দেশজুড়ে

সীতাকুণ্ডে ‘ব্ল্যাক সোলজার ফ্লাই’ তৈরী করে চমকে দিয়েছে খোরশেদ আলম

  প্রতিনিধি ২৩ জানুয়ারি ২০২২ , ৭:২৫:৪১ প্রিন্ট সংস্করণ

কামরুল ইসলাম দুলু, (সীতাকুণ্ড) চট্টগ্রাম:

মাছ ও হাঁস-মুরগীর বিকল্প খাদ্য উৎপাদনে ব্যতিক্রম উদ্যোগ নিয়েছে চট্টগ্রামের সীতাকুণ্ড উপজেলার যুবক মোঃ খোরশেদ আলম। তিনমাস আগে থেকে তিনি শুরু করেন ব্ল্যাক সোলজার ফ্লাই নামে বিদেশি এক পোকার খামার। সেই পোকাই বর্তমানে মাছ, মুরগির ও পাখির খাবার হিসেবে ব্যবহৃত হচ্ছে।

খোরশেদ রংপুর থেকে নিয়ে আসা মাত্র পাঁচ কেজি ব্ল্যাক সোলজার ফ্লাই দিয়ে খামার শুরু হলেও মাত্র তিন মাসে লার্ভা, মাতৃপোকা ও জৈবসারের পরিমাণ দাঁড়িয়েছে দুই হাজার কেজি। ইউটিউবে দেখে তিনি এই ব্যতিক্রম খামার গড়ার স্বপ্ন বোনেন। ব্ল্যাক সোলজার ফ্লাই বা প্যারেট পোকায় রয়েছে ৪০ শতাংশ প্রোটিন ও ২০ শতাংশ ফ্যাট।

একটি স্ত্রী পোকা প্রতি মাসে ৫০০ থেকে ৬০০টি ডিম দিতে পারে। ডিম থেকে লার্ভা জন্ম নেয়ার পর ২১ দিনে পোকা পরিপূর্ণ হলে তা মাছ, মুরগির ও পাখি খাবার হিসেবে ব্যবহৃত হয়। যা প্রোটিন যুক্ত খাদ্য হিসাবে ব্যবহার করা যায়। উপজেলার বাড়বকুণ্ড ইউনিয়নের ৪নং ওয়ার্ডের কানু মেম্বার বাড়ির মৃত শাহ আলমের পুত্র খোরশেদ আলম জানান, বিদেশে অনেক আগে থেকেই পোল্ট্রি খাদ্য হিসেবে ব্যবহৃত হচ্ছে ব্ল্যাক সোলজার ফ্লাই।

বাংলাদেশে প্রচলন শুরু হলে এ পোকার মাধ্যমে পোল্ট্রি শিল্পে বৈপ্লবিক পরিবর্তন ঘটবে- এমনটাই মনে করেন তিনি। ময়লা-আবর্জনা, তরকারির অবশিষ্টাংশ, মুরগির বিষ্ঠা ও খৈলের সংমিশ্রণে দুর্গন্ধযুক্ত খাদ্যে তৈরি হয় ‘ব্ল্যাক সোলজার ফ্লাই’। প্রত্যেক ফ্লাই ৯০০ থেকে ১ হাজার পিউপা দিয়ে মারা যায়। এসব পিউপা একটি পাত্রে নিয়ে দুর্গন্ধযুক্ত খাবারে রাখা হয়। ১৪-১৬ দিনের মধ্যে এসব পিউপা থেকে জন্ম নেয় প্যারোট পোকা। অল্প খরচে এই পোকা উৎপাদন করে হাঁস-মুরগি ও মাছের খাবারের চাহিদা মেটানো সম্ভব।

এতে খামারিদের বেশি দামে বাজার থেকে ফিড কিনতে হবে না। তারা নিজেরাই পোকা উৎপাদন করতে পারবেন। ‘ব্ল্যাক সোলজার ফ্লাই’ থেকে প্যরোট পোকা উৎপাদন বৃহৎ আকার ধারণ করলে এটি এক দিকে যেমন অনেক মানুষের কর্মসংস্থান তৈরি হবে অন্যদিকে হাঁস-মুরগি ও মাছের খাদ্য।

আরও খবর

Sponsered content

Powered by