বরিশাল

পটুয়াখালীতে একই জমিতে সমন্বিত আনারস চাষ কৃষকদের অপার সাফল্যের সম্ভাবনা

  প্রতিনিধি ২৮ জুলাই ২০২১ , ৭:৪৮:৫৮ প্রিন্ট সংস্করণ

পটুয়াখালী প্রতিনিধি:

আনারস মধুর ফল পুষ্টিগুণে ভরা, অর্থ দেয় লাভ দেয় দূর করে জরা। কৃষি প্রধান দেশ বাংলাদেশ। কৃষিতে নতুন নতুন সাফল্যই করতে পারে অর্থনীতির গতি সঞ্চার। দক্ষিণাঞ্চলে একই জমিতে সমন্বিত আনারস চাষ বাড়াতে পারে কর্মসংস্থান, তৈরী হতে পারে এগিয়ে যাওয়ার নতুন সম্ভাবনা।
যখন এক দিকে মহামারী অন্যদিকে দ্রুত জলবায়ূ পরিবর্তনের কারণে দিন দিন হুমকির মুখে পড়ছে উপকূলের কৃষি ব্যবস্থাপনা। এমন পরিস্থিতিতে একই জমি থেকে একাধিক বার ফসল উৎপাদন এবং বহুবীদ ব্যবহারের কথা ভাবছেন কৃষি বিজ্ঞানীরা। এ বাস্তবতা নিয়ে কাজ করে যাচ্ছেন পটুয়াখালী আঞ্চলিক উদ্যানতত্ত্ব গবেষণা কেন্দ্র। দেশের সব চেয়ে দক্ষিণাঞ্চলের কৃষকদের এবিষয়ে সরাসরি ধারণা দিতে গবেষণা কেন্দ্রটির আম বাগানের সারির মাঝখানের ফাঁকা জায়গায় সাথী ফসল হিসেবে টাঙ্গাইলের এই জায়েন্টকিউ জাতের সমন্বিত আনারস চাষ করে ব্যাপক সফলতা পেয়েছে। তাদের সফলতা দেখে স্থানীয়রা আনারস চাষে উৎসাহ হচ্ছেন এবং চারা সংগ্রহ করছেন।

এ ক্ষেত্রে আঞ্চলিক উদ্যানতত্ত্ব গবেষণা কেন্দ্র থেকে আনারস চাষে আগ্রহী স্থানীয় কৃষকদের কারিগরি সকল প্রকার সহযোগিতার প্রদানের কথা জানান কৃষি বিজ্ঞানীরা। তারা আরো জানান দক্ষিনাঞ্চলে বানিজ্যিকভাবে আনারসের চাষ না করায় অন্য জেলা থেকে সংগ্রহ করে স্থানীয় চাহিদা পূরণ করা হয়। ফলে এই অঞ্চলের বাজারগুলোতে আনারসের দাম তুলনা মূলক ভাবে বেশি। তাই দক্ষিনাঞ্চলে আম বাগান কিংবা যে কোন ফল বাগানের ফাঁকা জায়গায় আনারস চাষে উদ্বুদ্ধ করতে পারলে যেমন পূরণ হবে স্থানীয় চাহিদা তেমনি লাভবান হবে কৃষকরা।

এবিষয়ে পটুয়াখালী আঞ্চলিক উদ্যানতত্ত্ব গবেষণা কেন্দ্রের বৈজ্ঞানিক কর্মকর্তা মোঃ রেজাউল জানান, দক্ষিণাঞ্চলে আনারস চাষে কৃষকরা তেমন আগ্রহী না। যার জন্য এই জেলায় আনারসের দাম অনেক বেশি। তাই কিভাবে এই জেলার কৃষকদের আনারস চাষে আগ্রহী করা যায়, সে বিষয় বিবেচনা করে আমাদের গবেষনা কেন্দ্রে আম বাগানের দুই সারির মাঝখানের পরিত্যক্ত জায়গায় আনারস চাষের উদ্যোগ গ্রহণ করি এবং ভালো সাফল্য লাভ করি। আর আনারস গাছ একটু ছায়া জায়গা পছন্দ করে। তাই আম গাছ বা অন্য যে কোন ফলজ গাছের ছায়ায় আনারস ভালো জন্মে। আমাদের গবেষনা কেন্দ্রের আনারস খুবই মিষ্ট এবং আকারেও অনেক বড়। আমারে এই সাফল্য দেখে স্থানীয় কৃষকেরা অনেকেই এখান থেকে চারা সংগ্রহ করছে এবং চাষ শুরু করেছে। ##

 

 

আরও খবর

Sponsered content

Powered by