দেশজুড়ে

লকডাউন ঘোষণায় সীতাকুন্ডের পুদিনা চাষীদের কপালে ভাঁজ

  প্রতিনিধি ১১ এপ্রিল ২০২১ , ৭:২১:৫৯ প্রিন্ট সংস্করণ

কামরুল ইসলাম দুলু, সীতাকুন্ড (চট্টগ্রাম):

পুদিনা এক ধরনের সুগন্ধি গাছ। তরি তরকারিসহ বিভিন্ন খাদ্য সামগ্রীতে সুগন্ধ ছড়াতে পুদিনা পাতা ব্যবহার করা হয়। রমজান মাসে হোটেল-রেস্টুরেন্ট থেকে শুরু করে ঘরে ঘরে এর চাহিদা বেড়ে যায় কয়েক গুণ। ইফতারিতে পুদিনা পাতা ছাড়া যেন চলেই না! এটির রয়েছে নানা ওষুধি গুণ।

 

বাজারে পুদিনা পাতার ব্যাপক চাহিদা রয়েছে। দামও মেলে আশানুরূপ। তাই অনেক কৃষক এখন পুদিনা পাতার আবাদে ঝুঁকেছেন। স্বল্প সময়ে বেশি লাভ পাওয়ায় দিন দিন জনপ্রিয় হয়ে ওঠছে পুদিনা পাতা। রমজানের ব্যাপক চাহিদাকে মাথায় রেখে পুদিনা পাতার ব্যপক চাষাবাদ হচ্ছে

 

কৃষক আবুল কাশেম জানান আসন্ন রমজানে পুদিনার চাহিদাকে মাথায় রেখে প্রতিবছরের মত চলতি বছরও বাণিজ্যিকভাবে পাহাড়ি এলাকায় প্রায় ১২০ শতক জায়গায় পুদিনার চাষ করেছেন তিনি। এতে শ্রমিক ও বিভিন্ন বাবদ তার খরচ পরেছে প্রায় ৮০ হাজার টাকা।

বাজার দর ভাল হলে তিনি প্রায় ৪/৫ লাখ টাকার পুদিনা বিক্রি করতে পারবেন বলে আশা করছেন।

তিনি বলেন, বর্তমানে সারাদেশে করোনা সংক্রমন ছড়িয়ে পড়েছে। তাই লকডাউনের ফলে বাইর থেকে পাইকার না আসলে আমাদের চাষকৃত পুদিনা ক্ষেতেই নষ্ট হয়ে যেতে পারে । আমার মত অনেকেই লাখ লাখ টাকা খরচ করে রমজানে বিক্রির উদ্দেশ্যে পুদিনার চাষ করেছেন। কিন্তু সকল কৃষক এখন দুশ্চিনতাই দিন অতিবাহিত করছেন।

 

উপজেলার বিভিন্ন ইউনিয়নে ব্যপক হারে পুদিনার চাষাবাদ হয়েছে। সারা বছর চাহিদা তাকলেও রমজান আসলে যেনো কয়েক গুন বেড়ে যায় ভেষজ গুনে ভরা পুদিনার চহিদা। তাই কৃষকরা এখন মাঠে মাঠে পুদিনা পরিচর্যায় ব্যস্ত সময় পার করছে। কম খরচে অধিক লাভবান হওয়ায় কৃষকরা বানিজ্যিক ভাবে চাষাবাদ শুরু করেছে। অনেক কৃষক পুদিনার চাষ করে ব্যাপক সফলতা লাভ করেছেন।

 

বেশ কয়েরজন কৃষক আক্ষেপ করে জানালেন, গতবছরও এ সময়ে পুদিনার ব্যাপক হারে চাষ হয় কিন্তু তখনও মহামারী করোনা ভাইরাসের কারণে লকডাউন থাকায় কৃষকরা তেমন সুবিধা করতে পারেননি। এবারও রমজানের মৌসুমে করোনা ভাইরাসের লকডাউন দেওয়াতে কৃষকদের কপালে দুশ্চিন্তার ভাঁজ।

আরও খবর

Sponsered content

Powered by