বাংলাদেশ

ফিলিস্তিনিদের ওপর হামলা একেবারে অগ্রহণযোগ্য: পররাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী

  প্রতিনিধি ২০ এপ্রিল ২০২২ , ৫:৩৬:১৭ প্রিন্ট সংস্করণ

ভোরের দর্পণ ডেস্কঃ

ফিলিস্তিনিদের ওপর হামলা একেবারে অগ্রহণযোগ্য বলে মন্তব্য করেছেন পররাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী শাহরিয়ার আলম। আজ বুধবার দুপুরে গণমাধ্যমের সঙ্গে আলাপকালে তিনি এ কথা বলেন।

এদিন সকালে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে যুক্তরাষ্ট্রের স্টেট ডিপার্টমেন্টের আন্তর্জাতিক ধর্মীয় স্বাধীনতাবিষয়ক অ্যাম্বাসেডর-অ্যাট লার্জ রাশেদ হোসেন শাহরিয়ার আলমের সঙ্গে সাক্ষাত করেন। সাক্ষাতে কী কী বিষয় নিয়ে আলোচনা হয়েছে তা তুলে ধরেন শাহরিয়ার।

তিনি বলেন, আমরা দেখছি রমজান মাসে ইসরায়েলিরা আবারও ফিলিস্তিনিদের ওপর হামলা করেছে। এটা একেবারে অগ্রহণযোগ্য এবং আমরা এটার জোরাল প্রতিবাদ জানাই।

সাক্ষাত প্রসঙ্গে তিনি বলেন, রোহিঙ্গা ক্যাম্পের অনেককে আমরা ভাসানচরে স্থানান্তর করেছি। মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র তাদের সবচেয়ে বেশি অর্থ সহযোগিতা দেয়। ভাসানচরে তাদের কাজ, শিক্ষার বিষয়ে বাংলাদেশকে এগিয়ে আসার জন্য যুক্তরাষ্ট্র অনুরোধ করেছে; সেটা আমাদের বিবেচনায় আছে এবং পর্যায়ক্রমে সেগুলো করেছি।

পররাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী আরও বলেন, তিনি আমাদের বাংলাদেশের ধর্মীয় সম্প্রতির প্রশংসা করেছেন এবং এটা যে চ্যালেঞ্জিং একটা বিষয় পৃথিবীর সব দেশের জন্য, সেটা আমরা খোলামেলা আলোচনা করেছি। দুর্ভাগ্যজনকভাবে এই উপমহাদেশে রিলিজিয়াস সেনসিটিভিটি অন্য রকম ডায়মেনশন নিয়ে ফেলে মাঝে মাঝে এবং এটাকে রাজনীতির হাতিয়ার হিসেবেও ব্যবহার করা হয়। এটা যেন রাজনীতিবিদরা না করেন এবং বঙ্গবন্ধুর নীতি-আদর্শ ও আমাদের সাংবিধানিক অধিকার; সব ধর্মের মানুষের অধিকার সমান। প্রধানমন্ত্রীর কথা—আমরা কাউকে রিলিজিয়াস মাইনোরিটি বলি না। আমরা বাংলাদেশের নাগরিক হিসেবে দেখি। তবে চ্যালেঞ্জগুলো যখন আসবে তখন বন্ধু রাষ্ট্রগুলো বাস্তবতা বুঝে তারা যেন স্টেপস নেন। রামুতে বৌদ্ধ মন্দির নতুন করে নির্মাণ হওয়ার পরে সব রাষ্ট্রদূতকে আমি নিজে নিয়ে গিয়েছিলাম। একটা বেটার আন্ডার স্ট্যাডিংয়ের জন্য এবং সামনের দিনে আমরা একে অপরকে যেন সহযোগিতা করি।

রোহিঙ্গাদের অ্যাকাউন্টিবিলিটির বিষয়ে আলোচনা হয়েছে জানিয়ে শাহরিয়ার বলেন, আইসিজেতে যে মামলাটি পরিচালিত হচ্ছে তাতে তারা সহায়তা করবে আশা করা যায়। আগামী দিনে ধর্মীয় সম্প্রীতি বজায় রাখার জন্য বাংলাদেশ ও মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র একসঙ্গে কাজ করবে বলে আমরা সম্মত হয়েছি।

এক প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, আমাদের বর্তমান যে চ্যালেঞ্জ; কুমিল্লায় যে ঘটনা ঘটেছে। তার পরপর আমরা যে ব্যবস্থা নিয়েছি সেটা তিনি স্বাগত জানিয়েছেন। এই ঘটনাগুলো কেন ঘটছে সেটা জানাতে গিয়ে আমি বলেছি, ধর্মভিত্তিক দলের উত্থান একটা পর্যায়ে বাংলাদেশে হয়েছিল। যেটা প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সরকার এটাকে নিয়ন্ত্রণে আনার চেষ্টা করেছে, বেশির ভাগ ক্ষেত্রেই সফল হয়েছে এবং এটা ধারাবাহিকভাবে চলবে।

আরও খবর

Sponsered content

Powered by