দেশজুড়ে

প্রধানমন্ত্রীর নির্দেশনা অনুযায়ী যৌথ অভিযান পরিচালনা হবে – স্বরাষ্ট্র মন্ত্রী

  প্রতিনিধি ৬ এপ্রিল ২০২৪ , ৭:৫৫:০৮ প্রিন্ট সংস্করণ

প্রধানমন্ত্রীর নির্দেশনা অনুযায়ী যৌথ অভিযান পরিচালনা হবে - স্বরাষ্ট্র মন্ত্রী

বান্দরবানের রুমা ও থানচি উপজেলায় পাহাড়ি সশস্ত্র সংগঠন কেএনএফ এর হামলায় ব্যাংক লুট,নিরাপত্তায় নিয়োজিত পুলিশ ও আনসার সদস্যের অস্ত্র লুট এবং ব্যাংক ম্যানেজার অপহরণের ঘটনায় থমথমে পরিস্থিতি বিরাজ করছে পুরো জেলা জুড়ে। ইতোমধ্যেই র‍্যাবের মধ্যস্থতায় অপহৃত সোনালী ব্যাংক রুমা শাখার ম্যানেজার নিজাম উদ্দিন কে উদ্ধার করে পরিবারের কাছে হস্তান্তর করেছে র‍্যাব তাকে উদ্ধার পরবর্তী শুক্রবার সংবাদ সম্মেলনে সশস্ত্র সংগঠনটির বিরুদ্ধে সেনাবাহিনীর সহযোগিতায় যৌথ বাহিনীর অভিযান চলছে বলে জানান র‍্যাব এর লিগ্যাল অ্যান্ড মিডিয়া উইংয়ের পরিচালক কমান্ডার খন্দকার আল মঈন। চলমান অস্থিরতা পর্যবেক্ষণের জন্য আজ সকাল ১১ টায় বান্দরবান এসেছেন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামাল।

এসময় তিনি ক্ষতিগ্রস্ত ব্যাংক,মসজিদ ও উপজেলা পরিষদ পরিদর্শন করেন।রুমা পরিদর্শনে সাংবাদিকদের তিনি বলেন শান্তি প্রিয় এলাকায়, যেখানে শান্তির সুবাতাস সবসময় বইতো সেখানে আমরা এ ধরনের ঘটনা কামনা করি না,হামলায় কাদের সংশ্লিষ্টতা ছিল তাদের আমরা আইনের আওতায় আনবো।

আইনশৃঙ্খলা বাহিনী, সেনাবাহিনী তারা তাদের মতো করে কাজ করবে,তিনি বলেন আমরা আর কোন কিছুকে চ্যালেঞ্জ নিতে দিবো না এর উৎপত্তির উৎস কোথায় খুঁজে বের করবো। তাদের সকলকেই আইনের আওতায় আনবো। এদিকে দুপুর ১২ টার পর রুমা উপজেলায় পরিদর্শন শেষে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রী বান্দরবান সার্কিট হাউজে পৌঁছেন। এসময় তিনি জেলা পুলিশের গার্ড অফ অনার গ্রহণ করেন। পরে বান্দরবান জেলার সার্বিক আইনশৃঙ্খলা বিষয়ে জেলা প্রশাসন সহ সরকারি নিরাপত্তা সেক্টরের সকল বিভাগের সাথে রুদ্ধ দ্বার বৈঠকে বসেন স্বরাষ্ট্র মন্ত্রী।বৈঠকের পরে সাংবাদিকদের ব্রিফিং করেন তিনি।

