বাংলাদেশ

বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব রেলওয়ে সেতু’র ৫৩ শতাংশ দৃশ্যমান নির্ধারিত সময়ে উদ্বোধনের আশা

  প্রতিনিধি ৯ জানুয়ারি ২০২৩ , ৫:১১:২৫ প্রিন্ট সংস্করণ

এস.এম আল আমিন,সিরাজগঞ্জ প্রতিনিধি :

যমুনা নদীর বুকচিরে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব রেলওয়ে সেতু এখন দৃশ্যমান হতে শুরু করেছে। দেশের দ্বিতীয় বৃহত্তম সেতু বঙ্গবন্ধু যমুনা সেতুর ৩০০ মিটার অদূরে চলছে এ নির্মানযজ্ঞ। মোট ৫০ টি পিলারের উপর বসানো হবে ৪৯ টি স্প্যান। ইতোমধ্যে ৩৫ নম্বও থেকে ৫০ নম্বর পিলারের কাজ শেষ করেছে প্রকৌশলীরা। সেতুটির পূর্বপ্রান্ত (টাংগাইল) পিলারের উপর ডুয়েল গেজ ডাবল ট্র্যাকের এই সেতুতে ভিয়েতনাম থেকে তৈরিকৃত ১০টি স্প্যান বসিয়ে রেলসেতু দৃশ্যমানও করেছেন তারা। ১১তম স্প্যান বসানোর কাজ চলমান। সহ¯্রাধিক দেশি বিদেশী প্রকৌশলী, কর্মকর্তা কর্মচারী ও শ্রমিকদের তত্বাবধানে চলছে রেলসেতুর এ কর্মযজ্ঞ। জাপান এবং বাংলাদেশ সরকারের যৌথ অর্থায়নে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব রেলওয়ে সেতুর ৪ দশমিক ৮ কিলোমিটার দৈর্ঘ্যের মধ্যে এখন পর্যন্ত ১ দশমিক ৯ কিলোমিটার দৃশ্যমান হয়েছে। বর্তমানে বঙ্গবন্ধু সেতু দিয়ে রেল চলাচল ঝুকিপূর্ণ হওয়ায় গতি কমিয়ে দেয়া হয়েছে, ব্রডগেজ ট্রেন চলাচল নিষেধ করা হয়েছে। কিন্তু নির্মানার্ধীন বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব রেলওয়ে সেতুটি চালু হলে ডাবল লাইনে ১শ’ থেকে ১শ’২০ কিঃমিঃ বেগে প্রতিদিন অন্তত ৮৮টি ট্রেন চলাচল করতে পারবে।

বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব রেলওয়ে সেতুর বিভিন্ন পর্যায়ের নির্মাণ কর্মী ও কর্মকর্তারা জানান দেশের বৃহত্তর মেগা প্রকল্পে যুক্ত হতে পেরে খুশী তারা। কাজের ব্যাপারে তারা স্বাস্থ্য সুরক্ষা ও নিজেদের নিরাপত্তার বিষয়ে খুবই সচেতন।

বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব রেলওয়ে সেতুর নির্মান কাজের অগ্রগতি সম্পর্কে প্রকল্প পরিচালক আল ফাত্তাহ মো: মাসুদুর রহমান জানান, এখন পর্যন্ত সেতুর কাজের অগ্রগতি ৫৩ শতাংশ। কাজের গতি অব্যাহত থাকলে ২০২৪ সালের শেষের দিকে রেলওয়ে সেতুটি উদ্বোধন করা সম্ভব। তিনি আরো জানান, প্রকল্পটির মোট ব্যায় ধরা হয়েছে ১৬ হাজার ৭৮০ কোটি ৯৫ লাখ ৬০ হাজার টাকা। এর মধ্যে সাড়ে ৬ হাজার কোটি টাকা খরচ করা হয়েছে।

বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব রেলসেতু খুলে দেয়া হলে মানুষের সহজ যাতায়াত যেমন নিশ্চিত হবে তেমনি খুলবে উত্তর জনপদের ব্যবসা বানিজ্য সহ সম্ভাবনার নানা দ্বার।

 

 

আরও খবর

Sponsered content

Powered by