প্রতিনিধি ৩০ মে ২০২০ , ৪:০৩:১২ প্রিন্ট সংস্করণ
মাদারীপুর প্রতিনিধি : মাদারীপুরের কালকিনি উপজেলার বালিগ্রাম ইউনিয়নের বীর মুক্তিযোদ্ধা মোক্তার হোসেন মুন্সির পরিবারের উপর হামলা ভাংচুরের অভিযোগ উঠেছে এতে ২জন আহত হয়ে হাসপাতালে ভর্তি আছেন এবং শুক্রবার রাতে থানায় মামলা দিতে গিয়ে মামলা দিতে চাইলেও মামলা নিচ্ছে না ডাসার থানা পুলিশ এমন অভিযোগ ভুক্তভুগি পরিবারের।
মুক্তিযোদ্ধা পরিবার ও স্থানীয় সুত্রে জানাযায়, ডেসায় আজিমপুর জোনে চাকরি রত মিজান মাতুব্বর করোনার কারনে ছুটিতে এসে বাড়িতে অবস্থান করছিলেন, বৃহস্পতিবার বিকালে মুক্তিযোদ্ধা মোক্তার হোসেন মুন্সির খরিদ কৃত সম্পত্তি জোর করে দখল করে নিচ্ছে শুনে মুক্তিযোদ্ধা মোক্তার হোসেন মুন্সি জমিতে গিয়ে বাধা প্রদান করি এতে ক্ষিপ্ত হয়ে মোকছেদ মুন্সির ছেলে মিজান মুন্সি দল বল নিয়ে মুক্তিযোদ্ধা মোক্তার হোসেন মুন্সিকে আটকে রেখে জমি দখল নিয়ে বেড়া দিতে চেষ্ঠা করে।
এ সময় স্থানিয় গন্যমান্য ব্যাক্তিরা তাদের বলেন আমরা বসে এটার মিমাংশা করে দিবো এতে মুক্তিযোদ্ধাকে ছাড়িয়ে নিয়ে যারযার বাড়ী চলে যান সবাই। পরক্ষনে হটাৎ মিজান মাতুব্বরের নেতৃত্বে দেশি অস্ত্র সস্ত্র রামদা, ছেন, টেডাসহ দলবল নিয়ে আমার ও আমার ভাইয়েদের ৫টি বাড়ি ঘড় কুপিয়ে ঝাঝড়া করে দেয়। গাছের কাঠাল কেটে মাটিতে ফেলে দেয় ও কবুতরের খোপ কুপিয়ে তছনছ করে কবুতর গুলি ধরে নিয়ে যায়।
এ সময় মোফাজ্জেল মুন্সি ও আছমা বেগম বাধা দিলে, মিজান মাতুব্বর রামদা দিয়ে তাদের মাথায় কুপিয়ে ফেলে রেখে যায় এবং হুমকি দেয় ওই জমিতে আর যাবিনা ও মামলা করতে গেলে জানে মেরে ফেলবো। তাদের ডাক চিৎকারে মানুষ জন এসে উদ্ধার করে মাদারীপুর সদর হাসপাতালে ভর্তি করেন এতে মোফাজ্জেল মুন্সির মাথায় ৬টি ও আছমা বেগমের মাথায় ৫টি সেলাই করে চিকিৎসা দেওয়া হচ্ছে। এলাকার গন্যমান্য ব্যাক্তি ও শালিশ দাররা বলেন আমরা উভয়কেই মিমাংশায় রাজি করিয়েছি কিন্তু মিজান মাতুব্বর লোকজন নিয়ে হটাৎ মুক্তিযোদ্ধার বাড়ী ঘড়ে হামলা কে ভাংচুর করে এবং ২জনকে আহত করে।
স্থানীয় আমিন মুন্সি বলেন, এরা বার বার এলাকার মানুষের উপর অন্যায় অত্যাচার করে টাকার জোরে পাড়পেয়ে যায় থানায় অনেকবার মামলা করতে গেলেও মামলা নেয়না।
অভিযুক্ত মিজান মাতুব্বর এ ব্যাপারে কোন কথা বলতে রাজি হননি।
মুক্তিযোদ্ধা মোক্তার হোসেন মুন্সি বলেন, আমি এ ব্যাপারে ডাসার থানায় মামলা করতে গেলে থানা থেকে আমার মামলা নেয়নি। এমন কি অভিযোগ পর্যন্ত নেয়নি। পরক্ষনে আমি মাদারীপুর পুলিশ সুপারের কাছে মোবাইল করে আমি এক জন মুক্তিযোদ্ধা পরিচয় দিয়ে কথা বলি, ওরা আমাদের উপর বার বার হামলা কওে,মারধোর করে,বিগত দিনেও আমার ও আমার পরিবারের উপর হামলা করে মারধোর করে যখম করে এবং মানুষ ধরে আপোষ মিমাংশা করে,আমার অসহায়ত্বের কথা বলি গত কাল দুপুরে তিনি পুলিশ পাঠান তদন্ত করতে পুলিশ এসে দেখে রাতে থানায় যেতে বলেন, আমি থানায় গেলে আমার মামলা না নিয়ে উল্টো ওসি সাহেবের রুমে বসা মিজান মাতুব্বরের সঙ্গে আমার আপোষ মিমাংশা করে দেবেন বলে বলেন। এবং আমাকে বাড়ী পাঠিয়ে দেন আজ শনিবার সন্ধায় আমার বাড়ী ওসি সাহেব আসবেন।
ঘটনাস্থান পরির্দশন কারী এস আই মোঃ রিপন মোল্লাকে মোবাইলে জানতে চাইলে তিনি বলেন মোবাইলে কিছু বলা জাবেনা।
ডাসার থানা অফিসার ইনর্চাজ মোঃ আঃ ওহাব মোবাইলে জানান, মুক্তিযোদ্ধা সাহেব আগে একবার আসলেও আমার সঙ্গে দেখা বা কথা হয়নি, গত কাল রাতে আমি উভয়ের অভিযোগ গ্রহন করেছি আজকে মিমাংশা হওয়ার কথা আছে না হলে আইন আনুগ ব্যাবস্থা নিব।