বাংলাদেশ

বেইলি রোডে অগ্নিকাণ্ড : মামলার তদন্ত করবে সিআইডি

  প্রতিনিধি ৭ মার্চ ২০২৪ , ৮:৩৭:০১ প্রিন্ট সংস্করণ

বেইলি রোডে অগ্নিকাণ্ড : মামলার তদন্ত করবে সিআইডি

রাজধানীর বেইলি রোডের গ্রিন কোজি কটেজে আগুনে ৪৬ জনের প্রাণহানির ঘটনায় কর্তব্যে অবহেলাজনিত অভিযোগে রমনা থানায় দায়ের করা পুলিশ বাদী মামলার তদন্তভার সিআইডিতে হস্তান্তর করা হয়েছে। গত ১ মার্চ রাতে পুলিশ বাদী হয়ে এ মামলা করে। মামলাটি তদন্ত করছিল রমনা থানা পুলিশ। 

তদন্তের শুরুতেই পুলিশ চারজনকে গ্রেপ্তার করে। তারা হলেন- ভবনের কাচ্চি ভাইয়ের ম্যানেজার জিসান, চা চুমুকের মালিক আনোয়ারুল হক ও শাকিল আহমেদ রিমন এবং গ্রিন কোজি কটেজ ভবনের ম্যানেজার হামিমুল হক বিপুল। মামলাটি বর্তমানে পুলিশের অপরাধ তদন্ত বিভাগ (সিআইডি) তদন্ত করছে। সিআইডির ফরেনসিক বিভাগ ইতোমধ্যে ঘটনাস্থল থেকে আগুনের ১৫টির বেশি আলামত সংগ্রহ করেছে।

রমনা জোনের অতিরিক্ত উপ-পুলিশ কমিশনার (এডিসি) শাহ আলম মো. আখতার ইসলাম ঢাকা পোস্টকে বিষয়টি নিশ্চিত করে বলেন, বেইলি রোডের আগুনের ঘটনায় করা মামলাটি এখন সিআইডি তদন্ত করছে। আগুনের ঘটনায় এখন পর্যন্ত ৪৬ জনের মৃত্যু হয়েছে।

এ ঘটনার নেপথ্যের কারণ খুঁজছে ফায়ার সার্ভিস। ইলেকট্রিক কেটলি ও গ্যাস সিলিন্ডার বিস্ফোরণ থেকে অগ্নিকাণ্ড ঘটতে পারে বলে প্রাথমিকভাবে ধারণা করা হচ্ছে। তবে এখনো শতভাগ নিশ্চিত হওয়া যায়নি যে আগুনের সূত্রপাত কোথায় থেকে। এজন্য সঠিক তদন্তে ফায়ার সার্ভিসের পক্ষ থেকে গঠন করা হয়েছে কমিটি।

সিআইডির ফরেনসিক টিমের সংগ্রহ করা আলামত এরই মধ্যে পরীক্ষাগারে পাঠানো হয়েছে। আগামী সপ্তাহেই স্পষ্ট হবে আগুনের নেপথ্যে কী ছিল কারণ।

বৃহস্পতিবার (৭ মার্চ) রাজধানীর মালিবাগে সিআইডি সদরদপ্তরে এক সংবাদ সম্মেলনে সিআইডি প্রধান অতিরিক্ত আইজিপি মোহাম্মদ আলী মিয়া বলেন, ঘটনাস্থলে সিআইডির ফরেনসিক টিম, ডিএনএ টিম ও কেমিক্যাল টিম কাজ করেছে। বেশকিছু আলামত সংগ্রহ করে পরীক্ষাগারে পাঠানো হয়েছে। দু-একদিনের মধ্যেই রিপোর্ট পাওয়া যাবে।

সিআইডি প্রধান বলেন, প্রাথমিকভাবে আমরা যেটা জানতে পেরেছি, গ্যাস সিলিন্ডার থেকে আগুনের সূত্রপাতের সম্ভাবনাই বেশি। কেমিক্যালের আলামতও পরীক্ষা করা হচ্ছে। এর কারণ হচ্ছে সেখানে বিস্ফোরকজাতীয় কিছু ছিল কি না। আলামত পরীক্ষার প্রতিবেদনের অপেক্ষায় আছি। রিপোর্ট পেলেই নিশ্চিত হবে আগুনের কারণ।

Powered by