বাংলাদেশ

দলীয় কার্যালয়ের সামনে জটলা আচরণবিধি লঙ্ঘন নয়: ইসি আলমগীর

  প্রতিনিধি ২২ নভেম্বর ২০২৩ , ৩:২৯:২২ প্রিন্ট সংস্করণ

দলীয় কার্যালয়ের সামনে জটলা আচরণবিধি লঙ্ঘন নয়: ইসি আলমগীর

দলীয় মনোনয়নপত্র কিনতে গিয়ে রাজনৈতিক দলের কার্যালয়ের সামনে জটলা তৈরি হলে তা আচরণবিধি লঙ্ঘনের মধ্যে পড়ে না। তবে এমন জটলা রিটার্নিং অফিসারের কার্যালয়ে হলে সেটা আচরণবিধির মধ্যে পড়বে (আচরণবিধি লঙ্ঘন হবে) বলে জানিয়েছেন নির্বাচন কমিশনার মো. আলমগীর।

বুধবার (২২ নভেম্বর) নির্বাচন ভবনের নিজ কার্যালয়ে এক সংবাদ সম্মেলনে এসব কথা বলেন তিনি।

ইসি আলমগীর বলেন, ‘আচরণবিধিতে যা বলা আছে তাই হবে। তবে আপনাদের বুঝতে হবে আচরণবিধিতে সবগুলো নিষিদ্ধ নয়। এছাড়া পত্র-পত্রিকায় বলেছে, বিশেষ করে মনোনয়নপত্র কেনার সময় বিভিন্ন পার্টির অফিসের সামনে জটলা- সেটা আমাদের আচরণবিধির মধ্যে পড়ে না। তবে আমাদের রিটার্নিং অফিসারের (কার্যালয়ের) সামনে করলে এটা (আচরণবিধি লঙ্ঘন) হতো।’

তিনি বলেন, ‘এটা হলো তাদের পার্টির অফিস। অফিসের ভেতরে তাদের রাজনৈতিক কাজ কী করলো না করলো এটা তাদের বিষয়, তাদের অধিকার আছে। তবে এটা নিয়ে বক্তব্য নেই। পার্টি অফিসের ভেতরের কার্যক্রম আচরণবিধির মধ্যে পড়ে না। তবে যদি রিটার্নিং অফিসারের সামনে এটা হলে আচরণবিধির মধ্যে পড়বে।’

ইসি আলমগীর আরও বলেন, ‘গাড়ি ও মোটরসাইকেল শোডাউন ও মিটিং-মিছিল করতে পারবে না। মনোনয়নপত্র কিনলে উল্লাস তো করবেই। অফিসে আনন্দ উল্লাস করতে পারবে। এখন সুনির্দিষ্টভাবে কিন্তু কারোর জন্য ভোট চাচ্ছে না। যেহেতু এখন কোনো প্রার্থী নেই, সুতরাং তারা দলের জন্য ভোট চাইছে, কোনো নির্দিষ্ট কারও পক্ষে তো ভোট চাইছে না। যেহেতু বাংলাদেশে রাজনৈতিক দলগুলো নিবন্ধিত, তাদের প্রতীক তো সুনির্দিষ্ট। সুনির্দিষ্ট প্রার্থী ও মার্কায় ভোট চাইলে হতো। এখন তো সবাই ওপেন ভোট চাইছে। সেটা কারও পক্ষে চাচ্ছে না। প্রার্থী হওয়ার পরে এটা করা যাবে না।’

বিদেশি পর্যবেক্ষক প্রসঙ্গে ইসি আলমগীর বলেন, ‘এখানে ধারণা হয়ে থাকে খরচ আমরা বহন করবো। এটা কিছুটা ভুল কিছুটা সঠিক। নির্বাচন কমিশনগুলোকে বিশেষ করে ফ্যামবুসা, ওআইসি ও অন্য দেশের কমিশনকে দাওয়াত করেছি, তাদের লোকাল হসপিটালিটি দেবো, তবে বিমান ভাড়া দেবো না। লোকাল খরচ বলতে হোটেল ভাড়া, যাতায়াত ও খাওয়ার খরচ দেওয়া হবে। তবে যারা সাংবাদিক তারা নিজের খরচে আসবেন। এটা একটা ট্রেডিশন হিসেবে হয়ে আসছে। আমরাও যাই। কিছুদিন আগে ভারতের একটা নির্বাচনে আমাদের দাওয়াত দিয়েছিল, আমরা গিয়েছিলাম। এটা একটা মিউচ্যুয়াল এক্সচেঞ্জ। এটা পৃথিবীর সব দেশে হয়ে আসছে।’

আরও খবর

Sponsered content

Powered by