বাংলাদেশ

নিহত তিন কর্মীর পরিবারকে বিএনপির অনুদান

  প্রতিনিধি ১৫ জানুয়ারি ২০২৩ , ৭:৪৩:৩৮ প্রিন্ট সংস্করণ

ভোরের দর্পণ ডেস্ক :

‘দলের কর্মসূচি পালনের জন্য বাড়ি থেকে বের হলেন। ফিরলেন লাশ হয়ে। রাজনীতি করা তো অন্যায় না। তাঁকে পুলিশ পিটিয়ে নির্দয়ভাবে হত্যা করল। কত কষ্টই না পেয়েছেন মৃত্যুর সময়।’- এভাবেই পঞ্চগড়ের বোদা উপজেলার ময়দানদীঘি ইউনিয়ন বিএনপির যুগ্ম আহ্বায়ক আব্দুর রশিদ আরেফিনের নিহতের কথা বলতে গিয়ে কান্নায় ভেঙে পড়েন স্ত্রী শিরিন আক্তার। পাশে কিশোর সন্তান মোহাম্মদ আব্দুল আল মাহির মাকে জড়িয়ে ধরে সান্ত্বনা দেওয়ার চেষ্টা আবেগের সব বাঁধ ভেঙে দেয়। মা-ছেলের চোখের পানি ও বাষ্পরুদ্ধ কণ্ঠ উপস্থিত বাকিদের গভীরভাবে ছুঁয়ে যায়।

গতকাল শনিবার রাজধানী গুলশানে বিএনপি চেয়ারপারসনের রাজনৈতিক কার্যালয়ে সাম্প্রতিক আন্দোলন-কর্মসূচি পালনে গিয়ে দলটির নিহত তিনজনের পরিবারকে আর্থিক সহায়তা অনুষ্ঠানে এমন দৃশ্য দেখা যায়।

অনুষ্ঠানে বাগেরহাট জেলা স্বেচ্ছাসেবক দলের সাধারণ সম্পাদক নূরে আলম ভূঁইয়া তানুর স্ত্রী কানিজ ফাতেমা জানান, স্বামীর হত্যার বিচার চেয়ে আদালতে মামলা করেছেন তিনি। এর পর থেকে বিচার দূরে থাক, ঘর থেকেই বের হতে পারছেন না। প্রতিনিয়ত মামলা তুলে নিতে হুমকি দেওয়া হচ্ছে। জীবন থাকতে মামলা তুলবেন না জানিয়ে তিনি বলেন, ‘ছেলের অকালমৃত্যু সইতে পারেননি আমার শ্বশুর। শুক্রবার সকালে তিনি মারা গেছেন। শাশুড়ির অবস্থাও ভালো না। আমার সন্তানকে এতিম করেছে সরকারদলীয় অপরাজনীতি।’

ঢাকা মহানগরের পল্লবী থানার ৫ নম্বর ওয়ার্ড স্বেচ্ছাসেবক দলের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মকবুল হোসেনের স্ত্রী হালিমা আক্তার বর্ষা জানান, তাঁর নিরপরাধ স্বামীকে পুলিশ গুলি চালিয়ে হত্যা করেছে। আজ হোক, কাল হোক এর বিচার হতেই হবে। এ সময় স্বামীর মৃত্যুর পর সন্তানদের লেখাপড়ার দায়িত্ব নেওয়ায় ঢাকা মহানগর উত্তর বিএনপির সদস্য সচিব আমিনুল হকের প্রতি কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করে তিনি। হালিমা আক্তার আরও বলেন, ‘আগামী দিনেও দল মনে রাখবে, এটাই প্রত্যাশা।’ পাশে মেয়ে মিতিলা আক্তার মারিয়াও উপস্থিত ছিলেন। অনুষ্ঠানে বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর জানান, গত বছরের ২২ আগস্ট থেকে গণতন্ত্র মুক্তির আন্দোলনে তাঁদের ১৫ নেতাকর্মী নিহত হয়েছেন। অগণতান্ত্রিক সরকার টিকে থাকার জন্যই ভয়াবহ অত্যাচার-নির্যাতন চালাচ্ছে।

অনুষ্ঠানে অন্যদের মধ্যে বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য ব্যারিস্টার জমির উদ্দিন সরকার, গয়েশ্বর চন্দ্র রায়, ইকবাল হাসান মাহমুদ টুকু, চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা আমান উল্লাহ আমান, সাংগঠনিক সম্পাদক আসাদুল হাবিব দুলু, স্বেচ্ছাসেবক দলের সভাপতি এস এম জিলানী, সাধারণ সম্পাদক রাজিব আহসান, সাংগঠনিক সম্পাদক ইয়াসিন আলী প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।

আরও খবর

Sponsered content

Powered by