চট্টগ্রাম

সাত মাসেই কোরআনের হাফেজ বাঁশখালীর শিশু এহসান হাবীব

  প্রতিনিধি ৮ এপ্রিল ২০২৪ , ৩:৪০:০৭ প্রিন্ট সংস্করণ

সাত মাসেই কোরআনের হাফেজ বাঁশখালীর শিশু এহসান হাবীব

চট্টগ্রামের বাঁশখালীতে মাত্র সাত মাসে সম্পূর্ণ কোরআন হিফজ (মুখস্থ) করেছেন শিশু মো. এহসান হাবীব। ১১ বছর বয়সী এহসান হাবীব উপজেলার শীলকূপ ইউনিয়নের পশ্চিম শীলকূপ মোয়াজ্জিম পাড়া ৫ নম্বর ওয়ার্ডের জহিরা বাপের বাড়ীর মো. ফজল কাদের এর সর্বকনিষ্ঠ ছেলে। তার বাবা একজন জেলে।

হেফজ হওয়ার পূর্বে এহসান হাবীব তার বাড়ীর সামনেই শীলকূপ বাইতুশ শরফ শাহ্ জাব্বারীয়া আদর্শ নুরানী তালিমুল কোরআন মাদরাসায় পড়েন। সেখানে নুরানী মাদরাসায় তৃতীয় শ্রেনী পর্যন্ত পড়ালেখা করে পরবর্তী গত সাত মাস আগে শীলকূপস্থ মোশাররফ আলী (রহ.) হেফজ ও এতিম খানায় হেফজ বিভাগে ভর্তি হন। এখানেই তিনি মাত্র সাত মাসে পবিত্র কোরআনের হিফজ সম্পন্ন করেছেন। পরিবারে পাঁচ ভাই বোনের মধ্যে এহসান হাবীব সবার ছোট।

এহসান হাবীবের মেঝো বোন আরজু আকতার বলেন, ‘আমার ছোট ভাই স্থানীয় নুরানী মাদরাসায় তিন বছর পড়ালেখা করেন। সেখানে তৃতীয় শ্রেণী পর্যন্ত পড়েন। পরবর্তী হেফজখানায় ভর্তি হয় হেফজ বিভাগে। আমার বাবা সগরে জেলের কাজ করেন। এহসান হাবীব সাত মাসে কোরআনের হাফেজ হওয়ায় তাদের পরিবারের সবাই আনন্দিত। ভবিষ্যতে এহসান হাবীব যেন আলেম হয়ে ইসলাম ও দেশের কল্যাণে কাজ করতে পারে তার জন্য সকলের কাছে দোয়া চেয়েছেন। তার পরিবারের সবাই কৃতজ্ঞতা জানিয়েছেন মাদরাসার শিক্ষকদের প্রতিও।’

মোশাররফ আলী (রহ.) হেফজ ও এতিম খানায় হেফজ বিভাগের প্রধান হাফেজ ওবাইদুল কাদের বলেন, ‘হিফজুল কোরআন বিভাগে পড়াশোনা শেষ করতে প্রায় তিন বছর সময় লাগে। সেখানে তার সময় লেগেছে মাত্র সাত মাস। তার সাথে একই ব্যাচে ২০জন শিক্ষার্থী ছিলেন। আল্লাহর অশেষ অনুগ্রহে শিক্ষক ও অভিভাবকদের প্রচেষ্টায় ২১০ দিনে হিফজ সম্পন্ন করতে সক্ষম হয়েছে সে। আমাদের অভিজ্ঞতায় আমরা দেখেছি এই কেন্দ্রিক মেধাবী শিক্ষার্থীরা অত্যন্ত ভদ্র ও শান্ত স্বভাবের হয়ে থাকে। এহসান হাবীবও এর ব্যতিক্রম হয়নি। আমরা তার জন্য দোয়া করি ও দেশবাসির কাছে দোয়া চাই তাকে আল্লাহ তায়ালা ইসলাম, দেশ, জাতি ও মানবতার খাদেম হিসেবে কবুল করেন।

আরও খবর

Sponsered content

Powered by