বাংলাদেশ

সংঘাতমূলক অবস্থা সৃষ্টি করতে তারা এটা করেছে

  প্রতিনিধি ২৪ জুলাই ২০২৩ , ৬:২৫:৫০ প্রিন্ট সংস্করণ

ভোরের দর্পণ ডেস্ক :

ঢাকায় মহাসমাবেশের দিন ক্ষমতাসীনদের পাল্টা কর্মসূচি দিয়ে সরকার দেশে সংঘাত সৃষ্টি পাঁয়তারা করছে বলে মনে করেন বিএনপি মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর।

বিএনপি মহাসচিব বলেন, ‘সরকারের বিশেষ ব্যক্তিরা উসকানিমূলক কথা বলছেন এবং একই সঙ্গে কাজও করছেন। যেমন যুবলীগের কর্মসূচি ছিল ২৪ জুলাই, আমাদের কর্মসূচি ঘোষণার পর সেটা পরিবর্তন করে ২৭ জুলাই করা হয়েছে। এটা পরিষ্কার একটা সংঘাতমূলক অবস্থা সৃষ্টি করতে তারা এটা করেছে; কোনো মতেই গ্রহণযোগ্য হতে পারে না। পরিষ্কার কথা, যদি কোনো অনাকাঙ্ক্ষিত ঘটনা ঘটে তার সমস্ত দায়-দায়িত্ব সরকারকে বহন করতে হবে।

মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীরের সভাপতিত্বে যৌথ সভায় অংশ নেন বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী, চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা আমান উল্লাহ আমান, আবদুস সালাম, যুগ্ম মহাসচিব সৈয়দ মোয়াজ্জেম হোসেন আলাল, হাবিব উন নবী খান সোহেল, সাংগঠনিক সম্পাদক আবদুস সালাম আজাদ, সৈয়দ এমরান সালেহ প্রিন্স, শামা ওবায়েদ, মোস্তাক মিয়া, অনিন্দ্য ইসলাম অমিত, প্রচার সম্পাদক শহীদ উদ্দিন চৌধুরী এ্যানি, মীর সরাফত আলী সপু, এম এ খালেক, হারুনুর রশীদ, মানিকগঞ্জ জেলার আফরোজা খানম রীতা, ঢাকা জেলার খন্দকার আবু আশফাক, নিপুণ রায় চৌধুরী, গাজীপুর জেলার ফজলুল হক মিলন, নরসিংদীর খায়রুল কবির খোকন, মহিলা দলের আফরোজা আব্বাস, যুবদলের সুলতান সালাউদ্দিন টুকু, স্বেচ্ছাসেবক দলের এসএম জিলানি, রাজীব আহসান, কৃষক দলের হাসান জাফির তুহিন, শহিদুল ইসলাম বাবুল, ওলামা দলে শাহ নেছারুল হক, ছাত্রদলের কাজী রওনকুল ইসলাম শ্রাবণ প্রমুখ অংশ নেন।

মির্জা ফখরুল বলেন, ‘এ পর্যন্ত আমাদের প্রতিটি আন্দোলন শান্তিপূর্ণ ছিল। আমাদের ওপর আক্রমণ করে বহু লোককে আহত, নিহত কারা হয়েছে, (সম্প্রতি) গায়েবি মামলায় ৯ হাজার আসামি করা হয়েছে। তারপরও আমরা অত্যন্ত সংযত -শান্তিপূর্ণভাবে গণতান্ত্রিকভাবে জনগণকে নিয়ে এগোচ্ছি। আশা করি, এই ভয়াবহ সংঘাতমূলক পরিস্থিতি পরিহার করবে আওয়ামী লীগ ও যুবলীগ। এবং সরকারও সেটা নিশ্চিত করবে।’

মহাসমাবেশে আশঙ্কার বিষয়ে জানতে চাইলে তিনি বলেন, ‘এটা তো করছেই তারা। এতো কিছুর পরও কোনো সমাবেশকে আটকাতে পারেনি। নৌকা- ভেলায় পার হয়েছে, হেঁটে এসেছে। মানুষের আগ্রহ এতো বেশি পরিবর্তনের জন্য যেভাবে হোক আগামী বৃহস্পতিবারের মহাসমাবেশে যোগ দেবে।’

আন্দোলনের সফলতার ব্যাপারে আশাবাদ ব্যক্ত করে বিএনপি মহাসচিব বলেন, এখানে তো জনগণ নেমে পড়েছে, এটা জনগণের আন্দোলন। এই আন্দোলন অবশ্যই সফল হবে। আওয়ামী লীগ জনগণের বিরুদ্ধে অবস্থান নিয়েছে। আমরা বলব, ৯৯ শতাংশ জনগণ পরিবর্তন চায়।

এক দফার আন্দোলন প্রসঙ্গে মির্জা ফখরুল বলেন, এটা শুধু বিএনপির দাবি নয়, সমগ্র মানুষের দাবি। কমিউনিস্ট পার্টির মুজাহিদুল ইসলাম সেলিম সাহেবের বক্তব্য পত্রিকায় দেখলাম তিনি পরিষ্কার করে বলছেন, সরকারের অবিলম্বে পদত্যাগ করা উচিত, পদত্যাগ করে সুষ্ঠু নির্বাচনের একটা রাস্তা করে দেওয়া উচিত। চরমোনাই পীর সাহেবে ইসলামী আন্দোলন বলছে, এই সরকারের অধীনে কোনো সুষ্ঠু নির্বাচন হতে পারে না। জাতীয় পার্টি বলেছে, এই সরকারের অধীনে নির্বাচন হয় না, এই সরকারের অধীনে সিলেকশন হয়।

মির্জা ফখরুল বলেন, ‘সরকারি কর্মকর্তা-কর্মচারীদের প্রতি অনুরোধ থাকবে, এই আন্দোলন জনগণের আন্দোলন। এই আন্দোলনে আপনাদের একাত্মতা ঘোষণা করা উচিত। এই আন্দোলনের মধ্য দিয়ে আমরা আমাদের সংবিধানকে পুনঃপ্রতিষ্ঠা করতে চাই, মানুষের অধিকার ফিরিয়ে আনতে চাই, আমাদের হারানো অধিকার ফিরে পেতে চাই, ভোট দিয়ে সংসদ তৈরি করতে চাই এটাই হচ্ছে আমাদের মূল লক্ষ্য।’

মির্জা ফখরুল বলেন, ‘ইউরোপীয় ইউনিয়ন পর্যবেক্ষক পাঠাবেন কি পাঠাবেন না এটা তাদের ব্যাপার। কিন্তু আমরা মনে করি, এখানে অংশগ্রহণমূলক নির্বাচন না হলে সেখানে পর্যবেক্ষক পাঠানো অর্থহীন। এখানে যদি আমরা অংশগ্রহণ না করি, বিরোধী দল যদি অংশ না নেয় তাহলে তো সেই নির্বাচন তো নির্বাচন হবে না। সুতরাং সেখানে পর্যবেক্ষক পাঠানো অর্থহীন হবে।’

আরও খবর

Sponsered content

Powered by