বাংলাদেশ

নৌকার কোনো ব্যাক গিয়ার নেই : মেয়র আতিক

  প্রতিনিধি ৮ নভেম্বর ২০২৩ , ৭:১০:৩১ প্রিন্ট সংস্করণ

নৌকার কোনো ব্যাক গিয়ার নেই : মেয়র আতিক

ঢাকা উত্তর সিটি কর্পোরেশনের মেয়র আতিকুল ইসলাম বলেছেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে দেশ এগিয়ে যাচ্ছে আরও এগিয়ে যাবে। তাই আগামী নির্বাচনে আবারও নৌকায় ভোট দিয়ে, জয়যুক্ত করতে হবে।

বুধবার (৮ নভেম্বর) রাজধানীর গুলশানে ডিএনসিসির নগরভবনে আয়োজিত এক অনুষ্ঠানে তিনি এসব কথা বলেন। ঢাকা উত্তর সিটি কর্পোরেশনের ডিএনসিসির ‌‘স্মার্ট অন স্ট্রিট পার্কিং’ বা ডিএনসিসি স্মার্ট পার্কিং অ্যাপের উদ্বোধন উপলক্ষ্যে এই অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়।

আতিকুল ইসলাম বলেন, দেশে এগিয়ে যাচ্ছে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার হাত ধরে। তার নেতৃত্বেই আমরা এগিয়ে চলেছি। স্মার্ট বাংলাদেশের যে ভিশন সেদিকে আমরা এগিয়ে যাচ্ছি। কিন্তু আমাদের বিরোধী যারা আছে তারা যত পারে চেষ্টা করছে দেশকে পিছিয়ে নিয়ে যেতে। আমরা কখনো পিছিয়ে যাব না, আমরা এগিয়ে যাব। আমি আগেও বলেছি নৌকার কোনো ব্যাক গিয়ার নেই। নৌকার একটাই গিয়ার, সেটা হলো ফ্রন্ট গিয়ার। নৌকার যে কোনো ব্যাক গেয়ার নেই তার আরও একটি প্রমাণ হচ্ছে আজকে এই স্মার্ট পার্কিং উদ্বোধন।

তিনি বলেন, আমি জনগণকে অনুরোধ করব, নগরবাসীর প্রতি আহ্বান জানাব আপনাদের সহযোগিতা ছাড়া ঢাকা শহরে স্মার্ট পর্কিং অসম্ভব। পর্যায়ক্রমে ঢাকা উত্তর সিটি কর্পোরেশনের আওতাধীন পতিত এলাকায় এ স্মার্ট পার্কিং ব্যবস্থা গুড়ে তোলা হবে। আমরা স্মার্ট বাংলাদেশ স্মার্ট সিটি কর্পোরেশন গড়ে তুলব এ অঙ্গীকার করছি।

আতিকুল ইসলাম বলেন, আজকে এই উদ্বোধনী অনুষ্ঠানের মাধ্যমে ঢাকাবাসী স্মার্ট পার্কিংয়ের যাত্রা শুরু করল। স্মার্ট পার্কিংয়ে প্রথম দুই ঘণ্টার জন্য আমরা ফ্রি নির্ধারণ করেছি ৫০ টাকা, পরবর্তী ঘণ্টার জন্য আরও ৫০ টাকা। অর্থাৎ তিন ঘণ্টার জন্য একজনকে গুনতে হবে ১০০ টাকা।  এরপরে প্রতি ঘণ্টার জন্য গুনতে হবে ১০০ টাকা করে। যে কেউ এখানে অনলাইনের মাধ্যমে বুকিং করে গাড়ি রাখতে পারবে এবং অনলাইনে পেমেন্ট করতে পারবে।

ডিএনসিসির মেয়র বলেন, ঢাকা উত্তর সিটি কর্পোরেশন অনলাইনে ট্যাক্স নিচ্ছে যেখানে কোন ক্যাশে হোল্ডিং ট্যাক্স নেওয়া হবে না। আমরা অনলাইনে হোল্ডিং ট্যাক্স নিচ্ছি। আপনারা কেউ হোল্ডিং ট্যাক্স সশরীরে এসে দেবেন না, সবাই অনলাইনে হোল্ডিং ট্যাক্স পরিশোধ করবেন। কারণ কিছু কিছু অসাধু কর্মকর্তা আছে যারা আপনাকে ‘আকাশের যত তারা সিটি কর্পোরেশনে তত ধারা’ এগুলো দেখিয়ে দেবে। তাই অনলাইন ওপেন করবেন আপনার ট্যাক্স আপনি দিয়ে দেবেন। ইতোমধ্যে আমরা অনলাইনে ট্রেড লাইসেন্স আমরা চালু করে দিয়েছি। কোনো অভিযোগ জানাতে আমরা সবার ঢাকা অ্যাপ চালু রেখেছি। যে কেউ যে কোন জায়গা থেকে বসে অভিযোগ জানাতে পারছেন এবং আমরা তাৎক্ষণিক তা সমাধান করে দিচ্ছি।

তিনি বলেন, সবার ঢাকা অ্যাপে আসা অভিযোগগুলোর মধ্যে আমরা ৯৮ শতাংশ সমস্যার সমাধান ইতোমধ্যে করে দিয়েছি। এসব অনলাইন কার্যক্রমই হলো স্মার্ট বাংলাদেশের অংশ। দুর্নীতি মুক্ত এবং জবাবদিহিতার আওতায় আনার জন্য আমরা এরকম অনলাইন সিস্টেম ইতোমধ্যে চালু করে ফেলেছি। 

অনুষ্ঠানে আরও উপস্থিত ছিলেন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামাল, ইন্সপেক্টর জেনারেল অব পুলিশ চৌধুরী আবদুল্লাহ আল মানুন, ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশ কমিশনার হাবিবুর রহমান, ঢাকা ১৭ আসনের সংসদ সদস্য মোহাম্মদ আলী আরাফাত, জননিরাপত্তা বিভাগের সিনিয়র সচিব মোস্তাফিজুর রহমান প্রমুখ।

আরও খবর

Sponsered content

Powered by