যেকোনো উস্কানি রুখবে বিএনপি : রিজভী

ভোরের দর্পণ ডেস্ক:

দেশের সব সম্প্রদায়ের বন্ধুত্বের বন্ধনীর মধ্য দিয়ে যেকোনো উস্কানি বিএনপি রুখে দিবে বলে জানিয়েছেন বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম-মহাসচিব অ্যাডভোকেট রুহুল কবির রিজভী। তিনি বলেন, ‘আমাদের দৃঢ় বন্ধন আমরা বজায় রাখব। এই সরকারের উস্কানির মুখে আমরা কেউ কোনো প্রতিক্রিয়া দেখাব না। কারণ আমাদের ইতিহাস ঐতিহ্য হচ্ছে সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতির।’

আজ শুক্রবার জাতীয় প্রেসক্লাবের সামনে ২০ দলীয় জোটের অন্যতম শরিক দল বাংলাদেশ জাতীয় দলের উদ্যোগে গণতন্ত্র পুনঃপ্রতিষ্ঠায় নির্দলীয় নিরপেক্ষ সরকারের অধীনে নির্বাচনের দাবিতে এক মানববন্ধনে তিনি এসব কথা বলেন।

রিজভী বলেন, ‘দেশের জনগণ এবং কোনো রাজনৈতিক দলই সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতির বিনষ্ট করে নাই। এগুলো করেছে এই সরকার। কুমিল্লার ঘটনা ঘটা‌নোর কারণ হলো তাদের (আওয়ামী লীগের) ব্যর্থতা, গণতন্ত্রহীনতা, জোর জবরদস্তি ডাকাতের মতো করে ক্ষমতা দখল করে আছে এখান থেকে বিশ্বে নিজের ভাবমূর্তি ভালো করার জন্য।’

বিএনপি এই নেতা বলেন, ‘উনি (প্রধানমন্ত্রী) দেখাচ্ছেন এই দেশে সাম্প্রদায়িক যাইহোক আমি কঠোর হস্তে দমন করতে পারি। গতকাল থেকে প্রধানমন্ত্রী ও অন্যান্য মন্ত্রীরা তাই বলছে। তার মানে কুমিল্লার ঘটনা পরিকল্পিত, সাজানো, চক্রান্তমূলক। একটা কথা আছে সর্প হইয়া দংশন করি ওঝা হয়ে ঝাড়ি। আওয়ামী লীগ সরকার যারা অবৈধভাবে আছে তারা সেই কাজটি করছে। সর্প হইয়া দংশন করছে আবার ওঝা হয়ে ঝাড়ার চেষ্টা করছে। আর এইগুলো ঢাকতে গিয়ে কত মানুষের প্রাণ যাচ্ছে। রাজপথ রক্তে রঞ্জিত হচ্ছে।’

বিএনপির এই নেতা বলেন, ‘শেখ হাসিনা নাকি সকল সম্প্রদায়ের নিরাপত্তা দিয়েছে। তিনি (শেখ হাসিনা) ক্ষমতায় আসার পরে পার্বত্য চট্টগ্রাম, টাঙ্গাইলসহ দেশের বিভিন্ন জায়গায় সংখ্যালঘুদের উপর হামলা হয়েছে। আমরা আগে সাম্প্রদায়িক বিনষ্টের কথা শুনি নাই এই সরকারের আমলেই আমরা এই কথা শুনেছি।’

তিনি বলেন, ‘শেখ হাসিনা রাজনীতিতে এসেছেন প্রতিশোধ নেওয়ার জন্য। আর তিনি শত্রুপক্ষ বানিয়েছেন এদেশের জনগণকে। তা না হলে তিনি গণতন্ত্র হত্যা করবেন কেন?’

তি‌নি আরও ব‌লেন, ‘এশিয়ার মধ্যে চালের দাম এখন সবচাইতে বেশি বাংলাদেশ। পেঁয়াজ, মরিচ, তেল নিত্য প্রয়োজনীয় জিনিস গুলোর দাম হু হু করে বাড়ছে। নিত্যপ্রয়োজনীয় দ্রব্যমূল্যগুলো তে হাত দিলে বিদ্যুতে যেমন হাত দিলে সক করে তেমনি সক করে। আমার গ্যাসের দাম বৃদ্ধি করা হয়েছে। পানির দাম বৃদ্ধি করা হয়েছে।’

তিনি বলেন, ‘এই যে দ্রব্যমূল্যের ঊর্ধ্বগতি এটা সরকারের নিয়ন্ত্রণের কথা দূরে থাক সিন্ডিকেট করে দাম বাড়াচ্ছে। কথা বলার অধিকার নাই। গণতন্ত্র নাই। ভোটের অধিকার নাই। আর শেখ হাসিনা গণতন্ত্রের কবরের উপর নিত্য প্রয়োজনীয়দ্রব্যর মূল্য বাড়াচ্ছে।’

তিনি বলেন, ‘বিএনপিকে সভা করা নিষেধ করা হয়েছে এর একটি কারণ হলো দেশে গুম খুন হত্যা আরও ঘটবে। অতএব তোমরা কোনো কথা বলতে পারবে না। প্রেসক্লাবের অডিটোরিয়ামে কোনো সভা করতে পারবে না। কথা বলার জন্য যে ন্যূনতম জায়গা ছিল আজ সেটাও বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে।’

আয়োজক সংগঠনের সভাপতি এহসানুল হক হুদার সভাপতিত্বে মানববন্ধনে আরও উপস্থিত ছিলেন লেবার পার্টির চেয়ারম্যান ডাক্তার মোস্তাফিজুর রহমান ইরান, বিএনপির যুগ্ন মহাসচিব খায়রুল কবির খোকন, নির্বাহী কমিটির সদস্য আবু নাসের মোহাম্মদ রহমতুল্লাহ প্রমুখ।