প্রতিনিধি ১৯ মে ২০২০ , ৬:২৭:৪২ প্রিন্ট সংস্করণ
লক্ষীপুর প্রতিনিধি : বঙ্গোপসাগরে সৃষ্ট ঘূর্ণিঝড় ‘আমফান’ শক্তিশালী হয়ে ক্রমশ উপক‚লের দিকে ধেয়ে আসছে। এর প্রভাবে মেঘনা নদী উপক‚লীয় জেলা লক্ষীপুরকে ৭ নম্বর বিপদ সংকেত দেখিয়ে যেতে বলা হয়েছে। গুমুট আবহাওয়ার কারণে জেলার সর্বত্র প্রচন্ড গরম অনুভূত হচ্ছে। জেলা প্রশাসকের কার্যালয় ঘূর্ণিঝড়ের প্রভাবে ক্ষয়ক্ষতি মোকাবেলায় প্রস্তুতি মূলক সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে।
জেলা প্রশাসকের কার্যালয় সূত্রে জানা যায়, জেলায় ২শ আশ্রয়ন কেন্দ্র প্রস্তুত রাখা হয়েছে। মানুষ যাতে সামাজিক দ‚রত্ব বজায় রেখে আশ্রয় কেন্দ্র গুলোতে থাকতে পারে সে ব্যাবস্থা নেওয়া হচ্ছে, এবং পর্যাপ্ত ত্রান মজুদ রয়েছে। দুযোর্গ পরবর্তী সময়ে রাস্তাঘাট ও বিদ্যুৎ ব্যবস্থা ঠিক রাখার জন্য ফায়ার সার্ভিস ও বিদ্যুৎ বিভাগ প্রস্তুত রয়েছে ।
সিভিল সার্জন কর্যালয় সূত্রে জানা যায়, ঘ‚র্ণিঝড়কালীন ও পরবর্তী স্বাস্থ্য সেবা নিশ্চিত করতে স্বাস্থ্য বিভাগে কর্মরত সকলের ছুটি বাতিল করা হয়েছে। গঠন করা হয়েছে ৬৬টি মেডিকেল টিম। সিভিল সার্জন ডাঃ আবদুল গাফফার জানান, ঘ‚র্ণিঝড়কালীন ও পরবর্তী চিকিৎসা সেবা নিশ্চিত করতে সরকারি বেসরকারি সকল হাসপাতালের জরুরি বিভাগকে প্রস্তুত রাখা হয়েছে।
সরকারি–বেসরকারি অ্যাম্বুলেন্স গুলোকে জরুরী প্রয়োজন ছাড়া কোথাও না যাওয়ার জন্য নিষেধ করা হয়েছে। মাঠ পর্যায়ের সকল কর্মরতদের আশ্রয়কেন্দ্র, কমিউনিটি ক্লিনিক ও ইউনিয়ন স্বাস্থ্য উপকেন্দ্রের সঙ্গে সার্বক্ষণিক যোগাযোগ রক্ষা করতে বলা হয়েছে।