চট্টগ্রাম

বাঁশখালী শীলকূপ টাইমবাজার-গন্ডামারা সড়ক যেনো ধানি জমি

  প্রতিনিধি ২৩ মার্চ ২০২৩ , ১২:০৯:৪৫ প্রিন্ট সংস্করণ

চট্টগ্রাম ব্যুরো :

চট্টগ্রামের বাঁশখালী উপজেলার প্রধান সড়কের সাথে সংযুক্ত শীলকূপ টাইম বাজার থেকে পশ্চিমে গন্ডামারা বাজার ব্রিজ পর্যন্ত অভ্যন্তরীণ সড়কের নির্মাণ কাজ চলছে ধীর গতিতে। ফলে জনসাধারণ সীমাহীন ভোগান্তির শিকার হচ্ছেন। সামান্য বৃষ্টিতে জলে-কাদায় বেহাল অবস্থা এ সড়কের। রৌদ্রে ধূলাবালির নরক রাজ্য বৃষ্টিতে ধানি জেিমত রূপ নেয়ায় সড়কে পরিবহণ চলাচল ও স্বাভাবিকভাবে হাটাঁ-চলাফেরা করতে পারছেনা পথচারী। এহেন অবস্থায় বিকল হচ্ছে সড়কে চলমান যানবাহনগুলো। স্থানীয় সরকার প্রকৌশল দপ্তর এলজিইডি চট্টগ্রামের আওতায় রয়েল ইঞ্জিনিয়ারিং এন্ড কনস্ট্রাকশন নামের একটি নির্মাতা প্রতিষ্ঠান সড়ক উন্নয়নের কাজটি করছে। সড়কটির নির্মাণ ব্যয় ধরা হয়েছে পৌনে ৪ কোটি টাকা। কবে নাগাদ সড়কটির কাজ শেষ হবে তা নির্দিষ্ট করে সংশ্লিষ্টরা কেউ বলতে পারছেন না।

সূত্রে জানা যায়, উপজেলার শীলকূপ টাইমবাজার ও পশ্চিমে গন্ডামারা ইউনিয়নের বৃহত্তম জনগোষ্ঠির সঙ্গে প্রধান সড়কের সাথে জনগণের সহজে যাতায়াতের সুবিধার্থে টাইমবাজার থেকে গন্ডামারা ব্রিজ পর্যন্ত সড়ক বর্ধিতকরণসহ পানি নিষ্কাষণ প্রকল্প গ্রহণ করা হয়। সে অনুযায়ী ২০২০-২০২১ অর্থবছরে প্রায় দুই কিলোমিটার সড়কের দু’পাশ বর্ধিতকরণে সড়কটির পুনঃনির্মাণ কাজ শুরু হয়। আর এর জন্য বরাদ্দ দেয়া হয় পৌনে ৪ কোটি টাকা।

অভিযোগ রয়েছে, নির্মাতা প্রতিষ্ঠান রয়েল ইঞ্জিনিয়ারিং এন্ড কনস্ট্রাকশন ২০২৩ সালের ৪ জানুয়ারীতে সড়কের কাজ শুরু করেন। দু’পাশে বর্ধিত অংশের মাটি কেটে স্যান্ড ফিলিং করেন। মাঝপথে কাজ বন্ধ করে চলে যান। আবার আসেন। দীর্ঘ আড়াই মাস অতিক্রম হলেও কাজের গতি নেই। সড়কের কোন কোন অংশে কার্পেটিং তুলে ফেললেও ঠিকমতো বালু ও পাথরের মিশ্রণ ঢেলে রোলিং না করায় খানাখন্দে পরিণত হয়েছে। সম্প্রতি বৃষ্টিপাত হলে প্রধান সড়ক সংলগ্ন টাইমবাজার থেকে প্রায় দেড়শ গজের মতো দূরত্বে পানি চলাচলের ব্যবস্থা না থাকায় জলে-কাদায় জলখেলিতে রূপ নেয় সড়কটি।

স্থানীয় ব্যবসায়ী ও সাধারণ পথচারীরা জানান, সড়কটি বেশ গুরুত্বপূর্ণ একটি যোগাযোগের মাধ্যম। এ সড়ক দিয়ে প্রতিদিন শীলকুপ, গন্ডামারা ইউনিয়নের হাজার হাজার মানুষ চলাচল করে। মূলত সড়কটি টাইমবাজার হয়ে গন্ডামারা পর্যন্ত দীর্ঘ ৫ কিলোমিটার দূরত্বের সাথে বিশাল জনগোষ্ঠির যোগাযোগের মাধ্যম। এ সড়ক দিয়ে বঙ্গবন্ধু উচ্চ বিদ্যালয়, মনকিচর বড় মাদরাসাসহ বেশ কয়েটি প্রতিষ্ঠানের শিক্ষার্থীরা চরম দূর্ভোগে যাতায়ত করে। বর্ষায় হাঁটু পরিমান পানি দিয়ে হাঁটতে গিয়ে নানা দূর্ঘটনার শিকার হচ্ছে পথচারীরা। সম্প্রতি সড়কের কার্পেট খুলে ফেলায় নির্মাণ কাজের ধীরগতির কারণে চরম দূর্ভোগে পড়তে হচ্ছে জনগণকে।

ঠিকাদার কামাল হোসেনের রয়েল ইঞ্জিনিয়ারিং এন্ড কনস্ট্রাকশন নামের একটি নির্মাতা প্রতিষ্ঠানের সাইট ইঞ্জিনিয়ার মো. মাসুম বলেন, প্রধান সড়কের টাইমবাজার থেকে প্রায় দেড়শগজের দূরত্বে পানি নিস্কাশনের ব্যবস্থা না থাকায় সামান্য বৃষ্টিতে ডুবে যায়। এ জন্যে দূর্ভোগ লাঘবে প্রথমে ওই কাজটা করতে চেয়েছিলাম। কিন্তু থানা ইঞ্জিনিয়ার পুরো সড়কের কার্পেটিং কাজ শেষ না করে ওই কাজটি করতে দেয়নি। কবে নাগাদ সড়কের কাজ সম্পন্ন করতে পারবে এমন প্রশ্নের জবাবে নির্দিষ্ট কোন উত্তর দিতে পারেনি সংশ্লীষ্টরা।

এ বিষয়ে জানতে চেয়ে বাঁশখালী উপজেলা প্রকৌশলী (এলজিইডি) কর্মকর্তা কাজী ফাহাদ বিন মাহমুদকে ফোন দিলে তার কোন সাড়া পাওয়া যায়নি।

আরও খবর

Sponsered content

Powered by