আন্তর্জাতিক

তেলের বাজার স্থিতিশীল রাখতে প্রতিশ্রুতিবদ্ধ : সৌদি পররাষ্ট্রমন্ত্রী

  প্রতিনিধি ১৬ মার্চ ২০২২ , ৫:৩৬:৫৬ প্রিন্ট সংস্করণ

ভোরের দর্পণ ডেস্ক:

ইউক্রেন যুদ্ধের কারণে বিশ্বজুড়ে জ্বালানি তেল নিয়ে অস্থিরতা বাড়লেও বাংলাদেশে তেল সরবরাহ স্বাভাবিক রাখার আশ্বাস দিলেন সৌদি আরবের পররাষ্ট্রমন্ত্রী ফয়সাল বিন ফারহান আল সৌদ।

আজ বুধবার (১৬ মার্চ) বাংলাদেশ ও সৌদি আরবের ‘উচ্চ পর্যায়ের’ সংলাপের পর এ আশ্বাস দিয়েছেন তিনি।

সৌদি পররাষ্ট্রমন্ত্রী ফয়সাল বলেন, আমি যেটা আপনাদের বলতে পারি, তেলের বাজার স্থিতিশীল রাখতে আমরা প্রতিশ্রুতিবদ্ধ। এ পর্যন্ত সব সূচক যা বলছে… তেলের সরবরাহ নিয়ে শঙ্কার কিছু এখনো নেই।’

জ্বালানি তেল উৎপাদনে বিশ্বে দ্বিতীয় স্থানে থাকা সৌদি আরব প্রতিদিন ১১ মিলিয়ন ব্যারেল অপরিশোধিত তেল উৎপাদন করে, যা বিশ্বের মোট উৎপাদনের প্রায় ১১ শতাংশ। বাংলাদেশ পেট্রোলিয়াম করপোরেশন (বিপিসি) সৌদি আরবের আরামকো থেকে বছরে ৭ লাখ টন আরব লাইট অপরিশোধিত জ্বালানি তেল আমদানি করে। তেল উৎপাদনে বিশ্বে তৃতীয় অবস্থানে থাকা রাশিয়া প্রতিদিন প্রায় পাঁচ মিলিয়ন ব্যারেল অপরিশোধিত তেল রপ্তানি করে, যার অর্ধেকের বেশি যায় ইউরোপে।

ইউক্রেনে রাশিয়ার আগ্রাসন শুরু হলে ২৪ ফেব্রুয়ারি বিশ্ব বাজারে প্রতি ব্যারেল অপরিশোধিত জ্বালানি তেলের দাম ২০১৪ সালের পর প্রথমবারের মতো ১০০ ডলার ছাড়িয়ে যায়। পরে যুক্তরাষ্ট্রসহ পশ্চিমা মিত্ররা রাশিয়ার ওপর নিষেধাজ্ঞা আরোপ শুরু করায় প্রতি ব্যারেলের দাম ওঠে ১৩৯ ডলারে, যা ২০০৮ সালের পর সর্বোচ্চ।

গত কয়েকদিনে তা আবার ১০০ ডলারের আশপাশে নেমে এলেও কমেনি বিশ্ববাজারে শঙ্কা আর অস্থিরতা। যুদ্ধ দীর্ঘায়িত হলে তার প্রভাব বাংলাদেশে কতটা পড়বে, সরবরাহে জটিলতা তৈরি হবে কি না, সেসব নিয়ে উদ্বেগ রয়েছে বাংলাদেশেও।

দাম বেড়ে যাওয়ায় ভর্তুকির কারণে বিপিসির লোকসান বাড়ছে বাংলাদেশেও। গত ২৫ ফেব্রুয়ারি সংস্থাটির কর্মকর্তারা জানিয়েছিলেন, শুধু ডিজেলেই তাদের দৈনিক ১৩ কোটি টাকার মতো লোকসান হচ্ছে।

জ্বালানি ও  খনিজ সম্পদ প্রতিমন্ত্রী নসরুল হামিদ অবশ্য বলেছেন, এখনই দেশে জ্বালানি তেলের দাম বাড়ানোর কথা সরকার ভাবছে না।

আরও খবর

Sponsered content

Powered by