খুলনা

ভারি বৃষ্টি-ঝড়ো বাতাসে আমন ধানের ব্যাপক ক্ষতি

  প্রতিনিধি ১১ অক্টোবর ২০২৩ , ৫:৫৮:০৮ প্রিন্ট সংস্করণ

ভারি বৃষ্টি-ঝড়ো বাতাসে আমন ধানের ব্যাপক ক্ষতি

টানা ভারি বৃষ্টি ও ঝড়ো বাতাসে খুলনার পাইকগাছার বোয়ালিয়া বীজ উৎপাদন খামারের আমন ধানের ব্যাপক ক্ষতি হয়েছে। একটানা বৃষ্টি ও ঝড়ের তাণ্ডবে পাকা ধান মাটিতে পড়ে পানিতে ডুবে থাকায় ও ধানের কুশি ভরা ফুল ঝরে পড়ে ব্যাপক ক্ষতি হওয়ায় বীজ উৎপাদনে লক্ষ্যমাত্রা অর্জন না হওয়ার আশংকা করছে খামার কর্তৃপক্ষ।

খামার সূত্রে জানা গেছে, ২০২৩-২৪ মৌসুমে খামারে ৬০ একর জমিতে আমন ধানের আবাদ করা হয়েছে। এর মধ্যে ব্রি ধান ৩০ জাতের ৩৪ একর, ব্রি ধান ৭৩ জাতের চার একর, ব্রি ধান ৭৮ জাতের চার একর ও বি আর ২৩ জাতের ধান ১৮ একর জমিতে আবাদ করা হয়েছে।গত ২৮ সেপ্টেম্বর থেকে গুড়ি গুড়ি বৃষ্টি শুরু হয়, তা অক্টোবরের শুরুতে থেমে থেমে বা একটানা হালকা ও ভারি বৃষ্টি ১০ অক্টোবর পর্যন্ত গিয়ে থামে।

একটানা বৃষ্টি, বৈরি আবহাওয়ায় ও ঝড়ের তাণ্ডবে ধানের কুশি পর্যায় ও ধানের কুশি ভরা ফুল ঝরে পড়ে ব্যাপক ক্ষতি হয়েছে। ধানের পরিচর্যায় সার ও কীটনাশক ব্যবহার করার পরে তা বৃষ্টিতে ধুয়ে যায়। এতে ধানের কোনো উপকার হয়নি, আবারও কিটনাশক ছিটাতে হয়েছে। এতে খরচের পরিমাণ অনেক বেড়ে গেছে। আর মাটিতে নুয়ে পড়া ধান পানিতে ডুবে থাকায় ধান পরিপূর্ণ পুষ্ট না হওয়া ও ধানের কালো কালো দাগ পড়ার সম্ভাবনা খুব বেশি রয়েছে।

তাছাড়া কুশি ভরা ধানের ফুল ঝড়ো বাতাসে পড়ে যাওয়ায় পরাগায়ণ না হলে চিটা হয়ে যেতে পারে। খামারে আমন ধানের ফলন খুব ভালো হয়েছিল। উপকূলে অবস্থিত বাংলাদেশ কৃষি উন্নয়ন কর্পোরেশন বোয়ালিয়ার এ খামারটিকে লবন পানিসহ প্রাকৃতিক দূর্যোগ মোকাবেলা করে ফসল ফলাতে হয়।

এ বিষয়ে খামারের সিনিয়র সহকারী পরিচালক কৃষিবিদ নাহিদুল ইসলাম  জানান, একটানা ভারি বৃষ্টি ও ঝড়ো বাতাসে চলতি মৌসুমে সাত একর আমন ক্ষেতের ধানের ব্যাপক ক্ষতি হয়েছে। খামারে ব্রি-ধান ৭৮ জাতের তিন একর জমির ধান ফুল পর্যায় থাকায় ফুল ঝরে পড়ে পরাগায়ণ বিঘ্নিত হয়ে ধানের শীষে কালো স্পট পড়েছে। ব্রি ধান ৭৩ জাতের এক একর জমির পরিপক্ক ধান মাটিতে হেলে পড়েছে। বি আর ২৩ জাতের চার একর জমির ধান পানিতে নিমজ্জিত হয়েছে।

তিনি জানান, সবেমাত্র ফুল ফুটতে শুরু করেছে। এ অবস্থায় ঝড়ো হাওয়ায় ফুল ঝরে যাওয়ায় পরাগায়ণ না হলে ধান চিটা হয়ে যাওয়ার সম্ভাবনা বেশি রয়েছে। তাছাড়া পুষ্ট না হলে ধান চিটা হবে। ধানের গুণগত মান নষ্ট হবে। এতে আশানুরুপ বীজ উৎপাদন হবে না বলে মনে হচ্ছে।

তিনি আরও জানান, ক্ষয়ক্ষতির পরিমাণ কমানোর লক্ষ্যে দ্রুত পানি নিষ্কাশন করা, নিয়মিত ভাবে ছত্রাকনাশক, কীটনাশক স্প্রে করা হচ্ছে। বৃষ্টির পানিতে সার ধুয়ে যাওয়ায় গাছের জন্য প্রয়োজনীয় পরিমাণের অতিরিক্ত সার ব্যবহার করা হচ্ছে। এছাড়া সার্বক্ষণিক পর্যবেক্ষণ করে ক্ষতিগ্রস্ত বীজ ফসলের পরিচর্যা করা হচ্ছে।

আরও খবর

Sponsered content

Powered by