প্রতিনিধি ২ সেপ্টেম্বর ২০২৩ , ৬:২৮:২১ প্রিন্ট সংস্করণ
ব্রাহ্মণবাড়িয়া বিজয়নগর উপজেলার চান্দুরা ইউনিয়নের রামপুর-রসুলপুর গ্রামে অলৌকিকভাবে কয়েকশ বছর পুরনো বটবৃক্ষ ধুমরে মুচড়ে ভেঙে গেছে।
প্রত্যক্ষদর্শী ও স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, গত ১৯শে আগস্ট শনিবার মধ্য রাতে কোন প্রকার প্রাকৃতিক দুর্যোগ না থাকার পরও বট বৃক্ষটি উপড়ে মধ্যস্থল দিয়্রে ভেঙে চার ভাগে বিভক্ত হয়ে পশ্চিম পাশের অংশটি তিতাস নদীতে পড়ে যায়। বট বৃক্ষটি প্রায় কয়েক’শ বছরের পুরনো বলে স্থানীয়দের দাবি। বৃক্ষটির প্রায় ৫বিঘা জমির আয়তনে বিস্তৃত ছিল।বৃক্ষটির নিচে সনাতন ধর্মালম্বীদের শ্মশান ও পূজা মন্ডপ ছিল। সেখানে সনাতন ধর্মাম্বলীরা নিয়মিত পূজা অর্চনা করতেন। এই বৃক্ষটির নিচে এলাকার লোকজন আশা পূরণ, রোগ মুক্তির আশায় মান্নত করে খাবার ও মিষ্টি রেখে আসতেন। স্থানটি দেখতে নির্জন ও নীরব।
আশেপাশের লোকজন এবিষয়ে জানতে চাইলে কাজী আশুক মিয়া বলেন, ঐদিন রাত ১২টা ৫ মিনিটে সাদা কাপড় পরিহিত (ভিন্ন জাতি) দুটি দলের মধ্যে, গাছটির উপরে বসা নিয়ে ঝগড়া করে, এক পর্যায়ে গাছটিকে শিকড় সহ ভেঙ্গে দেয়।
মামুন মিয়া বলেন, সেদিন জ্বিন ভুতের কোন ঝগড়াঝাটি হয়নি, গাছটির হায়াত না থাকার কারণে ভেঙ্গে গেছে। গাছের বয়স বেশি হওয়ায় শিকড় ভারসাম্যহীন বটবৃক্ষটি ভেঙ্গে গেছে।
স্থানীয় বাসিন্দা বাবুল মিয়া বলেন, সারা দিন গাছটি ভাল ছিল। রাতে কোন বৃষ্টি ঝড় বৃষ্টি ছিল না। সকালে উঠে আমারা দেখি গাছটি দুমড়ে মুছড়ে পড়ে আছে।
স্থানীয় একাধিক বাসিন্দার দাবী, গাছটির পাশ দিয়ে ব্যস্ততম রামপুর মনিপুর সড়ক। নিরব সময় গাছের নীচ দিয়ে যাতায়াত করার সময় অদ্ভুত চিৎকার চেঁচামেচি শোনা যেত। এতে পথচারীরা ভীতসন্ত্রস্ত হয়ে যাতায়াত করত।