দেশজুড়ে

বোয়ালমারীর বস্ত্র বিতানগুলোতে ভিড় নেই, বিক্রিও কম!

  প্রতিনিধি ৩১ মার্চ ২০২৪ , ৬:০১:৩৪ প্রিন্ট সংস্করণ

বোয়ালমারীর বস্ত্র বিতানগুলোতে ভিড় নেই, বিক্রিও কম!

রমজানের ২০ রোজা শেষ। তবুও বোয়ালমারীর বস্ত্র বিতানগুলোর বেচাকেনা একেবারেই কম। গত বছর একই সময়ে আশানুরূপ বেচাকেনা হলেও এবার তার দেখা মিলছে না। হতাশায় অলস সময় কাটছে মার্কেট মালিক ও শ্রমিকদের। সকালে হালকা চাপ পড়লেও বিকেলে মার্কেট গুলো ফাঁকা থাকে। সন্ধ্যার পর আবার একটু লোকজনের দেখা মেলে। বেচাকেনা যেন ঠ্যালা গাড়ির মত চলছে।

বোয়ালমারী পৌরসভা বাজার শনিবার- রোববার ঘুরে দেখা গেছে রাজপ্লাজা মার্কেটে অবস্থিত ডালিয়া গার্মেন্টস, মুসলিম গার্মেন্টস, ইউসুফ গার্মেন্টস। স্টেশন রোডে আজহার টাওয়ারে অবস্থিত আদর্শ বস্ত্র বিতান, আদর্শ গার্মেন্টস, খন্দকার বস্ত্রালয়। সোবহান শপিং কমপ্লেক্সে অবস্থিত কারুকা বাংলা বস্ত্রালয়, রঙিন সুতা, জনপ্রিয় বস্ত্রালয়। বিলাসী শপিং কমপ্লেক্সে অবস্থিত মায়ের দোয়া, মুসলিম কালেকশন, হাই কালেকশন, ফ্যাশন বাজার, সিহাব গার্মেন্টস, নাজ ফ্যাশন। এসব বড় বড় মার্কেটগুলোয় বেচাকেনা আগের তুলনায় কম।

ব্যবসায়ীরা কারণ হিসেবে দেখছে সাধারণ মানুষ কাজে ব্যস্ত থাকা ও অনেকের অর্থাভাবই মূল কারণ।ক্রেতাদের চাহিদা মেটাতে ব্যবসায়ীরা নানা ধরনের বাহারি রকমের কাপড় দোকানে এনেছেন। কোন কোন ব্যবসায়ী ধারদেনা করে দোকানে মালামাল উঠিয়েছে। মালামাল বিক্রি করে ধার দেনা পরিশোধ করবে। তবে বিক্রির যে অবস্থা তাতে শেষ পর্যন্ত কি হবে সেটা বুঝে উঠতে পারছেনা অনেকে।

বাহারি ধরনের পোশাকের মধ্যে নারীদের আইটেম বেশি রয়েছে, এর মধ্যে নায়েরা, আলিয়াকাট, জর্জেট, চিনন, বারিশা, শারারা, গারারা, এগুলো থ্রিপিচ দেড় থেকে দুই হাজার টাকায় বিক্রি করছেন। ইন্ডিয়ান বিপুলের থ্রিপিচ, পাকিস্তানি থ্রিপিচ, গাউন, পদ্মজা, কাতান, অরগানজা থ্রিপিচ গুলো প্রকার ভেদে তিন থেকে পাঁচ হাজার টাকায় বিক্রি হচ্ছে। কমদামের মধ্যে থ্রি-পিস, ফোর-পিচ, গজ কাপড়, যা বিক্রি হচ্ছে পাঁচশো থেকে সাতশো টাকায়।

পুরুষদের পোশাকের মধ্যে রয়েছে, সিকুয়েন্স, খান্দানি, লোবান, কাবলী পাঞ্জাবী, এর বাজার মূল্য এক হাজার থেকে দুই হাজার টাকা, জিন্স প্যান্ট, টি শার্ট, শার্ট, ট্রাওজার, গ্যাবাডিং এগুলো প্রকার ভেদে পাঁচশো টাকা থেকে এক হাজার দুই হাজার টাকার মধ্যে বিক্রি হচ্ছে।ইউসুফ গার্মেন্টসের মালিক দাউদুর রহমান শামীম বলেন, এবার রোজায় আমাদের বেচাকেনা মোটামুটি হচ্ছে। গত বছর ভালো বেচাকেনা হয়েছিল। তবে আশা রাখছি অফিস আদালত বন্ধ হলে বিক্রি আগের তুলনায় বাড়বে।

মুসলিম গার্মেন্টসের সেল্সম্যান তাকওয়া শেখ বলেন, রমজানের রোজার কারণে সকালে ও রাতে মোটামুটি বিক্রি হয়। তবে এবার সাধারণ ক্রেতারাও দামি পোষাক ক্রয় করছে। বেশি কিশোর কিশোরীদের পোষাক বিক্রি হচ্ছে। ২৫ রোজার পর থেকে বিক্রি বাড়তে পারে। হাই কালেকশনের মালিক মো. জাহাঙ্গীর শেখ ও মুসলিম কালেকশনের সেল্সম্যান হামজা জানান, আমাদের দোকানে নারী, পুরুষ, কিশোর, কিশোরী, বাচ্চাদের পোষাক রয়েছে।

এ কারণে সব মিলে ভালোই বিক্রি হচ্ছে। তবে মেয়েদের তুলনায় পুরুষদের পোষাক বিক্রি কম। রঙিন সুতার মালিক হেলাল মিয়া জানান, আমার দোকানে নারীদের সকল ধরনের পোশাকসহ বাচ্চাদের ভালো মানের দামি পোশাকও এনেছি। প্রতি পিচ বাচ্চাদের পোষাক প্রকার ভেদে ২ হাজার টাকা থেকে শুরু করে ৬ হাজার টাকা দামের মধ্যে রয়েছে।

আরও খবর

Sponsered content

Powered by