বাংলাদেশ

‘ফোকলা অর্থনীতির কারণে ব্রিকসে সদস্য হতে পারেনি বাংলাদেশ’

  প্রতিনিধি ২৮ আগস্ট ২০২৩ , ৫:৪৪:৩৬ প্রিন্ট সংস্করণ

বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য ড. আবদুল মঈন খান বলেছেন, ‘ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগ দুর্নীতি করে, দেশের অর্থ পাচার করে অর্থনীতিকে ফোকলা করে দিয়েছে। যে কারণে বন্ধু রাষ্ট্র হয়েও বাংলাদেশকে ব্রিকস’র সদস্য পদ দেওয়া হয়নি।’

আজ সোমবার জাতীয় প্রেসক্লাবে জাতীয়তাবাদী প্রজন্ম-৭১ কেন্দ্রীয় কমিটির উদ্যোগে বিএনপি চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়ার মুক্তি ও নির্দলীয় নিরপেক্ষ সরকারের অধীনে নির্বাচনের দাবিতে আয়োজিত আলোচনা সভায় তিনি এসব কথা বলেন।

ড. আবদুল মঈন খান বলেন, ‘সরকার মেগা প্রকল্পের নামে মেগা দুর্নীতি করেছে। এই সরকার বড়াই করে দক্ষিণ আফ্রিকায় গিয়েছিল ব্রিকস’র মেম্বার হবে। যারা ব্রিকস’র সিদ্ধান্ত গ্রহণ করে থাকে, আমাদের সেই বন্ধু রাষ্ট্র কেন আজকে বাংলাদেশকে প্রত্যাখ্যান করেছে? কারণ, বাস্তবতাকে তারা অস্বীকার করতে পারেনি।’

তিনি আরও বলেন, ‘এই সরকার দুর্নীতি করে কোটি কোটি টাকা বিদেশে পাচার করেছে। তারা দেশকে অর্থনৈতিকভাবে ফোকলা করে দিয়েছে। এ কারণে কোনো যুক্তিতেই তারা বাংলাদেশকে ব্রিকস’র সদস্য পদ দিতে পারেনি, এটাই বাস্তবতা। সরকার যেভাবে বিশ্ব পরিমন্ডল থেকে প্রত্যাখান হয়েছে তা আমাদের জন্য লজ্জার।’

‘আমরা কেন বাংলাদেশকে স্বাধীন করেছি’-এমন প্রশ্ন রেখে মঈন খান বলেন, ‘স্বাধীনতার ৫০ বছর পরেও বাংলাদেশে গণতন্ত্র নেই। শুধুমাত্র আমরা বলছি না, গণতান্ত্রিক বিশ্ব যুক্তরাষ্ট্র, যুক্তরাজ্য, ইউরোপীয় ইউনিয়ন, কানাডা, অষ্ট্রেলিয়া প্রত্যেকটি দেশের মানুষ একটি কথাই বলছে। এই সরকার শুধুমাত্র অর্থনীতিতে ব্যর্থ হয়নি; তারা কূটনীতিতেও ব্যর্থ হয়েছে।’

তিনি আরও বলেন, ‘ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগ সরকার ক্ষমতার অন্ধমোহে অর্থবিত্ত বৈভব, হাজার হাজার কোটি টাকা বিদেশে পাচার, দুর্নীতি, মেগা প্রকল্পের নামে মেগা দুর্নীতি করেছে।’

ড. আবদুল মঈন খান বলেন, ‘দেশের ১৮ কোটি মানুষ তো আর দেশ চালাতে পারে না। তাই তারা ৩শ মানুষকে দায়িত্ব দেয়। এটা কোনো চিরস্থায়ী বন্দোবস্ত নয়; পাঁচ বছরের জন্য তাদের এই দায়িত্ব দেওয়া হয়। জনগণের ভোটাধিকার ফিরিয়ে দেওয়া আমাদের একমাত্র লক্ষ্য।’

বিএনপি প্রতিহিংসার রাজনীতিতে বিশ্বাস করে না মন্তব্য করে মঈন খান বলেন, ‘গত এক বছর ধরে বাংলাদেশে কঠিন আন্দোলন করেছি, এর চেয়ে কঠিন, শান্তিপূর্ণ, নিয়মতান্ত্রিক এবং গণতান্ত্রিক আন্দোলন আপনাদের ইতিহাসে দেখাতে পারবেন না। আমরা এ দেশে গণতন্ত্র ফিরিয়ে আনতে চাই। সেই কারণে আমাদের আন্দোলনও এক’শভাগ গণতান্ত্রিক। চলমান শান্তিপূর্ণ আন্দোলনের মাধ্যমে এই সরকারকে নৈতিকভাবে পদত্যাগ করতে বাধ্য করা হবে।’

তিনি বলেন, ‘জোর করে কারও কণ্ঠরোধ করা যায় না। একটা আইন ছিল দেশে ডিজিটাল সিকিউরিটি অ্যাক্ট; এর নাম ও খোলস পরিবর্তন করা হয়েছে। এই আইন ব্যবহার করে তারা বিরোধী মানুষের কণ্ঠ রোধ করতে চায়। কিন্তু পৃথিবীর ইতিহাস বলে, মানুষের কণ্ঠ কেউ রোধ করতে পারিনি। মানুষ ন্যায়, সত্য, সুশাসন, স্বাধীনতা ও গণতন্ত্রের কথা বলবে, মানাবাধিকারের কথা বলবে। এটা কেউ রোধ করতে পারবে না। এই সরকার যে আইন বা নির্দেশই দিক তা জনগণের আন্দোলনের মুখ উড়ে যাবে।’

অনুষ্ঠানে সংগঠনের সভাপতি আমিনুল ইসলাম রিপনের সভাপতিত্বে আরও বক্তব্য রাখেন বিএনপির সাংগঠনিক সম্পাদক আবদুস সালাম আজাদ, বিএনপির কেন্দ্রীয় নেতা আবু নাসের মুহাম্মদ রহমাতুল্লাহ প্রমুখ।

আরও খবর

Sponsered content

Powered by