দেশজুড়ে

রাজশাহীর সেই ৩৫০ পরিবার বিক্ষোভ করে ত্রাণ পেল ৪০টি

  প্রতিনিধি ১৩ এপ্রিল ২০২০ , ৮:১০:২১ প্রিন্ট সংস্করণ

রাজশাহী প্রতিনিধি:  রাজশাহীর পবার মুশরইল নতুন পাড়া ত্রাণের দাবিতে গত রবিবার বিক্ষোভ করছিলেন প্রায় ৩৫০টি পরিবার। বিক্ষোভকারী এ পরিবারগুলোর মাঝে গতকাল সোমবার ৪০ পরিবারকে ত্রাণ দেওয়া হয়েছে। তবে এ নিয়ে এলাকাবাসীর মধে দেখা দেয় চরম ক্ষোভ। তারা মাত্র ৪০টি পরিবারের জন্য ত্রাণ নিতে অস্বীকার করে আবার বিক্ষোভ শুরু করেন। পরে ক্ষোভ সামলাতে পুলিশ ডেকে পরিস্থিতি নিয়োন্ত্রণে আনা হয়। অভিযোগ উঠে, এ সময় পুলিশ কয়েকজনকে লাঠিপেটাও করে। ফলে ভয়ে অন্যরা পালিয়ে যায়।
স্থানীয়রা জানান, বেলা ১১টার দিকে ওই এলাকায় ত্রাণ নিয়ে পৌঁছান স্থানীয় ইউনিয়ন পরিষদের (ইউপি) চেয়ারম্যান সাইফুল ইসলাম ভুলু ও ইউপি সদস্য আবুল কাশেমসহ তাদের লোকজন। তারা ওই গ্রামের ৪০টি পরিবারের জন্য ত্রাণ নিয়ে যান। এতেই ক্ষোভে ফেটে পড়েন এলাকাবাসী। তারা ৩৫০ টি পরিবারের জন্যই ত্রাণ দাবি করেন। পরে পরিস্থিতি সামাল দিতে ডাকা হয় পুলিশ।
তবে পুলিশ কাউকে লাঠিপেটা করেনি বলে দাবি করে মহানগরীর চন্দ্রিমা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) সিরাজুম মনির বলেন, এলাকাবাসীর ত্রাণের দাবিতে উত্ততেজিত হয়। পুলিশ পরিস্থিতি শান্ত করে।
এর আগে রবিবার মুশরইল নতুন পাড়া এলাকার কয়েকশো বাসিন্দা বেলা ১১ টার দিকে এই বিক্ষোভ করেন। তাদের দাবি, সরকার ১০ কেজি করে চাল সাধারণ মানুষের মধ্যে বিনামূল্যে বিতরণ করলেও এখন পর্যন্ত এলাকাবাসীর মাঝে সেটি বিতরণ করা হয়নি। ফলে না খেয়ে দিন পার করতে হচ্ছে অসহায় এই মানুষগুলোকে।
এলাকাবাসীর অভিযোগ, মুশরইল নতুনপাড়া গ্রামে প্রায় সাড়ে তিনশ হতদরিদ্র মানুষের বসবাস। এরমধ্যে ১৮০ জনের আইডি কার্ড দেখে তালিকা করেন স্থানীয় ইউপি সদস্য আবুল কাশেম। কিন্তু তারপরেও তাদের কোনো রকম সহযোগিতা করা হয়নি।

স্থানীয় আসাদুলসহ আরও অনেকে অভিযোগ করেন, এই এলাকাটি পারিলা ইউনিয়নের মধ্যে। ওই ইউনিয়ন চেয়ারম্যান সাইফুল ইসলাম ভুলু এনিয়ে কোনো রকম ব্যবস্থা গ্রহণ করেননি। উল্টো স্থানীয় ইউপি সদস্য ও  চেয়ারম্যানের কাছে ত্রাণের দাবিতে এলাকাবাসী গেলে তাদের সাথে খারাপ আচরণ করে তাড়িয়ে দেয়া হয়। এ নিয়ে ক্ষোভে রাগে রবিবার সকাল থেকে বিক্ষোভ শুরু করেন এলাকাবাসী।
এতে করে পরিবার-পরিজন নিয়ে চরম বিপাকে পড়েছেন অসহায় মানুষগুলো। যারা দিন এনে দিন খেয়ে এতদিন জীবন যাপন করছিলেন তারা পড়েছেন সবচেয়ে বেশি বিপাকে।
 

Powered by