ঢাকা

পহেলা ফাল্গুন! ঋতুরাজ বসন্তের প্রথম দিন আজ

  প্রতিনিধি ১৪ ফেব্রুয়ারি ২০২২ , ৫:৪৫:৫৫ প্রিন্ট সংস্করণ

 

রতন মাহমুদ (পাংশা, রাজবাড়ী প্রতিনিধি):

কবি সুভাষ মুখোপাধ্যায়ের ভাষায় “ফুল ফুটুক আর নাই ফুটুক আজ বসন্ত” ঋতুরাজ বসন্তের আজ প্রথম দিন। সারাদেশে নানা আয়োজনে চলছে বসন্তবরণ। শীতের আমেজ শেষে ঋতুরাজ বসন্ত প্রকৃতিকে নাড়া দিচ্ছে সবুজের সমারোহ নিয়ে। মনে করিয়ে দিচ্ছে কৃষ্ণচূড়া, রাধাচূড়া, শিমুল, পাখির কলরব ও কোকিলের ডাক। বাঙালিকে মনে করিয়ে দিচ্ছে ফাগুন এসেছে হে, বরণ করে নিও তুমি এই ফাল্গুনকে।

বসন্ত মানে নতুন প্রাণে কলরব, বসন্ত মানে গাছে গাছে নতুন পাতার সমাহার। বসন্ত মানে গাছে গাছে রঙ্গিন ফুলের সুশোভিত হয়ে উঠবে প্রকৃতি। বসন্ত মানে কোকিলের সুমধুর ডাক। বসন্ত মানে প্রকৃতির অপরূপ সমাহার।

বসন্ত যেমন আমাদের খুশির দিন তেমনি আবার বেদনারও বটে। ফাল্গুনের শিমুল আর কৃষ্ণচূড়ার লালফুল মনে করিয়ে দেয় আমাদের ভাষা শহীদদের রক্তের ইতিহাস। এ মাসেই মায়ের ভাষা বাংলা ভাষার জন্য জীবন দিয়েছিলেন রফিক, শফিক, বরকত ও সালামরা। তাই ফাগুন বাঙালির দ্রোহেরও মাস।

এবারের পহেলা ফাল্গুন একটু ব্যতিক্রম সেটি হল ভ্যালেন্টাইনস ডে ও পহেলা ফাল্গুন একই দিনে উদযাপন হচ্ছে।

ফাল্গুনের প্রথম দিনকে বাংলাদেশে পহেলা ফাল্গুন ও বসন্ত বরণ উৎসব হিসেবে উদযাপন করা হয়। যা ১৯৯১ সালে সর্বপ্রথম ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের চারুকলা অনুষদ কর্তৃক আয়োজন করা হয়।

ফাল্গুন নামটি এসেছে মূলত ফাল্গুনী নামে নক্ষত্র থেকে। খ্রিস্টপূর্ব ১৫০০ সালের দিকে চন্দ্রবর্ষ ও সৌরবর্ষ উভয়ই মেনে চলা হত। ফাল্গুন ছিল পূর্ণ চন্দ্রের মাস। ১৯৫০-১৯৬০ দশকেই আনুষ্ঠানিকভাবে পহেলা ফাল্গুন পালন শুরু হয়। সে সময় বাংলাদেশের জনগণ পাকিস্তানের সংস্কৃতি থেকে নিজেদের আলাদা করতে রবীন্দ্র সঙ্গীত শোনার পাশাপাশি বাঙালি নিয়মে পহেলা ফাল্গুন পালন শুরু হয়।

করোনাভাইরাস ও অমিক্রণের ভয়াল থাবা যেন বিশ্বকে আর গ্রাস না করে সেটাই আমরা সৃষ্টিকর্তার কাছে প্রার্থনা করি। পহেলা ফাল্গুন বয়ে আনুক সকলের হৃদয়ে প্রশান্তির বার্তা। সব কুসংস্কারকে পিছনে ফেলে সকল ভেদাভেদ ভুলে যেয়ে নতুন বার্তা নিয়ে সামনের দিকে এগিয়ে যাক বাংলাদেশ।

 

Powered by