দেশজুড়ে

সীতাকুণ্ডে জমে উঠেছে কোরবানীর পশুর হাট , মানা হচ্ছেনা প্রশাসনের দেওয়া ১৫ নির্দেশনা 

  প্রতিনিধি ১৯ জুলাই ২০২১ , ৬:২৮:৩৬ প্রিন্ট সংস্করণ

কামরুল ইসলাম দুলু.সীতাকুণ্ড (চট্টগ্রাম):
কোরবানী ঈদের বাকী আর মাত্র একদিন। তাই নিজেদের পছন্দের পশু কেনার জন্য সবাই ভীড় করছে বাজারে। শেষ মুহুর্তে সীতাকুণ্ডের বিভিন্ন কোরবানীর হাট বাজার বেশ জমে উঠেছে। উপজেলার ১৪টি পশুর হাটে বসেছে। উপজেলায় স্থায়ী ৪ বাজারের সাথে নানা স্থানে ছোট-বড় আরো ১০ হাট গড়ে উঠেছে। এরই মধ্যে বেচাকেনা চলছে পুরোদমে।
ঈদুল আজহা উপলক্ষে সীতাকুণ্ড উপজেলায় স্থায়ী অস্থায়ী মিলে ১৪ টি কোরবানীর পশুর হাটের অনুমোদন দেওয়া হয়েছে উপজেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে । তার মধ্যে ৪ টি স্থায়ী এবং ১০ টি অস্থায়ী। অস্থায়ী হাটগুলো হচ্ছে, ১ নং সৈয়দপুর ইউনিয়নে শেখের হাট, তোহর আলী ভূঁইয়ার হাট, মিয়াজন ভূঁইয়ার হাট, ২নং বারৈয়ারঢালা ইউনিয়নে ছোট দারোগারহাট, বাড়বকুণ্ড স্কুল মাঠ, বাশঁবাড়িয়া ইউনিয়ন পরিষদ মাঠ, সোনাইছড়ির শীতলপুরস্থ মদনহাট, ভাটিয়ারী উত্তর বাজার, মাদামবিবির হাট স্কুল মাঠ, ফৌজদারহাট সলিমপুর সিডিএ এলাকা।
স্থায়ী হাটগুলো হচ্ছে বড় দারোগারহাট, সীতাকুণ্ড পৌরসভাস্থ ঢেবার পাড়, পৌরসভাস্থ ফকিরহাট এবং কুমিরা হাট। এদিকে করোনাভাইরাস সংক্রামণের কারণে আসন্ন ঈদুল আজহায় স্বাস্থ্যবিধি মেনে পশুর হাট চালাতে ১৫ নির্দেশনা দিয়েছেন উপজেলা প্রশাসন। বিভিন্ন হাট ঘুরে দেখ গেছে প্রশাসনের দেওয়া ১৫ টি নির্দেশনার কোনটাই মানা হচ্ছে না। সামাজিক দুরত্বের বলাই নেই। মাস্ক ব্যবহার নেই, হাটে প্রবেশ আর বাহির আলাদা গেইট থাকার নিয়ম থাকলেও তা করা হয়নি, প্রবেশমুখে পানির ট্যাংক, বেসিন, সাবান ও হ্যান্ড স্যানিটাইজারের ব্যবস্থা রাখার কথা বলা হলেও কোন হাটে তা চোখে পড়েনি।
এদিকে গরু কিনতে গিয়ে অনেকে বলছেন গরুর দাম বেশি আবার বিক্রেতারা বলছেন দাম তেমন বেশি না। সীতাকুণ্ডের বিভিন্ন বাজার ঘুরে দেখা গেছে দেশীয় গরুর বেচাকেনা চলছে। বিক্রেতারা জানালেন এবার বাহির থেকে কোন গরু সীতাকুণ্ডের বাজারে আসেনি।
এদিকে ক্রেতারাও চাইছেন, শেষ সময়ে এসে সাধ্যের মধ্যে ভালো পশুটা কিনতে। হাট ঘুরে দেখা গেছে, দাম কম-বেশি নিয়ে ক্রেতা-বিক্রেতাদের মধ্যে অভিযোগ-অনুযোগ থাকলেও দাম একেবারে খুব বেশি এমনটা এখনো অভিযোগ পাওয়া যায়নি। ক্রেতার উপস্থিতি কম, তবে যারাই আসছেন তার মধ্যে অনেকেই গরু কিনে নিয়ে যাচ্ছেন। তবে ছোট গরুর দাম কিছুটা বেশি বলে জানান অনেকেই।

আরও খবর

Sponsered content

Powered by