দেশজুড়ে

মোবাইল ভেঙে ফেললেন মা, ফাঁস নিল মেয়ে

  প্রতিনিধি ৪ ফেব্রুয়ারি ২০২৪ , ৭:০৪:৩৯ প্রিন্ট সংস্করণ

মোবাইল ভেঙে ফেললেন মা, ফাঁস নিল মেয়ে

রং নম্বরে পরিচয়। এরপর মোবাইল ফোনেই গড়ে ওঠে প্রেমের সম্পর্ক। পরে সেই প্রেমিকের সঙ্গে রাত জেগে কথা বলতো স্কুল শিক্ষার্থী সুমাইয়া আক্তার (১৫)। বিষয়টি তার মা জানার পর মেয়েকে কথা বলতে নিষেধ করে তার ব্যবহৃত মোবাইল ভেঙে ফেলেন। এতে রাগ ও অভিমান করে আত্মহত্যা করে সুমাইয়া।

রোববার (৪ ফেব্রুয়ারি) দুপুরে শরীয়তপুরের নড়িয়া উপজেলার ঘড়িসার ইউনিয়নের বাড়ৈপাড়া গ্রামে এ ঘটনা ঘটে।

মৃত সুমাইয়া আক্তার বাড়ৈপাড়া গ্রামের ইমান মোল্লা ও ইসমতারা বেগম দম্পত্তির মেয়ে। সে পন্ডিতসার শহীদ নজরুল বালিকা উচ্চবিদ্যালয়ের নবম শ্রেণীর শিক্ষার্থী ছিল।

পুলিশ ও নিহতের পরিবার সূত্রে জানা যায়, নারায়নগঞ্জের তালহা নামের এক ছেলের সঙ্গে সুমাইয়ার রং নম্বরে পরিচয় হলে তা প্রেমের সম্পর্কে গড়ায়। প্রেমিক তালহার সঙ্গে মোবাইল ফোনে কথা বলা নিয়ে গতকাল শনিবার রাতে সুমাইয়ার সঙ্গে তার মা ইসমতারার কথা কাটাকাটি হয়। এক পর্যায়ে সুমাইয়ার ব্যবহৃত মোবাইলটি ভেঙে ফেলেন তিনি। সকালে ইসমতারা চিকিৎসার প্রয়োজনে স্থানীয় একটি হাসপাতালে যান। আর সুমাইয়ার ছোট দুই ভাই ও বোন স্কুল চলে যায়। এ সময় বাড়িতে কেউ না থাকায় একা ঘরে সুমাইয়া ঘরের আড়ার সঙ্গে ওড়না পেঁচিয়ে আত্মহত্যা করে। প্রতিবেশী ও তার স্বজনরা বিষয়টি দেখতে পেয়ে থানা পুলিশে খবর দেয়। পুলিশ এসে তার মরদেহ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য হাসপাতালে পাঠায়।

নিহত সুমাইয়ার মা ইসমতারা বলেন, রং নম্বরে পরিচয় হয়ে প্রেমের সম্পর্কে জড়িয়ে পড়েছিল সুমাইয়া। রাত জেগে সেই ছেলের সঙ্গে কথা বলত সে। এ নিয়ে গতকাল রাতে কথা কাটাকাটির এক পর্যায়ে আমি ওর মোবাইল ভেঙে ফেলি। সকালে আমি বড় মেয়েকে নিয়ে হাসপাতালে গেলে একা ঘরে গলায় ফাঁসি দিয়ে সে আত্মহত্যা করেছে।

বিষয়টি নিয়ে নড়িয়া থানা পুলিশের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোস্তাফিজুর রহমান বলেন, ঘটনাস্থলে পুলিশ গিয়ে মরদেহ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য শরীয়তপুর সদর হাসপাতালে পাঠিয়েছে। নিহতের পরিবারের কোনো অভিযোগ না থাকলে একটি অপমৃত্যুর মামলা হবে।

আরও খবর

Sponsered content

Powered by