রাজশাহী

নন্দীগ্রামের নাগর নদ এখন মরা খাল

  প্রতিনিধি ১৫ মার্চ ২০২১ , ৭:১২:৪৮ প্রিন্ট সংস্করণ

নন্দীগ্রাম (বগুড়া) :

বগুড়ার নন্দীগ্রাম উপজেলার ভাটরা ইউনিয়নের নাগর নদে পানি না থাকায় নাব্য হারাচ্ছে। এক দিকে নাগর নদে গভীর করে মাটি কাটা ও বালু উত্তোলন এবং আবার নদীর দুই ধার দিয়ে অনেকেই কৃষি আবাদ করেছে। যার ফলে নদে হারাতে বসেছে তাঁর প্রকৃত রূপ।

এক সময় পানিতে থৈ থৈ করতো নাগর নদ। পানি না থাকায় শুকিয়ে মরছে নদ। যৌবন হারিয়ে এখন মরা খালে পরিণত হয়েছে। হারিয়ে যাচ্ছে প্রাকৃতিক সৌন্দর্য, পরিবেশের হচ্ছে মৃত্যু। এ নিয়ে যেন কারও মাথাব্যথা নেই। কালের আবর্তনে নদের ঐতিহ্য এখন হারিয়ে যাচ্ছে।

উপজেলার সদর থেকে প্রায় ১৫ কিলোমিটার পশ্চিমপ্রান্তে ভাটরা ইউনিয়নের নাগরকান্দি গ্রামের বুকচিরে অবস্থিত নাগর নদ।

এই নদ বগুড়া জেলার শিবগঞ্জ উপজেলার প্রবহমান করতোয়া (নীলফামারী) নদী থেকে উৎপন্ন হয়ে নাটোরের সিংড়া নদী দিয়ে প্রবাহিত হয়ে নওগাঁর আত্রাই নদীর জলধারায় সম্পৃক্ত।

নাগরকান্দি গ্রামের সোলাইমান আলী বলেন, এক সময় এই নদ-নালা, খাল-বিল, শাখা-প্রশাখা গুলো থেকে প্রচুর পরিমাণে বোয়াল, গজার, মাগুর, কৈসহ দেশীয় প্রজাতির মাছ পাওয়া যেত। এখন পানির অভাবে মাছ তো দূরের কথা নদই ‘মরা গাঙে’ পরিণত হওয়ার পথে।

তাই নাগর নদ খনন করে নাব্যতা ফিরে আনার দাবি জানান তিনি। মোক্কাবেল, মিন্টুসহ কয়েকজন জেলে জানান, আগে এই নদে অনেক মাছ পাওয়া যেত। সেই মাছ বিক্রি করে জীবিকা নির্বাহ করতাম। এখন পানির অভাবে মাছও পাওয়া যায়না।

বগুড়ার পানি উন্নয়ন বোর্ডের নির্বাহী প্রকৌশলী মাহবুবুর রহমান জানান, তিনটি জেলা নিয়ে নাগর নদ প্রবাহিত হয়েছে। ইতিমধ্যে নাগর নদের নাব্যতা ফিরিয়ে আনতে জরিপকাজ চলছে। এই জরিপ শেষ হলেই তিন জেলা সবন্বয় করে কাজ বাস্তবায়ন হলে নদ তার পূর্বের অবস্থা ফিরে পাবে। সেই সঙ্গে পানির সঠিক ব্যবস্থাপনা ও রক্ষণাবেক্ষণে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ নিয়ে কৃষিক্ষেত্রে সেচ সুবিধা অব্যাহত রাখা সম্ভব হবে।

 

 

Powered by