বাংলাদেশ

নিম্নে ৫০০০ টাকা রাখার সিদ্ধান্ত পরিবর্তন ডিবিবিএল’র

  প্রতিনিধি ৮ ফেব্রুয়ারি ২০২১ , ৬:৪৯:১৫ প্রিন্ট সংস্করণ

ভোরের দর্পণ ডেস্ক:

অবশেষে অ্যাকাউন্টে নিম্নে ৫০০০ টাকা রাখার নতুন শর্ত থেকে সরে আসলো ডাচ-বাংলা ব্যাংক লিমিটেড। এতে প্রায় ৬০ লাখ গ্রাহককে আর ভোগান্তি পোহাতে হবে না। ব্যাংকের সব নীতিমালা আগের নিয়মেই চলবে বলে জানান ব্যাংক কর্তৃপক্ষ।

শহর থেকে প্রান্তিক পর্যায়ে সেবার ক্ষেত্রে বহুল জনপ্রিয় ডাচ-বাংলা ব্যাংক। সবচেয়ে বেশি জনপ্রিয়তা লাভ করে শহর থেকে প্রান্তিক বন্দরসহ হাতের নাগালে এটিএম বুথের মাধ্যমে সেবা দেয়ায়। বর্তমানে ব্যাংকটিকে স্বল্প ও বৃহৎ পরিসরে লেনদেন করেন প্রায় ৮৪ লাখ গ্রাহক। এরমধ্যে প্রায় ৬০ লাখ গ্রাহকের হিসাব বা অ্যাকাউন্ট নম্বরের কোড ১০১ ও ১৫১। এই দুটি কোডধারী হিসাব নম্বরের ক্ষেত্রে শর্ত দিয়েছিল ব্যাংকটি।

শর্ত হিসেবে গ্রাহকদের সার্কুলার ও ক্ষুদে বার্তায় বলা হয়েছিল, চলতি বছরের মে মাস হতে উন্নত গ্রাহক সেবার উদ্দেশ্যে বর্তমান সঞ্চয়ী হিসাবটি অধিকতর সুবিধা ও বৈশিষ্ট্য সম্বলিত ‘সেভিং ডিপোজিট প্লাস’ হিসাবে রূপান্তর করা হবে। সেখানে নূন্যতম ৫ হাজার টাকা আমানত রাখলে বতর্মান হিসাব নম্বর, এটিএম কার্য ও চেকবই অপরিবর্তিত থাকবে। এক্ষেত্রে টাকা এটিএমের মাধ্যমে উত্তোলনে সীমা বাড়ানোসহ বেশ কিছু সুবিধা দেয়ার কথাও বলা হয়েছে।

এদিকে, গ্রাহক যদি ৫ হাজার টাকা না রাখতে চান, তাহলে তার হিসাব নম্বরটি বন্ধ হয়ে যাবে। প্রয়োজনে ৫০০ টাকা দিয়ে নতুন অ্যাকাউন্ট করা যাবে। আর কারো অ্যাকাউন্টে সমপরিমাণ টাকা থাকলে অটোমেটিক নতুন শর্তে বহাল থাকবে চলমান নম্বর। এমন অবস্থায় ভোগান্তিতে পড়েন বিভিন্ন শ্রেণির গ্রাহকরা।

তবে পরবর্তীতে গ্রাহকদের অভিযোগে নতুন সিদ্ধান্ত থেকে সরে আসে ব্যাংকটি। রোববার (৭ ফেব্রুয়ারি) ব্যাংকের অভ্যন্তরীণ এক সিন্ধান্ত মোতাবেক আগের নিয়মেই কার্যক্রম পরিচালনার কথা জানান ডাচ-বাংলা ব্যাংকের উপ-ব্যবস্থাপনা পরিচালক মো. আবিদুর রহমান।

ব্যাংক সূত্রে জানা যায়, ৬০ লাখ গ্রাহকের হিসাব বা অ্যাকাউন্ট নম্বরের কোড ১০১ ও ১৫১। যাদের মধ্যে শিক্ষার্থী ও সাধারণ গ্রাহক হওয়ায় তেমন লেনদেন হয় না এসব অ্যাকাউন্টে। এতে ব্যাংকের সার্ভারসহ বিভিন্নভাবে সমস্যার সম্মুখীন হতে হয় ব্যাংকটিকে। এ অবস্থায় লেনদেনহীন অ্যাকাউন্ট কাটছাঁট করতেই ব্যাংকটি এমন সিদ্ধান্ত নিয়েছিল বলেও জানা যায়।

আরও খবর

Sponsered content

Powered by