারী-পুরুষ। ত্রাণের জন্য এ রকম ভিড় করা হচ্ছে সব স্থানেই। অন্যদিকে উপজেলার বিভিন্ন এলাকার হাট-বাজারে ক্রেতা-বিক্রেতারা সামাজিক দূরত্ব না মেনে পণ্যসামগ্রী বেচাকেনা করছেন। বাজারগুলোতে ভিড় কমছে না। মানা হচ্ছে না সামাজিক দূরত্ব। উপজেলার কয়েকটি হাটে রাতের বেলা বেচাকেনা শুরু করা হচ্ছে। কোথাও সামাজিক দূরত্ব মানা হচ্ছে না। ফলে করোনা ভাইরাস সংক্রমণের ঝুঁকি বাড়ছে।
মথুরাপুর ইউপি চেয়ারম্যান সরদার আজিজুল হক বললেন,চাহিদার তুলনায় ত্রাণের পরিমাণ কম। পর্যায়ক্রমে সবাইকে দেওয়া হবে। তালিকা করা হচ্ছে। কর্মহীন দরিদ্র মানুষ ত্রাণের জন্য আসছে,আমরাও সহায়তার আপ্রাণ চেষ্টা করছি। নিমাইচড়া ইউনিয়নের গৌরিপুর পালপাড়ায় সবাইকে ত্রাণ পৌঁছে দেওয়ার প্রতিশ্রæতি দিলেন উপজেলা চেয়ারম্যান আলহাজ আ. হামিদ মাস্টার। 
উপজেলা ছাইকোলা, হরিপুর, পৌর শহরের নতুন বাজার হাটসহ লকডাউনকৃত গ্রাম কাটাখাখীতেও রাতের বেলা হাট বসানো হয়েছিলো। হরিপুর ইউপি চেয়ারম্যান ও ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক মকবুল হোেেসন নির্দেশে বৃহস্পতিবার রাতে হরিপুর হাট বসানো হয়। করোনা ভাইরাস প্রতিরোধে উপজেলা প্রশাসনের বিভিন্ন পদক্ষেপ ও নির্দেশনা উপেক্ষা করে এক শ্রেণীর সুবিধাবাদী ব্যক্তিদের ইন্ধনে এসকল হাট রাতে বসানো হচ্ছে বলে জানা গেছে। ইতোমধ্যে চাটমোহর উপজেলাকে লকডাউন করে দেওয়া হয়েছে। যানবাহন চলাচল নিষিদ্ধ করা হলেও গতকাল শুক্রবার রিক্সাভ্যান,অটোভ্যান চলতে দেখা গেছে। মোটর সাইকেল দাপিয়েছে সবখানে। 
উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা সরকার মোহাম্মদ রায়হান সর্বশেষ পরিস্থিতি সম্পর্কে জানান, উপজেলাকে লকডাউন করা হয়েছে। জরুরী সেবা ছাড়া সব কিছু নিয়ন্ত্রণ করা হয়েছে। করোনা সংক্রমণ এড়াতে সরকারি সকল নির্দেশনা বাস্তবায়ন করা হচ্ছে। সবাইকে ঘরে থাকতে হবে। আইন অমান্যকারীকে কোন ছাড় দেওয়া হবে না।
সচেতন ব্যক্তিদের অভিমত,ঝুঁকি এড়াতে বাড়ি বাড়ি গিয়ে ত্রাণ সামগ্রী পৌঁছে দেওয়া বা অন্য কোন ব্যবস্থা করা উচিত। যাতে স্বাস্থ্য বিধি নিশ্চিত য়। কারণ অধিকাংশ ক্ষেত্রে ত্রাণ বিতরণের সময় জনসমাগমের ফলে করোনা সংক্রমণের ঝুঁকি বেড়ে যাচ্ছে। এজন্য দ্রæত সময়ের মধ্যে দিনমজুর ও নি¤œমধ্যবিত্ত কর্মহীন মানুষের তালিকা তৈরি করে বাড়ি বাড়ি খাবার পৌঁছে দেওয়া জরুরী।
 

আরও খবর

Sponsered content

Powered by