আইন-আদালত

সামিউল হত্যা: মা ও পরকীয়া প্রেমিকের মৃত্যুদণ্ড

  প্রতিনিধি ২০ ডিসেম্বর ২০২০ , ২:২২:২৪ প্রিন্ট সংস্করণ

ভোরের দর্পণ ডেস্ক:

পরকীয়ার বলি শিশু খন্দকার সামিউল আজিম ওয়াফি (৫) হত্যা মামলায় দু’জনকে মৃত্যুদণ্ড দিয়েছেন আদালত। রোববার (২০ ডিসেম্বর) ঢাকার বিশেষ জজ-৪ শেখ নাজমুল আলম এ রায় দেন।

দণ্ডপ্রাপ্ত দুই আসামি হলেন, শিশু সামিউলের মা আয়েশা হুমায়রা এশা ও এশার প্রেমিক শামসুজ্জামান আরিফ ওরফে বাক্কু (৪৩)। এছাড়াও দুজনকে পাঁচ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়।

রায় ঘোষণার সময় দু’জনই পলাতক ছিলেন। জামিনে থাকা এশা গত ২৩ নভেম্বরের পর আর আদালতে হাজির হননি। ওইদিনই আদালত জামিন বাতিল করে তার বিরুদ্ধে গ্রেফতারি পরোয়ানা জারি করেছেন। আর এশার প্রেমিক শামসুজ্জামান আরিফ ওরফে বাক্কু (৪৩) আগে থেকেই পলাতক ছিলেন।

এর আগে গত ৮ ডিসেম্বর মামলাটির রায় ঘোষণার জন্য দিন ধার্য ছিল। কিন্তু সেদিন রায় প্রস্তুত না হওয়ায় বিচারক রোববার (২০ ডিসেম্বর) নতুন দিন ধার্য করেছিলেন।

মামলার অভিযোগে বলা হয়, ২০১০ সালের ২৩ জুন পরকীয়া প্রেমিক শামসুজ্জামান আরিফ ওরফে বাক্কুর সঙ্গে মায়ের অনৈতিক ঘটনা দেখে ফেলায় সামিউলকে শ্বাসরোধ করে তাকে হত্যা করা হয়। এরপর লাশ গুম করতে ফ্রিজে ঢোকানো হয়। পরে লাশটি বস্তায় ঢুকিয়ে ২০১০ সালের ২৪ জুন রাস্তায় ফেলে দেওয়া হয়। একইদিন আদাবরের নবোদয় হাউজিং এলাকা থেকে সামিউলের বস্তাবন্দি লাশ উদ্ধার করা হয়।

ওই ঘটনায় নিহত শিশুর পিতা কে এ আজম বাদী হয়ে ওইদিন আদাবর থানায় একটি হত্যা মামলা দায়ের করেন। মামলায় সামিউলের মা এশা এবং বাক্কু উভয়েই হত্যাকাণ্ডে জড়িত থাকার বিষয়ে আদালতে স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি প্রদান করেন।

২০১২ সালের ২৫ অক্টোবর মামলার তদন্ত কর্মকর্তা আদাবর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) কাজী শাহান হক এশা ও বাক্কুর বিরুদ্ধে আদালতে অভিযোগপত্র দাখিল করেন। ২০১২ সালের ১ ফেব্রুয়ারি আদালত আসামিদের বিরুদ্ধে অভিযোগ গঠন করেন। মামলায় এ পর্যন্ত ২২ জনের সাক্ষ্য নেয়া হয়েছে।

আরও খবর

Sponsered content

Powered by