প্রতিনিধি ৪ মার্চ ২০২১ , ৬:২৫:৪৮ প্রিন্ট সংস্করণ
বগুড়ার নন্দীগ্রাম উপজেলার সর্বত্রই চলছে আলু তোলার ধুম। উপজেলা কৃষি অফিস সূত্রে জানা যায়, উপজেলায় এ বছর ৩ হাজার ৪৫০ হেক্টর জমি আলু চাষের লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছে। আবহাওয়া অনুকূলে থাকায় এবার ফলন ভালো হয়েছে।
জানা গেছে, ভালো ফলনের সম্ভাবনায় কৃষকেরা আশায় বুক বেঁধেছেন। উপজেলার কাথম, চাকলমা, সিংজানি, ভাটগ্রাম, তেঘর, রিধইল, বীরপলি, ধুন্দারসহ বিভিন্ন গ্রামের বিস্তীর্ণ ফসলের মাঠে এখন আলু তোলার কর্মযজ্ঞ চলছে। অনেক চাষি ইতিমধ্যেই আলু তুলে ফেলেছেন। আবার অনেকে আলু তোলার প্রস্তুতি হিসেবে গাছগুলোকে টেনে তুলে ফেলছেন। সারি সারি আলু তোলার পর বস্তাবন্দি করা থেকে শুরু করে কোল্ডষ্টোরেজ কিংবা বাজারজাত করতে আলু চাষিরা ব্যস্ত সময় পার করছেন। বাড়ি বাড়ি, মাঠে মাঠে গোল গোল সোনার আলুর স্তুপ। তাই কৃষকের চোখে-মুখে ফুটে উঠেছে হাসির ঝিলিক। কয়েক সপ্তাহ ধরে উপজেলাজুড়ে আলু তোলার উৎসব শুরু হয়েছে। বাম্পার ফলন তো রয়েছেই, তার সঙ্গে আলুর দাম ভালো পাচ্ছেন কৃষকরা। তাই তো কৃষকের ঘরে-বাইরে, হাটে-মাঠে-ঘাটে সবত্রই গোল আলু গড়াগড়ি খাচ্ছে।
উপজেলার বীরপলি গ্রামের আলু চাষী রুহুল আমিন জানান, তিনি এবার ১০০ বিঘা জমিতে আলু চাষ করেছেন। প্রতি বিঘায় ১২৫ মণ করে আলুর ফলন হচ্ছে। ইতিমধ্যেই তিনি আলুর গাছ তুলে ফেলেছেন। আর কয়েকদিনের মধ্যেই আলু তোলা শেষ হবে। তিনি আলুগুলো বস্তাবন্দি করে কোল্ডষ্টোরেজ রাখার প্রস্তুতি নিচ্ছেন।
ভাটগ্রামের আলু চাষী আক্কাছ আলী জানান, এবার একেকটি আলু বেশ বড় আকারে হয়েছে কোন পোকা-মাকরের বালাই নেই। সোনালী রং ধরেছে আলুতে। দাম ভালো পাওয়ায় মাঠের আলু মাঠেই বিক্রি করছেন তিনি। জমি থেকেই ডায়মন্ড আলু প্রতিমণ ৪৭০ টাকা, পাকরি আলু প্রতিমণ ৬২০ টাকা দরে বিক্রি হচ্ছে।
তাদের মতো অনেক কৃষক জমিতেই পাইকারদের কাছে আলু বিক্রি করেছেন।
পাইকাররা বিঘাপ্রতি দাম ধরে আলু কিনে নিয়েছেন। বিভিন্ন কোল্ডষ্টোরেজগুলোতে আলু সংরক্ষণের বুকিং চলছে। সেখানে বড় বড় ব্যবসায়ীরা ইতিমধ্যেই বুকিং দিয়ে রেখেছেন।
জানতে চাইলে উপজেলা কৃষি অফিসার মো. আদনান বাবু জানান, এবার আবহাওয়া ভালো ছিল। আমরা কৃষকদের বিভিন্ন সময় পরামর্শ দিয়েছি। কৃষি বিভাগের পরামর্শে এবছর আলুর ক্ষেতকে রোগ বালাইমুক্ত রাখতে পেরেছেন কৃষক। এই উপজেলায় আলুর বাম্পার ফলন হয়েছে।