দেশজুড়ে

ফরিদপুর-১ আসনে নৌকা-ও ঈগলের হাড্ডা হাড্ডি লড়াই

  প্রতিনিধি ১ জানুয়ারি ২০২৪ , ৩:৫৫:৫৫ প্রিন্ট সংস্করণ

ফরিদপুর-১ আসনে নৌকা-ও ঈগলের হাড্ডা হাড্ডি লড়াই

দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের দিন যত ঘনিয়ে আসছে তত উৎসাহ উদ্দীপনা ও প্রার্থীদের প্রচার প্রচারণার বেগ বেড়ে চলছে। এলাকা এলাকায় প্রার্থীদের চলছে উঠান বৈঠক ও পথ সভা সমাবেশ। প্রার্থীরা নিজেদের দিকে জনসমর্থন বাড়াতে নানা কৌশল অবলম্বন করছেন। নির্বাচনে জয়ী হতে জনগণদের দিচ্ছেন নানা রকমের আশ্বাস।

ফরিদপুর-১ আসনে (আলফাডাঙ্গা-বোয়ালমারী-মধুখালি) আসনে ৪ লাখ ৭৭ হাজার ৯৬৫ ভোটারের ভোটের লক্ষে দুই হেভিওয়েট প্রার্থীর সাথে মাঠে লড়ছেন এক নবীন প্রার্থী। ভোটের মাঠে ৬জন প্রার্থী থাকলেও আলোচনায় আছেন ওই তিনজন। হেভিওয়েট 

প্রার্থীর মধ্যে রয়েছেন নৌকা মার্কার প্রার্থী বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের প্রেসিডিয়াম মেম্বার ও সাবেক দুইবারের সংসদ সদস্য মো.আব্দুর রহমান এবং নোঙ্গর মার্কা নিয়ে নব্য গঠিত বাংলাদেশ ন্যাশনালিস্ট মুভমেন্ট (বিএনএম) এর ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান ও সাবেক চারবারের সংসদ সদস্য বীরমুক্তিযোদ্ধা শাহ মো. আবু জাফর। এই দুই প্রার্থীর সাথে ঈগল মার্কা নিয়ে 

লড়ছেন স্বতন্ত্র প্রার্থী ঢাকা টাইমস সম্পাদক সাংবাদিক আরিফুর রহমান দোলন। অন্য প্রার্থীদের মধ্যে বাংলাদেশ সুপ্রিম পার্টির নুর ইসলাম শিকদারকে একতারা 

মার্কা নিয়ে প্রচারে দেখা গেলেও জাতীয় পাটির প্রার্থী আক্তারুজ্জামান ও জাকের পার্টির প্রার্থী আব্দুর রউফকে মাঠে দেখা যাচ্ছেনা। 

সারা দেশে দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনকে ঘিরে সহিংসতার সংবাদ ভেসে আসলেও এখনো ফরিদপুর-১ আসনে নির্বাচনী কোন প্রকার সহিংসতা বা অন্য কোন ধরণের গোলযোগের খবর পাওয়া যায়নি। তবে নৌকা মার্কার প্রার্থী আবদুর রহমান ও স্বতন্ত্র ঈগল মার্কার প্রার্থী আরিফুর রহমান দোলন বিভিন্ন সভা সমাবেশে একে অপরের বিরুদ্ধে ইঙ্গিত করে নানা রকমের প্রোপাগান্ডা ছড়াতে দেখা গেছে। সমান তালে তাল দিয়ে সাথে রয়েছে বাংলাদেশ জাতীয়বাদী আন্দোলন (বিএনএম) দলের নোঙ্গর প্রতীক নিয়ে ভোটের মাঠে লড়াই করছেন শাহ মো. আবু জাফর। তিনি বিএনপি ছেঁড়ে নতুন দল গঠন করে দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে অংশ নিয়েছেন। এতে করে বিএনপি ও জামাত দলের নেতাকর্মী ও সমর্থকেরা শাহ মো. আবু জাফরকে ঘৃণা ভরে প্রত্যাখ্যান করছেন। তারা মনে করছেন তাকে ভোট না দিয়ে অন্য প্রার্থীকে ভোট দেয়া ভালো। তবে আওয়ামী লীগ সরকার ক্ষমতায় থেকে নির্বাচন দেয়াতে অনেক দলের নেতাকর্মী সমর্থকেরা ভোট কেন্দ্রে নাও যেতে পাড়েন।

এ নির্বাচন নিয়ে সচেতন মহল ও সাধারণ ভোটাররা এখন ভেবাচেকায় পড়ে গিয়েছে। তাদের পবিত্র ভোট দিয়ে কাকে জয়ী করবেন তারা। গ্রাম পাড়া মহল্লার চায়ের স্টলে চলছে চুলছেঁড়া বিশ্লেষণ। 

ফরিদপুর-১ আসন (আলফাডাঙ্গা- বোয়ালমারী- মধুখালী) আওয়ামী লীগের দূর্গ নামে পরিচিত। সচেতন মহলের ধারণা এ আসনে দ্বাদশ সংসদ নির্বাচনে আওয়ামী লীগের দুই প্রার্থীর। হাড্ডা হাড্ডি লড়াই হবে। তবে বিএনপি জামাত সমর্থনকারী লোকজন ভোট দিলে, ফাঁকে গোল দেয়ার অপেক্ষায় নোঙ্গর মার্কার প্রার্থী শাহ মো. আবু জাফরের। বিভিন্ন সংস্থার তথ্য সূত্রে জানা যায়, ৭ জানুয়ারীতে অনুষ্ঠিত জাতীয় সংসদ নির্বাচন এবার শতভাগ স্বচ্ছতার সাথে ভোট গ্রহণ সম্পন্ন  করা হবে। কেউ কোন প্রকার সহিংসতা বা জোরপূর্বক ভোটের ব্যালটে হাত দিলে তার জীবন এবার কাটবে জেল হাজতে। এবারের সংসদ নির্বাচন ফেয়ার ওয়েল রাখতে আওয়ামী লীগের হাইকমান্ডেরও কড়াকড়ি নির্দেশনা রয়েছে।

জনগণ ভোট ব্যালটে যাকে সমর্থন করবে সেই হবে ফরিদপুর-১আসন তথা- (আলফাডাঙ্গা-বোয়ালমারী-মধুখালী) বাসিদের অভিভাবক। 

বিভিন্ন এলাকা পাড়া মহল্লা ঘুরে দেখা যায়, নৌকা, নোঙ্গর ও ঈগলের পোস্টার ব্যানার ফেসটুন দিয়ে তৈরী করা হয়েছে ক্লাব ঘর। বিকেল থেকে গভীর রাত পর্যন্ত সাধারণ মানুষ নিজ নিজ সমর্থিত প্রার্থীদের ক্লাব ঘরে গিয়ে আনন্দ উল্লাসে মেতে থাকে সারাক্ষণ। বিকেল থেকে গভীর রাত পর্যন্ত চলে চায়ের কাপের টুং টাং শব্দ। স্থানীয় নেতাকর্মী চা, পান, খেয়ে নিজ প্রার্থীর ভোট প্রার্থনায় নেমে পড়েন গ্রামের পাড়া মহল্লায়।

আরও খবর

Sponsered content

Powered by