বিনোদন

শরণার্থী দিবসে রোহিঙ্গা ক্যাম্পে তাহসান

  প্রতিনিধি ২১ জুন ২০২১ , ৬:৪৪:০৬ প্রিন্ট সংস্করণ

ভোরের দর্পণ ডেস্কঃ

আজ ২০ জুন বিশ্ব শরণার্থী দিবস। এ উপলক্ষে কক্সবাজারের শরণার্থী শিবির পরিদর্শন করেছেন জাতিসংঘের শরণার্থীবিষয়ক সংস্থার (ইউএনএইচসিআর) বাংলাদেশে নিযুক্ত শুভেচ্ছাদূত সঙ্গীতশিল্পী ও অভিনেতা তাহসান খান।

আজ রোববার (২০ জুন) ইউএনএইচসিআরের ঢাকা অফিস থেকে পাঠানো এক বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়েছে।

‘সুস্থ হই একসঙ্গে, শিখি আর আলো ছড়াই’ এ প্রতিপাদ্যে এবাবের বিশ্ব শরণার্থী দিবস পালিত হচ্ছে। দিনটি উপলক্ষে সংস্থাটির বাংলাদেশের শুভেচ্ছাদূত তাহসান খান ক্যাম্প পরিদর্শনে গিয়ে রোহিঙ্গাদের জীবন সম্পর্কে অনেক কিছু জানেন।

ইউএনএইচসিআরের সহায়তায় কক্সবাজার সদর হাসপাতালে নির্মিত নিবিড় পরিচর্যা কেন্দ্রে (আইসিইউ) রোগীদের ডায়াগনস্টিক সেবা দেওয়ার জন্য ২৪ ঘণ্টাব্যাপী একটি ল্যাবরেটরি উদ্বোধন করেন তাহসান।

এ সময় তাহসান বলেন, ‘এই আইসিইউটি কক্সবাজারের প্রথম। শুধু এক বছরেই এটি অনেকের জীবন বাঁচিয়েছে। আজকের এই ল্যাবরেটরি সেবা যোগ করার মাধ্যমে আরও অনেক শরণার্থী এবং স্থানীয় জনগণের জীবন রক্ষাকারী চিকিৎসা নিশ্চিত করা যাবে। এটি সারা বিশ্বের জন্যই দারুণ একটি উদাহরণ।’

ইউএনএইচসিআরের বিজ্ঞপ্তিতে উল্লেখ করা হয়, বল প্রয়োগে বাস্তুচ্যুতির হার সারা বিশ্বে বছরের পর বছর ধরে বেড়েই চলছে। কোভিড-১৯ মহামারিতেও ২০২০ সাল শেষে সারা বিশ্বে যুদ্ধ, সহিংসতা, নিপীড়ন ও মানবাধিকার লংঘন থেকে পালিয়ে বেড়ানো গৃহহীন মানুষের সংখ্যা প্রায় ৮ কোটি ২৪ লাখে এসে দাঁড়িয়েছে। এটি একটি রেকর্ড। এর মধ্যে বেশির ভাগ মানুষ নিজ দেশের ভেতরে আভ্যন্তরীণভাবে বাস্তুচ্যুত হলেও সারা বিশ্বজুড়ে প্রায় দুই কোটির বেশি মানুষ শরণার্থী হয়েছে; এবং সংঘাত ও নিপীড়ন থেকে বাঁচতে নিজ দেশ ছেড়ে পার্শ্ববর্তী দেশে আশ্রয় নিয়েছে। এই দুই কোটি মানুষের প্রায় ৫ শতাংশ আজ বাংলাদেশের জনগণ ও সরকারের উদাতার কারণে আশ্রয় পেয়েছে।

সংস্থাটি বলছে, বাংলাদেশ সারা বিশ্বকে দেখিয়েছে এক ইতিবাচক দৃষ্টান্ত। বাংলাদেশ রোহিঙ্গা শরণার্থীদের প্রায় চার বছর ধরে শুধু আশ্রয়ই দেয়নি, কোভিড-১৯ কার্যক্রম ও টিকাদান কর্মসূচিতেও শরণার্থীদের যুক্ত করা হয়েছে। যেহেতু এখনও পর্যন্ত কোন রোহিঙ্গা শরণার্থীকে কোভিড-১৯ টিকা দেওয়া সম্ভব হয়নি, তাই আমরা আহ্বান জানাই কোভ্যাক্স থেকে বাংলাদেশে টিকা আসার সঙ্গে সঙ্গে রোহিঙ্গা শরণার্থী ও স্বাস্থ্য ঝুঁকিতে থাকা স্থানীয় বাংলাদেশীদের যেন এই টিকাদান কার্যক্রমের আওতায় আনা হয়।

Powered by