ধুনট (বগুড়া) প্রতিনিধি:

কলেজের একাডেমিক ভবনের সামনে আধুনিক মানের শহীদ মিনারটি নির্মাণ করা হয়েছে। জাতীয় দিবস গুলোতে শহীদ মিনারে পুস্পস্তবক অর্পনের মধ্যদিয়ে শহীদদের শ্রদ্ধা নিবেদন করা হয়।

কিন্তু বগুড়ার ধুনট উপজেলার জিএমসি ডিগ্রী কলেজের শহীদ মিনারটি বর্তমানে অমর্যাদার শিকার। শনিবার সরেজমিনে দেখা যায় মূল বেদিতে ছড়িয়ে-ছিটিয়ে পড়ে আছে সিগারেটের উচ্ছিষ্ট অংশ, খড়কুটো, ময়লা-আবর্জনা, গবাদিপশুর মলমূত্র। নোংরা পরিবেশ। বেদির উপর বেঁধে রাখা হয়েছে ছাগল।

জাতীয় দিবসগুলোর দুই এক দিন পূর্বে শহীদ মিনার প্রাঙ্গন পরিষ্কার পরিচ্ছন্ন করলেও বাকি দিনগুলো অযত্মে-অবহেলায় পড়ে থাকে।

শিক্ষা প্রতিষ্ঠান পাঠদান চালু থাকলে শহীদ মিনারের মর্যাদা রক্ষা হয়। কিন্ত প্রতিষ্ঠান বন্ধের দিন একেবারেই অরক্ষিত থাকে শহীদ মিনার চত্বরটি। এই চত্বরটি গরু-ছাগলের চারণ ভ‚মিতে পরিণত হয়। স্থানীয় বাসিন্দারা শহীদ মিনারের সাথে গরু-ছাগল বেঁধে রেখে খাবার খাওয়ায়। করোনা দূর্যোগের কারণে শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে পাঠদান বন্ধ থাকায় শহীদ মিনারের মর্যাদা ক্ষুন্ন হচ্ছে।

এ বিষয়ে শহীদ মুক্তিযোদ্ধার সন্তান কলাম লেখক রেজাউল হক মিন্টু বলেন, দেশে যত আন্দোলন হয়েছে, সব কিছুর সূতিকাগার হলো ভাষা আন্দোলন। ভাষা আন্দোলনে যারা শহীদ হয়েছেন, তাদের স্মরণেই এ শহীদ মিনার। শহীদ মিনারটি যেভাবে মর্যাদাহীন হচ্ছে এর চেয়ে বড় দুঃখ আর কিছুই হতে পারে না।

ধুনট উপজেলার জিএমসি ডিগ্রী কলেজের অধ্যক্ষ ড. মীর আবুল কাসেম বলেন, শহীদ মিনারটি সব সময় সুরক্ষিত রাখা হয়। প্রতিষ্ঠান বন্ধ থাকলে তদারকির অভাবে একটু সমস্যার সৃষ্টি হয়। তারপরও কেন এ ধরণের ঘটনা ঘটেছে তা খতিয়ে দেখে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে।