প্রতিনিধি ৮ জুলাই ২০২৩ , ৪:১০:২১ প্রিন্ট সংস্করণ
ভোরের দর্পণ ডেস্ক :
যুক্তরাষ্ট্র ও ইউরোপীয় ইউনিয়নের সমালোচনা করে রাশিয়া বলেছে, বাংলাদেশে যে পদ্ধতিতে নির্বাচন পরিচালনা ও সংগঠিত হয় তা জাতীয় আইনে সুস্পষ্টভাবে সংজ্ঞায়িত করা হয়েছে।
রাশিয়ার পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র মারিয়া জাখারোভা ৬ জুলাই মস্কোতে এক ব্রিফিংয়ে বলেন, ‘আমাদের পক্ষ থেকে, আমরা ঢাকার একটি স্বাধীন অভ্যন্তরীণ ও বৈদেশিক নীতি অনুসরণের আকাঙ্ক্ষাকে সমর্থন করি যা বাংলাদেশের স্বার্থ পূরণ করে।’
তিনি বলেছিলেন যে- তারা জুনের মাঝামাঝি ছয় জন এমইপি’র ইইউ উচ্চ প্রতিনিধি ফর ফরেন অ্যাফেয়ার্স অ্যান্ড সিকিউরিটি পলিসি জোসেপ বোরেল এবং সেইসাথে মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রী অ্যান্টনি ব্লিঙ্কেনকে বেশ কয়েকজন মার্কিন কংগ্রেসম্যানের কাছে প্রকাশিত চিঠিগুলো নোট করেছেন এবং বাংলাদেশে অবাধ ও সুষ্ঠু নির্বাচন পরিচালনায় সহায়তার আহ্বান জানিয়েছেন।
রুশ পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র বলেছেন, ‘আমি আগে কখনো শুনিনি যে বাংলাদেশ ইউরোপীয় পার্লামেন্টের সদস্য। আমি এটা শুনিনি কারণ এটা নয়। আমি জানতাম না যে বাংলাদেশে নির্বাচন মার্কিন পররাষ্ট্র দফতরের সাথে যুক্ত।’
পশ্চিমাদের যুক্তি অনুসারে, তিনি বলেন, ইইউর পররাষ্ট্র ও নিরাপত্তা নীতির জন্য উচ্চ প্রতিনিধি এবং মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রীর উচিত বাংলাদেশে নির্বাচনকালীন একটি ‘নিরপেক্ষ অন্তর্বর্তীকালীন সরকার’ গঠনের প্রয়োজনীয়তার বিষয়ে কোনো ধরনের সুপারিশ জারি করা।
জাখারোভা বলেন, ‘এটা নয়া ঔপনিবেশিকতা কি? এটা নগরের প্রকৃতি এবং তাদের উপনিবেশের প্রতি তাদের মনোভাবের বহিঃপ্রকাশ ছাড়া আর কী?
তিনি বলেছিলেন যে- এটি একটি সার্বভৌম রাষ্ট্রের অভ্যন্তরীণ বিষয়ে স্পষ্ট হস্তক্ষেপের একটি প্রচেষ্টা। কিভাবে নির্বাচন পরিচালনা করতে হবে, কর্তৃপক্ষ এটি বুঝে। সে সম্পর্কে তারা পরামর্শ চায়নি।
তিনি আরো উল্লেখ করেন যে- যারা মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র বা ইউরোপীয় ইউনিয়ন দ্বারা সমালোচিত হয়, একটি নিয়মের হিসাবে বিশাল সংখ্যাগরিষ্ঠ তাদের কাছে যায় না। অন্যের অভ্যন্তরীণ বিষয়ে হস্তক্ষেপ না করে তাদের নিজস্ব সমস্যাগুলো মোকাবেলা করার পরার্মশ দেন।
যেকোনো মূল্যে সহিংসতা এড়াতে ইউরোপীয় ইউনিয়ন (ইইউ) সব রাজনৈতিক দলকে নির্বাচন প্রক্রিয়ায় অংশ নেয়ার আহ্বান জানিয়েছে।
ইউরোপীয় ইউনিয়ন ফর ফরেন অ্যাফেয়ার্স অ্যান্ড সিকিউরিটি পলিসির হাই রিপ্রেজেন্টেটিভ জোসেপ বোরেল ফন্টেলেস বলেছেন, ‘ইইউ বাংলাদেশের সকল দল এবং সকল নাগরিককে তাদের রাজনৈতিক অধিকার প্রয়োগ করতে এবং সংসদ নির্বাচনে অংশগ্রহণ করতে উৎসাহিত করে।’
‘মার্কিন আন্ডার সেক্রেটারি উজরা জেয়া রাষ্ট্রদূত ইমরানের সাথে ‘ফলপ্রসূ’ বৈঠক করেছেন; অংশীদারিত্ব গভীর করার জন্য উন্মুখ’
ইউরোপীয় পার্লামেন্টে স্লোভাকিয়ার প্রতিনিধি ইভান স্টেফানেককে সম্বোধন করা একটি চিঠিতে, জোসেপ বোরেল বলেছেন, অন্যদিকে, এই প্রক্রিয়াগুলোতে সহিংসতার কোনো স্থান নেই এবং ‘যেকোনো মূল্যে এড়ানো উচিত।’
তিনি বলেন, ইইউ এবং এর সদস্য রাষ্ট্রগুলো মানবাধিকার, গণতন্ত্র ও আইনের শাসনের বিষয়ে বাংলাদেশের সরকার ও সকল স্টেকহোল্ডারের সাথে ঘনিষ্ঠভাবে জড়িত থাকবে।
এই নীতির অধীনে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র বাংলাদেশের গণতান্ত্রিক নির্বাচন প্রক্রিয়াকে ক্ষুণ্ণ করার জন্য দায়ী বা জড়িত বলে মনে করা যেকোনো বাংলাদেশীর জন্য ভিসা প্রদান সীমিত করতে সক্ষম হবে।
সূত্র : ইউএনবি