আন্তর্জাতিক

বিশ্বে করোনায় মৃত ৫ লাখ ৮৬ হাজারের বেশি

  প্রতিনিধি ১৬ জুলাই ২০২০ , ১১:৩৩:১০ প্রিন্ট সংস্করণ

বৈশ্বিক মহামারি করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হয়ে বিশ্বে মৃতের সংখ্যা বাড়ছেই। শেষ খবর অনুযায়ী, আজ বৃহস্পতিবার সকাল পর্যন্ত মৃতের সংখ্যা বেড়ে দাঁড়িয়েছে পাঁচ লাখ ৮৬ হাজার ৮২০ জনে। বিশ্বব্যাপী করোনাভাইরাসের সর্বশেষ পরিসংখ্যান জানার অন্যতম ওয়েবসাইট ওয়ার্ল্ডোমিটার এ তথ্য জানিয়েছে।

ওয়ার্ল্ডোমিটারের তথ্য অনুযায়ী, করোনাভাইরাসে এ পর্যন্ত আক্রান্ত হয়েছে বিশ্বের এক কোটি ৩৬ লাখ ৯১ হাজার ৫৭০ জন। তাদের মধ্যে বর্তমানে ৫০ লাখ ৬৭ হাজার ৬১০ জন চিকিৎসাধীন এবং ৫৯ হাজার ৬১৭ জন আশঙ্কাজনক অবস্থায় রয়েছে।

এ ছাড়া, করোনাভাইরাসে আক্রান্তদের মধ্যে এখন পর্যন্ত ৮০ লাখ ৩৭ হাজার ১৪০ জন সুস্থ হয়ে উঠেছে।

গত বছরের ডিসেম্বরে চীন থেকে উৎপত্তি হওয়া প্রাণঘাতী করোনাভাইরাস বাংলাদেশসহ বিশ্বের ২১৩টি দেশ ও অঞ্চলে ছড়িয়ে পড়ে।

গত ১১ মার্চ করোনাভাইরাস সংকটকে মহামারি ঘোষণা করে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা (ডব্লিউএইচও)।

নভেল করোনাভাইরাসজনিত কোভিড-১৯ রোগে আক্রান্ত হয়ে দেশে আরো ৩৩ জনের মৃত্যু হয়েছে। এ নিয়ে দেশে করোনায় আক্রান্ত হয়ে দুই হাজার ৪৫৭ জনের মৃত্যু হলো। এ ছাড়া দেশে নতুন করে আরো ৩ হাজার ৫৩৩ জন করোনাভাইরাসে আক্রান্ত শনাক্ত হয়েছে। এ নিয়ে দেশে মোট এক লাখ ৯৩ হাজার ৫৯০ জন করোনায় আক্রান্ত রোগী শনাক্ত হয়েছে।

গতকাল বুধবার দুপুরে স্বাস্থ্য অধিদপ্তর আয়োজিত নিয়মিত বুলেটিনে অধিদপ্তরের অতিরিক্ত মহাপরিচালক (প্রশাসন) অধ্যাপক ডা. নাসিমা সুলতানা এসব তথ্য জানান।

বুলেটিনে অধ্যাপক নাসিমা বলেন, করোনায় মৃতদের মধ্যে ১ থেকে ১০ বছরের একজন, ৩১ থেকে ৪০ বছরের মধ্যে তিনজন, ৪১ থেকে ৫০ বছরের মধ্যে পাঁচজন, ৫১ থেকে ৬০ বছরের মধ্যে ১০ জন, ৬১ থেকে ৭০ বছরের মধ্যে সাতজন, ৭১ থেকে ৮০ বছরের মধ্যে পাঁচজন ও ৮০ থেকে ৯০ বছরের মধ্যে দুজন মৃত্যুবরণ করেছেন।

মৃতদের মধ্যে ঢাকা বিভাগের ১৬ জন, রাজশাহী বিভাগের দুজন, চট্টগ্রাম বিভাগের সাতজন, রংপুর বিভাগের তিনজন ও খুলনা বিভাগে পাঁচজন রয়েছেন।

অধ্যাপক নাসিমা আরো বলেন, মৃতদের মধ্যে হাসপাতালে ২৭ জন এবং বাড়িতে ছয়জন মারা গেছে। তিনি বলেন, দেশে মোট মৃতদের মধ্যে ঢাকা বিভাগে এক হাজার ২২৪ জন, চট্টগ্রাম বিভাগে ৬৩৩ জন, রাজশাহী বিভাগে ১২৭ জন, খুলনা বিভাগে ১৩২ জন, বরিশাল বিভাগে ৮৯ জন সিলেট ১১০ জন, রংপুরে ৮০ জন ও ময়মনসিংহে ৫৬ জন রয়েছেন।

১৪ হাজার ৩০৮ জনের নমুনা সংগ্রহ করা হয়েছে। এর মধ্যে ১৪‌ হাজার দুজনের নমুনা পরীক্ষা করা হয়েছে। এর মধ্য থেকে দুই হাজার ৪৫৭ জনের শরীরে নভেল করোনাভাইরাসের উপস্থিতি পাওয়া গেছে, যা নমুনা পরীক্ষার ২৫ দশমিক ২৩ শতাংশ।

ডা. নাসিমা আরো বলেন, এক হাজার ৭৯৬ জন করোনা থেকে সুস্থ হয়েছে। এ নিয়ে করোনায় আক্রান্ত মোট এক লাখ ৫২৩ জন সুস্থ হয়ে উঠল। মোট আক্রান্ত শনাক্তের বিবেচনায় সুস্থতার হার ৫৪ দশমিক ২৫ শতাংশ।

দেশে গত ৮ মার্চ প্রথম করোনাভাইরাসে আক্রান্ত রোগী পাওয়ার কথা জানানো হয় এবং প্রথম মৃত্যু ঘটে গত ১৮ মার্চ। এরপর গত ১৪ এপ্রিল ৩৮তম দিনে কোভিড-১৯ রোগীর সংখ্যা এক হাজারে দাঁড়ায়।

আরও খবর

Sponsered content

Powered by