আন্তর্জাতিক

পুতিনের টোপে সেনাবাহিনীতে শত শত নেপালি তরুণ

  প্রতিনিধি ২৬ জুন ২০২৩ , ৫:০১:৪৯ প্রিন্ট সংস্করণ

ভোরের দর্পণ ডেস্ক :

প্রায় দেড় বছর ধরে যুদ্ধ চলছে পূর্ব ইউরোপে। রাশিয়া ও ইউক্রেনের যুদ্ধে যোগ দিয়েছে বিদেশীরাও। বিদেশী তরুণদের সেনাবাহিনীতে ব্যবহারের জন্য টোপ দিয়েছে রাশিয়া। প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিনের ওই টোপ গিলেছে নেপালিরাও। নেপাল থেকে গত এক বছরে অনেকে রাশিয়ার সেনাবাহিনীতে যোগ দিয়েছে।

নেপালের সংবাদমাধ্যম নেপাল প্রেসের প্রতিবেদন অনুযায়ী, বিশেষ উদ্দেশে শত শত নেপালি যুবক পুতিনের সেনাবাহিনীতে যোগ দিয়েছে। পুতিনের হয়ে ইউক্রেনের বিরুদ্ধে যুদ্ধ করছে তারা।

দ্য ডিপ্লোম্যাট একটি রিপোর্টে জানিয়েছে, বিদেশী যুবকদের যুদ্ধে ব্যবহার করে সেনাবাহিনীকে শক্তিশালী করার লক্ষ্যে বিশেষ কিছু প্রস্তাব দিয়েছেন পুতিন। রাশিয়া জানিয়েছে, তাদের সেনাবাহিনীতে যোগ দিয়ে এক বছর যুদ্ধ করলেই স্ব-পরিবারে রাশিয়ায় থাকার সুযোগ মিলবে। রাশিয়ার স্থায়ী নাগরিকত্ব পাবে ওই বিদেশী সেনারা। সাথে রয়েছে মোটা অঙ্কের বেতনের হাতছানিও।

নেপালের মতো ছোট দেশের তরুণ প্রজন্ম রাশিয়ায় এই নিশ্চিত ভবিষ্যতের হাতছানি এড়াতে পারেনি। অনেকেই তাই দেশ ছেড়ে রাশিয়ায় চলে গেছে। আবার রাশিয়ায় অবস্থিত নেপালি শিক্ষার্থীরাও সেনাবাহিনীতে যোগ দিয়েছে নাগরিকত্বের লোভে।

রাশিয়ার বাহিনীতে যোগ দেয়া নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক এক নেপালি যুবক নেপালি প্রেসকে সাক্ষাৎকারে জানিয়েছেন, রাশিয়ার সেনাবাহিনীতে যোগ দেয়ার আগে তাকে প্রশিক্ষণ দেয়া হয়েছিল। ওই প্রশিক্ষণের সময়েও যা বেতন তিনি পেয়েছেন, তা নেপালের সাধারণ সরকারি চাকুরের বেতনের চেয়ে কয়েক গুণ বেশি। যুদ্ধে প্রাণের ঝুঁকি আছে ঠিকই, কিন্তু নেপালে থেকে স্বল্প পারিশ্রমিকে বা বেকার হিসেবে জীবন কাটানোর চেয়ে এ ঝুঁকি অনেক বেশি আকর্ষণীয়।

রাশিয়ার সেনায় যোগ দিতে গেলে ভাষার বাধা একটি বড় সমস্যা হয়ে ওঠার কথা ছিল। কিন্তু তা-ও হয়নি। নেপালি তরুণেরা জানিয়েছে, প্রথম দিকে রাশিয়ান ভাষা শিখতে বলা হলেও পরে ওই নিয়ম শিথিল করা হয়েছে। বর্তমানে শুধু ইংরেজি জানলেই রাশিয়ান সেনায় যোগ দেয়া যায়।

রাশিয়ার হয়ে ইউক্রেন যুদ্ধে শামিল প্রিগোঝিনের ভাড়াটে সেনা ওয়াগনার বাহিনী। অনেকের মতে, নেপালি তরুণেরা কেউ কেউ ওই ওয়াগনারেও যোগ দিয়েছে। ইউক্রেনের বিরুদ্ধে যুদ্ধ করছে তারাই।

তবে রাশিয়ায় অবস্থিত নেপালি দূতাবাস জানিয়েছে, নেপালিদের রাশিয়ার সেনায় যোগদান প্রসঙ্গে আনুষ্ঠানিকভাবে কোনো তথ্য তাদের কাছে নেই। তা যদি হয়েও থাকে, দূতাবাসকে জানিয়ে কিছু করা হয়নি।
সূত্র : আনন্দবাজার পত্রিকা

আরও খবর

Sponsered content

Powered by