বাংলাদেশ

রামপালে ফের বিদ্যুৎ উৎপাদন শুরু

  প্রতিনিধি ১৬ ফেব্রুয়ারি ২০২৩ , ৭:২৯:২১ প্রিন্ট সংস্করণ

ভোরের দর্পণ ডেস্ক :

কয়লা সঙ্কটের কারণে এক মাস আগে উৎপাদন বন্ধ হয়ে যায় রামপাল তাপ বিদ্যুৎকেন্দ্রে। মাত্র ছয় দিনের কয়লা মজুত নিয়ে বুধবার রাত ১১টায় পুনরায় বিদ্যুৎ উৎপাদন শুরু হয়েছে।

চুক্তির প্রায় ১০ বছর পর বিদ্যুৎকেন্দ্রটির একটি ইউনিটে গত ১৭ ডিসেম্বর রাতে বাণিজ্যিকভাবে উৎপাদন শুরু হয়। কিন্তু কয়লা সঙ্কটে ১৪ জানুয়ারি থেকে এর উৎপাদন বন্ধ ছিল। ডলার-সঙ্কটের কারণে লেটার অব ক্রেডিট (এলসি) জটিলতায় কয়লা আমদানি করতে না পারায় কেন্দ্রের মজুত শেষ হয়ে যায়।

গত ৯ ফেব্রুয়ারি ৩০ হাজার টন কয়লা আসে। চলমান এ ইউনিটের উৎপাদন ক্ষমতা ৬৬০ মেগাওয়াট। কেন্দ্রটিতে তিন মাসের কয়লা মজুতের সক্ষমতা রয়েছে। তবে নিরবচ্ছিন্নভাবে উৎপাদন চালু রাখতে এক মাসের কয়লা মজুত রাখার নিয়ম আছে। আগামী জুনে দ্বিতীয় ইউনিটও চালু এবং বাণিজ্যিকভাবে বিদ্যুৎ উৎপাদনে যাওয়ার কথা রয়েছে কেন্দ্রটির।

বাংলাদেশ-ভারত ফ্রেন্ডশিপ পাওয়ার কোম্পানি লিমিটেডের (বিআইএফপিসিএল) উপ-মহাব্যবস্থাপক আনোয়ারুল আজিম বলেন, ‘কয়লা সঙ্কটে বন্ধ থাকা ইউনিটটি বুধবার রাত ১১টা ৩ মিনিটে পুনরায় চালু হয়েছে। কয়লার সরবরাহ নিশ্চিত হওয়ায় কেন্দ্রটি চালু করা হয়।’

তিনি আরো বলেন, গত ৯ ফেব্রুয়ারি একটি জাহাজে ৩০ হাজার টন কয়লা বিদ্যুৎকেন্দ্রে আসে। একটি ইউনিট চালু রাখতে দিনে পাঁচ হাজার টন কয়লার প্রয়োজন। তাই এ কয়লায় কেন্দ্রটি ছয় দিন চালু থাকবে। ইন্দোনেশিয়া থেকে একটি জাহাজ বিদ্যুৎকেন্দ্রটির জেটিতে আসতে ১০ দিন সময় লাগে।

আগামী ১৮ ফেব্রুয়ারি এই বিদ্যুৎকেন্দ্রের জন্য ৫৫ হাজার টন কয়লা নিয়ে আরেকটি জাহাজ আসবে বলে তিনি জানান।

বাগেরহাটের রামপালে বাংলাদেশ-ভারতের যৌথ বিনিয়োগে এক হাজার ৩২০ মেগাওয়াটের দুই ইউনিটের বিদ্যুৎকেন্দ্রটি নির্মিত হয়েছে। প্রথম ইউনিটের উৎপাদন ক্ষমতা ৬৬০ মেগাওয়াট। বাণিজ্যিকভাবে উৎপাদন শুরুর হয় ১৭ ডিসেম্বর। বন্ধ হওয়ার আগ পর্যন্ত এই ইউনিট থেকে প্রতিদিন ৫৬০ থেকে ৫৭০ মেগাওয়াট বিদ্যুৎ উৎপাদন করে জাতীয় গ্রিডে সরবরাহ করা হয়েছিল।

দ্বিতীয় ইউনিট আগামী এপ্রিল মাসে চালু করার কথা রয়েছে।

সুন্দরবনের কাছে এই বিদ্যুৎকেন্দ্র নির্মাণ নিয়ে শুরু থেকেই আপত্তি জানান পরিবেশবাদীরা।

সূত্র : ডয়চে ভেলে

আরও খবর

Sponsered content

Powered by