প্রতিনিধি ৬ মে ২০২০ , ৪:২৯:১২ প্রিন্ট সংস্করণ
আবুল হাশেম, পাইকগাছা : খুলনার পাইকগাছায় চলতি বোরো মৌসুমে ৪ হাজার ৭শ’ হেক্টর জমিতে বোরো আবাদ হয়েছে। বাম্পার ফলন হওয়ায় করোনা পরবর্তী খাদ্য সংকট মোকাবেলায় বোরো ফসলকে আশার আলো দেখছেন সংশ্লিষ্ট কৃষি বিভাগ ও চাষিরা। ইতোমধ্যে প্রায় ৬শ’ হেক্টর ফসল কর্তন করা হয়েছে এবং অবশিষ্ট ফসল আগামী ২ সপ্তাহের মধ্যে কৃষকের ঘরে উঠে যাবে বলে ধারণা করছেন কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর।
সূত্রমতে–উপজেলায় প্রতি বছরই বোরো ফসলের বাম্পার ফলন হয়ে থাকে। যার ফলে প্রত্যেক মৌসুমে বোরো আবাদ বৃদ্ধি পাচ্ছে। এবছর উপজেলা কৃষি স¤প্রসারণ অধিদপপ্তর থেকে অত্র উপজেলায় ৪ হাজার ৬শ’ ৭৫ হেক্টর বোরো আবাদের লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়। নির্ধারিত লক্ষ্যমাত্রার স্থলে ২৫ হেক্টর বেশি আবাদ হয়েছে। উপজেলার ১০টি ইউনিয়ন ও ১টি পৌরসভায় কমবেশি সবখানে বোরো আবাদ হয়ে থাকে। চলতি মৌসুমে ৩ হাজার ৬শ’ ৫০ হেক্টর জমিতে উফশী ও ১ হাজার ৫০ হেক্টর জমিতে হাইব্রিড জাতের বোরো আবাদ হয়েছে।
সরল আইপিএম ক্লাবের সভাপতি ও বোরো চাষি অনুকুল ব্যানার্জী জানান–প্রতিবছর বোরো ফসল ভালো হয়, তবে এ বছর বিগত যেকোন বছরের চেয়ে বাম্পার ফলন হয়েছে। উপজেলা কৃষি অফিসার এএইচএম জাহাঙ্গীর আলম জানান–বেশিরভাগ উফশী ধান কাটার উপযোগী হলেও হাইব্রিড জাতের ধান কাটার জন্য আরো কিছুদিন অপেক্ষা করতে হবে। ইতোমধ্যে ৫শ’ ৫৮ হেক্টর জমির উফশী ধান কর্তন করা হয়েছে এবং বাকী অবশিষ্ট ধান আগামী দুই সপ্তাহের মধ্যে কৃষক কেটে ঘরে তুলতে পারবে বলে ধারণা করছি। উফশী ধানের উৎপাদন হেক্টর প্রতি ৫.৫ মেট্রিক টন পাওয়া গেছে এবং হাইব্রিড এর সম্ভাব্য উৎপাদন ৬ মেট্রিক টন হবে বলে আশা করছি।
করোনা পরিস্থিতির কারনে কোন শ্রমিক সংকট আছে কিনা এমন প্রসংগে কৃষি স¤প্রসারণ অধিদপ্তরের এ কর্মকর্তা জানান–অত্র এলাকায় বোরো ফসল কর্তনের জন্য ইতোপূর্বে কখনো শ্রমিক সংকট দেখা দেয়নি, বরং এখানকার শ্রমিকরা দেশের বিভিন্ন স্থানে ধান কাটতে যায়। এবছরও উপজেলা প্রশাসনের মাধ্যমে ইতোমধ্যে অনেক শ্রমিক দেশের বিভিন্ন স্থানে ধান কাটতে গেছে। এ বছর বোরো ফসলের যে বাম্পার ফলন হয়েছে তা আগামীতে করোনা পরবর্তী খাদ্য সংকট মোকাবেলায় ইতিবাচক ভূমিকা রাখবে বলে উপজেলা চেয়ারম্যান গাজী মোহাম্মদ আলী ও উপজেলা নির্বাহী অফিসার জুলিয়া সুকায়না জানান।