বাংলাদেশ

‘সামনে সত্যিকার বড় পরীক্ষায় পড়বে বাংলাদেশ’

  প্রতিনিধি ১১ জানুয়ারি ২০২৪ , ৩:৫৮:৪০ প্রিন্ট সংস্করণ

‘সামনে সত্যিকার বড় পরীক্ষায় পড়বে বাংলাদেশ’

বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দল নির্বাচন বয়কট করায় ‘বিতর্কিত’ দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে বিপুল জয়ের মাধ্যমে আবারও ক্ষমতায় এসেছে বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ। 

আওয়ামী লীগ ২৯৮ আসনের মধ্যে ২২২টি আসনে জিতেছে। সবচেয়ে বড় বিরোধী দল— জাতীয় পার্টি মাত্র ১১টি আসনে জয়লাভ করেছে। স্বতন্ত্র প্রার্থীদের মধ্যে বেশিরভাগই ছিলেন আওয়ামী লীগের রাজনীতিবিদ, যারা নিজেদের দলের টিকিট পাননি। তারা ৬১টি আসনে জয়ী হয়েছেন।

ফল স্পষ্ট হলেও আগামী কয়েক দিন, সপ্তাহ আর মাস বাংলাদেশকে সত্যিকারের বড় পরীক্ষার মধ্য দিয়ে যেতে হবে। এই সময়ের মধ্যে দেশটির সরকার কেমন আচরণ করে তার প্রভাব পড়বে দেশটির প্রতিবেশীদের এবং ভারতের মতো বন্ধু দেশের ওপরও।

বাংলাদেশের দ্বাদশ নির্বাচন নিয়ে দ্য টেলিগ্রাফের বিশ্লেষণে এসব কথা বলা হয়েছে।  

৪০ শতাংশের স্বল্প ভোটারের উপস্থিতি এটাই বলছে যে, ভোটকেন্দ্রে না যাওয়ার জন্য ভোটারদের প্রতি বিএনপির আহ্বান কাজ করেছে। এটিই প্রথম নয় যে বাংলাদেশের মানুষ আওয়ামী লীগ (১৯৯৬ সালে) কিংবা বিএনপি (২০১৪) দ্বারা বয়কট করা নির্বাচনে কম ভোটদানের হার দেখেছে। 

তবে ভোটারদের অসন্তুষ্টির অন্যান্য লক্ষণও রয়েছে— সাম্প্রতিক মাসগুলোতে দেশজুড়ে ব্যাপক প্রতিবাদ হয়েছে। রাজনৈতিক প্রতিপক্ষ এবং অন্যান্য সমালোচকের ওপর আওয়ামী লীগ সরকারের দমন-পীড়ন আন্তর্জাতিক অধিকার গোষ্ঠীগুলোর নিন্দার মুখে পড়েছে। যুক্তরাষ্ট্র এবং তার পশ্চিমা মিত্ররা বাংলাদেশের ক্ষমতাসীন এস্টাবলিশমেন্টের বিরুদ্ধে সম্ভাব্য নিষেধাজ্ঞা বা অন্যান্য কঠোর পদক্ষেপের বিষয়ে সতর্ক করেছে।

নয়াদিল্লির পুরনো বন্ধু আওয়ামী লীগের (ক্ষমতায়) ফিরে আসা ভারতের কৌশলগত স্বার্থের পক্ষে গেলেও সাম্প্রতিক বছরগুলোতে চীনের সঙ্গে বাংলাদেশের সম্পর্ক উল্লেখযোগ্যভাবে মজবুত হয়েছে।

যাই হোক, নির্বাচনি প্রক্রিয়া শেষ হওয়ার সঙ্গে সঙ্গে বাংলাদেশ ও ভারত উভয়ের স্বার্থে দেশের নতুন প্রশাসনকে অবশ্যই গত কয়েক মাসের ক্ষত সারাতে এবং রাজনৈতিক প্রতিপক্ষের কাছে পৌঁছাতে পদক্ষেপ নিতে হবে। ভয়ের পরিবেশ সরিয়ে ফেলতে হবে, যার জেরে বিরোধী দলের অনেক সদস্য আত্মগোপনে রয়েছেন।

বিরোধীদেরও রাজনৈতিকভাবে পুনরায় যুক্ত হওয়ার জন্য গঠনমূলক উপায় খুঁজে বের করতে হবে। এসব কিছুই বাংলাদেশের গণতন্ত্রের বিশ্বাসযোগ্যতার জন্য অত্যাবশ্যক। এটা অপরিহার্য, কারণ সাম্প্রতিক মাসগুলোতে বাংলাদেশে যে ক্ষোভ প্রকাশ পেয়েছে, সেটা এমনভাবে বিস্ফোরিত হতে পারে, যা নিয়ন্ত্রণের বাইরে চলে যেতে পারে। 

বন্ধু হিসেবে ভারতকে অবশ্যই ঢাকাকে পদক্ষেপ নেওয়ার ওপর জোর দিতে হবে, যাতে বাংলাদেশের ভবিষ্যৎ হুমকির মুখে না পড়ে। স্বাধীন দেশ হিসেবে ৫২ বছরে বাংলাদেশ গর্ব করার মতো অনেক কিছু অর্জন করেছে। এখন ঢাকার সেই অর্জনগুলোকে একীভূত করার সময়।

আরও খবর

Sponsered content

Powered by