দেশজুড়ে

রাজশাহীর পদ্মায় জেগে উঠা চরে স্বপ্ন বুনছে কৃষক

  প্রতিনিধি ১৮ জানুয়ারি ২০২২ , ৮:৫৪:০১ প্রিন্ট সংস্করণ

রফিকুল হাসান ফিরোজ, রাজশাহী ব্যুরো:

শুষ্ক মৌসুমে জেলার গোদাগাড়ীতে পদ্মা নদীর পানি শুকিয়ে যাচ্ছে। বর্ষার সময়ে স্বরুপে ফিরে আসলেও তার স্থায়িত্ব থাকে না বেশি দিন। তাই শুষ্ক মৌসুমে পদ্মার বুকে জেগে উঠে চর। আর তাতেই চলে চাষাবাদ। এখন কৃষকরা তৈরি করেছে বোরো ধানের বীজতলা।

জেগে উঠা পদ্মার চর ভরে গেছে ধানের বীজতলায়। আবাদি জমিতে বীজতলা তৈরি করতে খরচ বেশি হয়। তাছাড়াও, বীজতলা তৈরি জমির সংকটও দেখা দেয়। কিন্তু পদ্মা নদীর বুকে জেগে উঠা চরে বীজতলা তৈরি করতে খরচ কম ও বীজ থেকে চারা ভালো হয়। তাই কৃষকরা পদ্মার বুকে জেগে উঠা চরে তৈরি করেছে বীজতলা। দেখে যেন মনে হবে, পদ্মা যেন তার বুকে সবুজের বিছানা পেতে রেখেছে।

উপজেলা কৃষি অফিস সূত্রে জানা যায়, চলতি বোরো মৌসুমে এ উপজেলায় বীজতলার লক্ষ্যমাত্রা ধরা হয়েছে ৭৫০ হেক্টর। এখন পর্যন্ত ৬৮০ হেক্টর বীজতলা তৈরি হয়েছে। কৃষকরা এখনও তৈরি করেছে বীজতলা। গত বছর বীজতলার লক্ষ্যমাত্রা ছিল ৭২৫ হেক্টোর। কৃষি অফিস বলছে, এবার বীজতলার লক্ষ্যমাত্রা ছাড়িয়ে যাবে।
উপজেলা কৃষি অফিস আরও জানা যায়, চলতি বোরো মৌসুমে উপজেলায় বোরো ধান চাষের লক্ষ্যমাত্রা ধরা হয়েছে প্রায় ১৫ হাজার হেক্টর। গত বছর এ মৌসুমে বোরো ধান চাষ হয়েছিল ১৪ হাজার ৭৫০ হেক্টর। কৃষকরা ধানের দাম ভালো পাওয়ায় চলতি মৌসুমে ধান চাষ গত মৌসুমের তুলনায় বেশি হবে।

পদ্মার বুকে জেগে উঠা চরে বীজতলা তৈরি করা উপজেলার পিরিজপুর গ্রামের কৃষক আব্দুল কুদ্দুস বলেন, আবাদি জমিতে চাষ, পানি ও সার দিয়ে ধানের বীজতলা তৈরি করতে হয়। এতে খরচ বেশি হয়। কিন্ত পদ্মার চরে বীজতলা তৈরি করতে চাষ, পানি ও সার দিতে হয় না। তাতে খরচ কম হয়। এমনকি আবাদি জমির চাইতে পদ্মার চরে ধানের বীজ ভালো হয়।

রাজশাহী কৃষি স¤প্রসারণ অধিদফতর অতিরিক্ত উপ-পরিচালক তৌফিকুর রহমান বলেন, পদ্মার বুকে চর জেগে উঠাতে যারা বর্গা নিয়ে জমি চাষ করে তাদের মধ্যে অনেকের বীজতলা তৈরির জায়গা থাকে না। তবে নদীর বুকে চর উঠায় বীজতলা তৈরির জায়গা সংকট থাকে না। বিশেষ করে নদীর বুকে বীজ বপন করলে পানি দেয়া লাগে না। এতে করে কৃষকরা বেশি লাভবান হয়ে থাকে। এখন নদীর বুকে বীজতলাগুলোর দৃশ্য সবার নজর কাড়ছে। আর এই বীজতলার চারা থেকেই আগামীতে ভলো ফসল ফলানোর আশা করে কৃষক।

আরও খবর

Sponsered content

Powered by