দেশজুড়ে

প্রার্থিতা প্রত্যাহারের ঘোষণা পলকের শ্যালকের

  প্রতিনিধি ২১ এপ্রিল ২০২৪ , ২:৫২:৫১ প্রিন্ট সংস্করণ

প্রার্থিতা প্রত্যাহারের ঘোষণা পলকের শ্যালকের

নাটোরের সিংড়া উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে চেয়ারম্যান পদে প্রার্থিতা প্রত্যাহার করে নিয়েছেন প্রতিমন্ত্রী জুনাইদ আহমেদ পলকের শ্যালক লুৎফুল হাবিব রুবেল।

রোববার (২১ এপ্রিল) দুপুরে নাটোর জেলা নির্বাচন কর্মকর্তা ও রিটার্নিং কর্মকর্তা আব্দুল লতিফ শেখ এর কাছে এসে প্রার্থী লুৎফুল হাবিব রুবেলের পক্ষে প্রত্যাহার পত্রটি জমা দেন তাজপুর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান মো. মিনহাজ উদ্দিন।

প্রত্যাহারের বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন জেলা নির্বাচন কর্মকর্তা ও রিটার্নিং কর্মকর্তা আব্দুল লতিফ শেখ।

প্রত্যাহার পত্রে জানানো হয়, আমি মো. লুৎফুল হাবিব সিংড়া উপজেলা পরিষদ নির্বাচন -২০২৪ইং এ উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান পদে মনোনয়নপত্র দাখিল করি। কিন্তু আমার ব্যক্তিগত এবং পারিবারিক কারণে আমার নির্বাচন করা সম্ভব নয়।

অতএব, বিধায় প্রার্থনা এমতাবস্থায় আমার জমাকৃত উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান পদের মনোনয়ন পত্রটি প্রত্যাহার পূর্বক আমাকে উক্ত নির্বাচন হতে সরে দাঁড়ানোর সুযোগ করে দিতে মর্জি হয়।

এর আগে সকালে এক ভিডিও বার্তায় লুৎফুল হাবিব রুবেল তার মনোনয়নপত্র প্রত্যাহারের ঘোষণা দেন। ঘোষণার কয়েক ঘণ্টা পরই প্রত্যাহারপত্রটি জেলা নির্বাচন অফিসে জমা দেওয়া হয়।

ভিডিও বার্তায় লুৎফুল হাবিব রুবেল বলেন, সিংড়া উপজেলা পরিষদের নির্বাচন নিয়ে মাননীয় প্রধানমন্ত্রী ঘোষণা দিয়েছেন যে, কোনো মন্ত্রী, সংসদ সদস্যের আত্মীয়-স্বজন নির্বাচন করতে পারবে না। তারই আলোকে এই ঘোষণার প্রতি শ্রদ্ধা রেখে এবং জুনাইদ আহমেদ পলকের নির্দেশনা অনুযায়ী মনোনয়ন পত্র প্রত্যাহার করে নিচ্ছি।

তিনি আরও বলেন, আমি ২০০২ সাল থেকে ছাত্রলীগের রাজনীতির সঙ্গে রয়েছি। ২০০৫ সালে সিংড়া গোল-ই আফরোজ কলেজ ছাত্রলীগের সভাপতি ছিলাম। বর্তমানে উপজেলা আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক হিসেবে দায়িত্বে রয়েছি। গত ৩ তারিখে ইউনিয়ন পরিষদ থেকে পদত্যাগ করি। ইউনিয়ন পরিষদের পর পর তিন বার চেয়ারম্যান নির্বাচিত হই। গত ৮ তারিখে উপজেলা পরিষদের নির্বাচনের জন্য মনোনয়ন পত্র সাবমিট করি। তারপর থেকে যেই পরিস্থিতি তৈরি হয়েছে তার সঙ্গে আমি জড়িত নই। আমার বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্র করা হয়েছে। আমাকে নির্বাচন থেকে দূরে রাখতে বিভিন্ন মহল সক্রিয় আছে।

এ বিষয়ে জানতে লুৎফুল হাবিব রুবেলের মুঠোফোনে করলে নম্বরটি বন্ধ পাওয়া যায়।

উল্লেখ্য, গত সোমবার (১৫ এপ্রিল) মনোনয়নপত্র জমা দিয়ে নির্বাচন অফিস থেকে নেমে আসলে প্রার্থী দেলোয়ার হোসেনকে একটি মাইক্রোবাসে করে তুলে নেয়।

এসময় তারা তাকে গাড়ির ভিতর মারধর করে। পরে বিকেলে দেলোয়ার হোসেনের বাড়ির সামনে (সিংড়া উপজেলার কলম ইউনিয়নের পারসাঐল গ্রাম) সামনে ফেলে দিয়ে চলে যায়। চেয়ারম্যান প্রার্থী দেলোয়ার হোসেনকে অপহরণের দুটি সিসিটিভি ফুটেজ পাওয়া গেছে। দেলোয়ার হোসেনকে অপহরণ করে যে গাড়িতে তোলা হয় সেটি তার প্রতিদ্বন্দ্বী লুৎফুল হাবিব রুবেলের। পরে আহত দেলোয়ার হোসেনের ভাই বাদী হয়ে মামলা দায়ের করেন। পুলিশ অভিযান চালিয়ে তিন আসামিকে গ্রেফতার করেন। পরে গত ১৯ এপ্রিল অসুস্থ দেলোয়ার হোসেনকে রাজশাহী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে দেখতে যান ডাক, টেলিযোগাযোগ ও তথ্য প্রযুক্তি প্রতিমন্ত্রী অ্যাড. জুনাইদ আহমেদ পলক।

আরও খবর

Sponsered content

Powered by