‘বেগম জিয়ার বিদেশ যাবার আবেদন করে লাভ হবে না’

ভোরের দর্পণ ডেস্ক:

বিএনপি চেয়ারপার্সন বেগম খালেদা জিয়ার বিদেশে যাবার আবেদন করে কোনো লাভ হবে না বলে মন্তব্য করেছেন আইনমন্ত্রী অ্যাডভোকেট আনিসুল হক।

আজ শুক্রবার (১১ মার্চ) বিকেলে ব্রাহ্মণবাড়িয়ার কসবা উপজেলার বায়েক ইউনিয়নের চারুয়া মাদ্রাসা মাঠে আয়োজিত এক জনসভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এ কথা বলেন।

সে সময় আইনমন্ত্রী বলেন, বেগম জিয়ার বিদেশে যাওয়ার ক্ষেত্রে আইনে যা আছে, সেটিই হবে। বিশেষ ক্ষমতাবলে তাকে মুক্তি দিয়ে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা মহানুভবতা দেখিয়েছেন। মুক্তির দেওয়ার সময় তাকে দুটি শর্ত দেওয়া হয়েছিল। প্রথম শর্ত হলো- তিনি বাসায় থেকেই চিকিৎসা নেবেন। আর দ্বিতীয় শর্ত হলো- তিনি বিদেশ যেতে পারবেন না।

তিনি আরো বলেন, বেগম জিয়া ওই দুই শর্তে মুক্ত হয়ে বাসায় ফিরলেন। বাসায় থাকলেন। কারো সাথে দেখা করলেন না। তারপর উনার করোনা হলো। তিনবার তিনি হাসপাতালে গেলেন। তাকে হাসপাতালে যেতে সরকার বাধা দেয়নি।

বাংলাদেশের মানুষকে অপমান করে বিদেশে দাসত্ব গ্রহণ করে তারা আওয়ামী লীগ সরকারকে, জননেত্রী শেখ হাসিনা সরকারকে হারাতে চায় বিএনপি। বাংলাদেশের জনগণ বেঁচে থাকতে সেটা কখন হতে দেবে না। আর আইনের বাইরে তার চিকিৎসা নিয়ে কিছু করা যাবে না। উনারা একবার নয়, একশ বার আবেদন করে কোন লাভ হবে না। আইনে যা আছে, তাই হবে। এর কোনো ব্যত্যয় হবে না বলে জানান আইনমন্ত্রী।

মন্ত্রী বলেন, দেশের উন্নয়নে একাত্তরের পরাজিত শক্তিরা মোটেও খুশি না। আমরা যুদ্ধ করে রক্ত দিয়ে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের নির্দেশে বাংলাদেশ স্বাধীন করেছি। আমরা যোদ্ধা। আমাদের বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্র করে বিদেশের মাটিতে কোনো লাভ হবে না।

বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল সম্পর্কে মন্ত্রী বলেন, তিনি আমেরিকায় চিঠি লিখেছেন। চিঠিতে তিনি লিখেছেন, তারা ক্ষমতায় আসলে আমেরিকার স্বার্থ রক্ষা হবে।

মির্জা ফখরুলের কঠোর সমালোচনা করে আইনমন্ত্রী বলেন, তিনি বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দলের মহাসচিব হতে গেলেন কেন। তিনি আমেরিকা জাতীয়তাবাদী দলের মহাসচিব হলেই পারতেন।

এ সময় জনগণকে উদ্দেশ্য করে আনিসুল হক বলেন, এসব কথা, এসব ষড়যন্ত্র, এসব দাসত্ব বাংলাদেশের মানুষের গ্রহণ করবে না। আপনাদেরকে বলতে চাই ষড়যন্ত্র অব্যাহত আছে। আপনারা সজাগ থাকবেন। আপনারা এই ষড়যন্ত্রের জবাব দেবেন।

সভায় কসবা উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান রাশেদুল কাউছার ভূঁইয়া জীবন, ভাইস চেয়ারম্যান মো. মনির হোসেন, কসবা পৌরসভার চেয়ারম্যান এমজি হাক্কানী, পৌরসভার সাবেক মেয়র এমরান উদ্দিন জুয়েলসহ আরো অনেকে উপস্থিত ছিলেন।