বাংলাদেশ

বিদেশীদের দিয়ে কোন লাভ হবে না, ভোট দেবে বাংলাদেশীরা : বিএনপির প্রতি মোমেন

  প্রতিনিধি ১৬ এপ্রিল ২০২৩ , ৭:২৭:২১ প্রিন্ট সংস্করণ

ভোরের দর্পণ ডেস্ক :

পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. এ কে আব্দুল মোমেন রোববার বলেছেন, বিদেশীদের কাছে নালিশ করে কোনো লাভ হবে না। এর বদলে বরং তিনি বিরোধী দল বিএনপিকে তৃণমূল পর্যায়ে ভোটারদের কাছে যেতে এবং তাদের কথা শুনতে পরামর্শ দিয়েছেন।

তিনি বলেন, ‘এগুলো খুবই দুঃখজনক। তাদের তৃণমূল পর্যায়ে ভোটারদের কাছে যাওয়া উচিত। বিদেশীরা তো ভোট দেবে না, ভোট দেবে বাংলাদেশীরা।’

রোববার বাংলাদেশে নিযুক্ত মার্কিন রাষ্ট্রদূত পিটার হাসের সাথে বিএনপির প্রতিনিধি দলের বৈঠকের ব্যাপারে তিনি এসব কথা বলেন।

মোমেন তার নির্বাচনী এলাকায় সাম্প্রতিক সফরের কথা উল্লেখ করে বলেন, রাজনৈতিক নেতাদের প্রচেষ্টা জনগণের কল্যাণের দিকে মনোনিবেশ করা উচিত।

তিনি বলেন, ‘আপনারা যদি তৃণমূল পর্যায়ের ভোটারদের সাথে আলোচনা করেন, তবে আপনারা বুঝতে পারবেন, আরো উন্নয়নের জন্য কী করা প্রয়োজন।’

এক প্রশ্নের জবাবে মোমেন বলেন, যুক্তরাষ্ট্র ‘অবাধ ও সুষ্ঠু নির্বাচন’ চায় এবং তারাও (আওয়ামী লীগ) তা-ই চায়। ‘(নির্বাচন ইস্যুতে) কোনো দ্বিমত নেই।’

তিনি বলেন, যুক্তরাষ্ট্র বাংলাদেশের সাথে সম্পর্ক আরো বাড়াতে চায় এবং তাই তারা এমন রাষ্ট্রদূত পাঠিয়েছেন যিনি অর্থনৈতিক বিষয়ে বিশেষজ্ঞ। ‘আমরা আশা করি বাণিজ্য উন্নয়নের প্রচেষ্টা ত্বরান্বিত হবে এবং রাষ্ট্রদূত এর ওপর জোর দেবেন।’

মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রীর সাথে তার সাম্প্রতিক বৈঠক প্রসঙ্গে মোমেন বলেন, ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনের (ডিএসএ) প্রশ্নসহ যুক্তরাষ্ট্র যেসব প্রশ্নের উত্তর দিয়েছে, বাংলাদেশ তার উত্তর দিয়েছে।

পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, বাংলাদেশ সমস্যাটি পরীক্ষা করছে। কারণ কিছু ক্ষেত্রে ডিএসএ এর প্রয়োগটা সঠিকভাবে করা হয়নি। ‘আমরা এটা পরীক্ষা করছি। যদি কোনো দুর্বলতা থাকে, আমরা তা দেখব।’

মোমেন বলেন, যুক্তরাষ্ট্র বাংলাদেশের জবাবে ‘বেশ খুশি’। কারণ উভয় পক্ষই অপ্রয়োজনীয় হয়রানি এড়াতে চায়।

বাংলাদেশ মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রকে জানিয়ে দিয়েছে যে ডিজিটাল নিরাপত্তা আইন (ডিএসএ) সংবাদপত্রের স্বাধীনতা সীমাবদ্ধ করার জন্য নয়, সরকার সংবাদপত্রের স্বাধীনতায় বিশ্বাস করে।

ওয়াশিংটন ডিসিতে যুক্তরাষ্ট্রের পররাষ্ট্রমন্ত্রী অ্যান্টনি ব্লিঙ্কেনের সাথে বৈঠকে মার্কিন পক্ষের উদ্দেশে পররাষ্ট্রমন্ত্রী মোমেন বলেন, ‘আমরা বলেছিলাম, আমরা ডিজিটাল নিরাপত্তা আইন করেছি, কিন্তু এটা সংবাদপত্রের স্বাধীনতা রোধ করার জন্য নয়। আওয়ামী লীগ সংবাদপত্রের স্বাধীনতায় বিশ্বাস করে’।

মোমেন বিপুল সংখ্যক সংবাদপত্র ও বেসরকারি টেলিভিশন চ্যানেলের উপস্থিতির কথা উল্লেখ করেন এবং তিনি এগুলোকে ‘অতি সক্রিয়’ হিসেবে বর্ণনা করেন।

সভায় সেক্রেটারি অব স্টেট ব্লিঙ্কেন ‘গণমাধ্যম ও নাগরিক সমাজের বিরুদ্ধে সহিংসতা এবং ভীতি প্রদর্শন’ নিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করেছেন।

সূত্র : ইউএনবি

আরও খবর

Sponsered content

Powered by