রাজশাহী

বড়াইগ্রামে ফেসবুকে স্ট্যাটাস দিয়ে নারীর আত্মহত্যা

  প্রতিনিধি ১২ জুলাই ২০২০ , ৫:৫০:২৯ প্রিন্ট সংস্করণ

বড়াইগ্রাম (নাটোর) প্রতিনিধি : নাটোরের বড়াইগ্রামের বনপাড়া বাহিমালী গ্রামের জেনি বেবী কস্তা (৩৮) নামে একজন খৃস্টান নারী ফেসবুকে ‘‘অবশেষে ফিরে যাবো বহু প্রতীক্ষিত প্রিয়জনদের কাছে, বাক্স বন্দি হয়ে’’ এই মর্মে স্টেটাস দিয়ে আত্মহত্যা করেছে। রবিবার সকালে ওই নারীর মৃতদেহ ময়না তদন্ত করা হয়েছে। এর আগে শনিবার বিকেলে নিজ বাড়ির শোবার ঘরের দরজা ভেঙ্গে পুলিশ ওই নারীর ঝুলন্ত মৃতদেহ উদ্ধার করেছে। সে ওই গ্রামে মৃত আব্রাহাম কস্তার মেয়ে।
মেয়েটির নিকট আতœীয়রা জানান, গত ১৬ বছর আগে স্বামীর সাথে ছাড়াছাড়ি হয়ে গেলে জেনি বেবী কস্তা আর বিয়ে করেনি। সে ঢাকায় একটি বিদেশী হাউজে ’হাউজ কেয়ার গিভার’ পদে চাকরী করতো। করোনা পরিস্থিতির কারণে গত মার্চ মাসে ওই হাউজের সকল সদস্য নিজ দেশ আমেরিকায় চলে গেলে সে কর্মহীন হয়ে পড়ে। এরপর পিতৃ-মাতৃহীন জেনি বেবী কস্তা গ্রামের বাড়িতে এসে ছোট ভাই বিলাস কস্তার কাছে আশ্রয় নেয়। দীর্ঘদিন বাড়িতে অবস্থান করায় ভাই, দাদা, বৌদি ও ভাতিজারা তার সাথে খারাপ আচরণ করতো। গত মাসে পারিবারিক কলহের জের ধরে দাদা রঞ্জন কস্তার ছেলে তরুণ কস্তা জেনি বেবীকে মারধোর করে রক্তাক্ত আহত করে। চাকরী হারিয়ে দীর্ঘদিন বেকার থাকা ও ভাই-দাদা ও বৌদির কাছ থেকে অবহেলিত হওয়ায় সে মানসিক কষ্টে ভুগছিলো। প্রায় ১ মাস যাবত আত্মহত্যা করবে এমন ইঙ্গিত দিয়ে সে ফেসবুকে নানাবিধ পোস্ট দিয়ে আসছিলো। সর্বশেষ শুক্রবার রাতে ফেসবুকে ২৬ টি নিজের ছবি পোস্ট দিয়ে স্ট্যাটাস দেয় ‘আমি মরে গেলে তোরা এগুলো দেখিস’।
বনপাড়া পুলিশ তদন্ত কেন্দ্রের ইনচার্জ তৌহিদুল ইসলাম জানান, ওড়না দিয়ে ঘরের ডাবের সাথে গলায় ফাঁস লাগিয়ে সে আত্মহত্যা করে। দীর্ঘবছর একাকীত্ব জীবন-যাপন ও দীর্ঘদিন বাড়িতে বেকার অবস্থান করায় তিনি হতাশায় ভুগছিলেন। তার মৃত্যুর ঘটনায় থানায় একটি অপমৃত্যু মামলা দায়ের করা হয়েছে।

Powered by