দেশজুড়ে

প্রেমের ফাঁদে ফেলে বিবাহের অভিযোগ কিশোরের বিরুদ্ধে

  প্রতিনিধি ১৩ সেপ্টেম্বর ২০২৩ , ৭:১৫:৩১ প্রিন্ট সংস্করণ

প্রেমের ফাঁদে ফেলে বিবাহের অভিযোগ কিশোরের বিরুদ্ধে

সপ্তম শ্রেণী পড়ুয়া এক নাবালিকা ছাত্রীকে প্রেমের ফাঁদে ফেলে বিবাহ করার অভিযোগ উঠেছে বোয়ালমারী উপজেলার বাসিন্দা এক কিশোরের বিরুদ্ধে।কিশোর উপজেলার ময়না ইউনিয়নের হাটখোলারচর গ্রামের রেজাউল শেখের ছেলে আলিমুল হাসান (১৭)। 

সরেজমিনে গিয়ে জানা যায়, রোববার (০৯.০৯.২৩) মধুখালী উপজেলার কামারখালী ইউনিয়নে সপ্তম শ্রেণী পড়ুয়া নাবালেক মেয়েকে ফুসলিয়ে প্রেমের ফাঁদে ফেলে বাগিয়ে নিয়ে নোটারী পাবলিকে বিবাহ করেছেন আলিমুল হাসান।

এত অল্প বয়সে এদের বিবাহ দেখে পুরা এলাকা আলোচনা সমালোচনা সবার তুঙে।

বিভিন্ন সমাজসেবা সংগঠনের নেতাকর্মীরা এ বাল্য বিবাহ দেয়ার দায়ভার অসৎ বিবাহ রেজিস্টার (কাজি) ও নটারী পাবলিক উকিলদের । তাঁরা পাত্র পাত্রি অল্প বয়স জেনেই কিছু উৎকোচ নিয়ে স্ট্যাম্পে নোটারী পাবলিক করে বিবাহ করান। তাঁর বিনিময়ে ওই নটারী পাবলিকে যে উকিলের সিল মেরে থাকেন। বিনিময়ে উকিলকে কিছু পার্সেন্টেন্স পাঠিয়ে দেয়া রেজিস্টার কাজি। 

সুধি সমাজের ধারণা তবে এ বিবাহের বিচ্ছেদ হয় অল্প সময়ের মধ্যে। অনেক বিবাহ রেজিস্টার তারা নকল সিল ও  সাক্ষর দিয়ে নোটারী পাবলিক বিবাহ সম্পূন্ন করিয়ে মোটা অংকের টাকাও হাতিয়ে নেয় । এ বিবাহ কিভাবে পড়ানো হয়েছে তা বলা যাবে না নিশ্চিত করলে ওই চক্র বিবাহ করিয়ে দেয়। তাই ওই চক্রের সদস্যরা ধরা ছোয়াঁর বাইরে থেকে অতি গোপনে রয়ে যায়। বাল্য বিবাহের কারণে সমাজে নানা ধরণের সমস্যার সৃষ্টি হয়।

ছেলের বাবা রেজাউল শেখ বলেন, আমার ছেলে ও ওই মেয়েটা ফোনের মাধ্যমে কথা বলে আমাদের বাড়িতে চলে এসেছে। ছেলে মেয়ের বয়স কম হওয়ায় তাদের নটারী পাবলিকের মাধ্যমে বিবাহ বন্ধনে আবদ্ধ করা হয়। 

মেয়ের বাবা মুঠো ফোনে বলেন, মেয়ে যখন বাড়ি থেকে বের হয়ে গেছে তাঁর প্রতি আমার আর দাবী নেই। তবে ও বাড়ি থেকে পালিয়ে যাওয়ার পর থেকে ওর মা অসুস্থ হয়ে পড়ে। 

বোয়ালমারী থানার অফিসার ইনচার্জ মুহাম্মদ আব্দুল ওহাব বলেন, এঘটনা আমার জানা নেই। বা কেউ কোন অভিযোগ করেনি। অভিযোগ পেলে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।

আরও খবর

Sponsered content

Powered by