দেশজুড়ে

রাজশাহীতে গরু চুরির আতঙ্ক, রাত জেগে পাহারা

  প্রতিনিধি ১৩ অক্টোবর ২০২২ , ৭:১৭:২২ প্রিন্ট সংস্করণ

রাজশাহী ব্যুরো : রাজশাহীর পুঠিয়া উপজেলার বিভিন্ন এলাকায় সম্প্রতি সময়ে গরু চুরি বেড়ে গেছে। এতে করে গরুর মালিকদের মাঝে চরম আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়েছে। গোয়াল থেকে গরু চুরি রোধে পাড়া-মহল্লায় পালাক্রমে রাত জেগে পাহারা দিচ্ছেন গ্রামবাসী।

জানা গেছে, সম্প্রতি সময়ে উপজেলার সদর, ভালুকগাছি, জিউপাড়া ইউনিয়ন ও পৌরসভা গরুচুরি বেশী হচ্ছে। যা গত দুই মাসে ১০টি গরু চুরির ঘটনা ঘটেছে। সর্বশেষ গত ৭ অক্টোবর পৌর সদর এলাকায় আব্দুল জলিলের বাড়ি থেকে একটি ষাঁড় ও একটি গাভী চুরি হয়েছে। গরুর মালিক জলিল বলেন, ওই রাত একটার দিকেও গোয়ালে গরু ছিল। চোর প্রাচীর টপকে বাড়ির ভেতরে প্রবেশ করে। এরপর ভেতর থেকে তালা লাগানো দরজা ভেঙে গরু দুটি বের করে নিয়ে যায়।

রামজীবনপুর গ্রামের আজিজুল ইসলাম বলেন, অনেক কষ্টে একজোড়া হালের বলদ কিনেছিলাম। এই বলদ দিয়ে মানুষের জমিতে হাল চাষ করে আমার সংসার চলতো। কিন্তু গত আগস্ট মাসের শেষের দিকে দুটি বলদ চুরি হয়। যার ক্রয় মূল্যে ছিল দুই লাখ ৩০ হাজার টাকা। সদর ইউনিয়ন এলাকার নাজমুল ইসলাম বলেন, গত দুই মাস থেকে বিভিন্ন এলাকায় গরু চুরি বেড়ে গেছে। যার কারণে পাড়া-মহল্লার গরুর মালিকরা পর্যায়ক্রমে রাত জেগে গোয়াল ঘর পাহারা দিচ্ছেন। আবার অনেকেই গরুর সাথে এক ঘরে রাত্রী যাপন করছেন।

সাইদুর রহমান নামে অপর একজন কৃষক বলেন, স্থানীয় দু’একজনের মদদে চোরের দল দিনের বেলা সকল রাস্তা-ঘাট ও বাড়ির মানুষদের অবস্থান ফলো করে। এরপর রাতে ছোট পিকআপ ভ্যান নিয়ে চুরি করতে আসে। তিনি বলেন, বিগত দিনে গরু-ছাগল চুরি গেলে আশেপাশের হাট গুলোতে খোঁজ করলে বেশীরভাগ পাওয়া যেতো। এখন তাৎক্ষণিক গরুগুলো গাড়িতে তুলে দুরে কোনো জেলায় পাঠিয়ে দেয়। যার কারণে চুরি যাওয়া গরুর কোনো সন্ধান পাওয়া যায় না। এতে করে এলাকার গরুর মালিকদের মধ্যে রাত নেমে আসলেই আতঙ্ক শুরু হয়।

এ ব্যাপারে থানার ওসি বলেন, একজন কৃষকের গোয়াল থেকে গরু হয়ে যাওয়া খুবই দুঃখজনক ঘটনা। এ বিষয়টি নিয়ে পুলিশ মাঠে কাজ করছেন। কিছুদিন আগে ধোকড়াকুল এলাকার একটি বাড়ি থেকে কিছু চুরি করা গরু উদ্ধার করা হয়েছে। তবে অনেক ভুক্তভোগি গরুর মালিক চুরির বিষয়টি থানায় অবহিত করেন না। যার কারণে কোথায় কয়টি গরু চুরি হয়েছে তার সঠিক তথ্য বলা মুশকিল।

পুঠিয়া থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) সোহরাওয়ার্দী হোসেন বলেন, ইতোমধ্যে পুলিশ উপজেলার বিভিন্ন এলাকায় টহল জোরদার করেছি। তারপরেও আমরা বিভিন্ন এলাকায় গরুর মালিকদের বলছি, রাতে নিজেরা একটু নজরদারী করবেন। আর বহিরাগত লোকজন সন্দেহজনক হলে পুলিশে খবর দিতে বলা হয়েছে।

আরও খবর

Sponsered content

Powered by