এসময় তিনি বলেন একটি সশস্ত্র সংগঠন তাদের অবস্থান জানান দেওয়ার জন্য এ ধরনের একটি ঘটনা ঘটিয়েছে,আমরা মনে করি যারা এ ঘটনা ঘটিয়েছে রাষ্ট্রের বিরুদ্ধে গিয়ে অপরাধ করেছে কাজেই রাষ্ট্র চুপ থাকতে পারে না,আমরা এ জন্য যা যা করণীয় তা করবো। আইনশৃঙ্খলার পুলিশ পুলিশ,র‍্যাব, আনসার সদস্য সংখ্যা বৃদ্ধি করবো,আমরা সীমান্তে বিজিবি বৃদ্ধি করবো। তিনি বলেন প্রধানমন্ত্রী সামরিক বাহিনীর প্রধান কে নির্দেশনা দিয়েছেন সবাই মিলে যেন যৌথ অভিযান পরিচালনা করা হয়।তার আগে পুলিশ,র‍্যাা,আনসার ও বিজিবি দিয়ে আইনশৃঙ্খলা রক্ষার জন্য যা যা প্রয়োজন আমরা তা করবো।

তিনি হুঁশিয়ারি দিয়ে বলেন কোন ধরনের অস্ত্রধারীকে বাংলাদেশের ভূখণ্ডে থাকতে দিবো না।তিনি বলেন আমরা অনেক ধৈর্যের সাথে তাদের সাথে আলোচনা করেছি,বান্দরবান জেলা পরিষদের চেয়ারম্যান তাদের সাথে ২ বার আলোচনায় বসেছে তারা আলোচনায় না গিয়ে তাদের অবস্থান জানান দেওয়ার জন্য এই ধরনের কর্মকাণ্ড করেছে। তিনি আরো বলেন যারা এ ঘটনার সাথে জড়িত তারা যদি বিদেশেও আশ্রয় নেয় আমরা ইন্টারপোলের মাধ্যমে তাদেরকে দেশে ফেরত এনে বিচারের ব্যবস্থা করবো।

কেএনএফ এর সাথে আর কোন আলোচনা হবে কিনা এমন প্রশ্নের উত্তর স্বরাষ্ট্র মন্ত্রী বলেন আমরা জনগণের বাইরে না, এই এলাকার জনসাধারণ যদি মনে করে আলোচনা হওয়া উচিত তাহলে আলোচনা হতেও পারে,এই সিদ্ধান্ত জনগণের।তবে আমাদের আইনশৃঙ্খলা বাহিনী তাদের কাজ চালিয়ে যাবে। এসময় উপস্থিত ছিলেন পার্বত্য চট্টগ্রাম বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের প্রতিমন্ত্রী কুজেন্দ্র লাল ত্রিপুরা,৩০০নং বান্দরবান আসনের সাংসদ, বীর বাহাদুর উশৈসিং,জেলা পরিষদের চেয়ারম্যান, ক্য শৈ হ্লা,বান্দরবান রিজিয়ন কমান্ডার,ব্রিগেডিয়ার জেনারেল মো. মেহেদী হাসান,জেলা প্রশাসক, শাহ মোজাহিদ উদ্দিন, পুলিশ সুপার, সৈকত শাহীন।

এছাড়া স্বরাষ্ট্র মন্ত্রীর সফর সঙ্গী হিসেবে উপস্থিত ছিলেন স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের জননিরাপত্তা বিভাগের সিনিয়র সচিব মো. মোস্তাফিজুর রহমান,পুলিশ মহা পরিদর্শক, চৌধুরী আব্দুল্লাহ আল মামুন, আনসার মহাপরিচালক, মেজর জেনারেল এ কে এম আমিনুল হক, ডিজিএফআইয়ের মহাপরিচালক, মেজর জেনারেল হামিদুল হক,বিজিবি মহাপরিচালক, মেজর জেনারেল মোহাম্মদ আশরাফুজ্জামান সিদ্দিকী,সুরক্ষা বিভাগের সচিব, মো. আব্দুল্লাহ আল মাসুদ চৌধুরী, অতিরিক্ত পুলিশ মহাপরিদর্শক,মনিরুল ইসলাম, র‍্যাব এর অতিরিক্ত মহাপরিচালক, ব্রিগে : জেনারেল মো. জাহাঙ্গীর আলম সহ সরকারি দপ্তরের ঊর্ধ্বতন প্রতিনিধি বৃন্দ।

আরও খবর

Sponsered content

Powered by