রাজশাহী

২বছর ধরে উদ্বোধনের অপেক্ষায় সিরাজগঞ্জের শেখ হাসিনা ট্রমা হাসপাতাল

  প্রতিনিধি ৩১ মে ২০২২ , ৭:২৪:২৫ প্রিন্ট সংস্করণ

এস,এম আল আমিন, সিরাজগঞ্জ প্রতিনিধি:

সিরাজগঞ্জ মহাসড়ক দূর্ঘটনা প্রবন হওয়ার কারনে ২০২০ সালে নির্মাণ করা হয় শেখ হাসিনা ট্রমা হাসপাতাল। কিন্তু নির্মাণের প্রায় ২ বছর হলেও এখনো চালু হয়নি হাসপাতালটি। আর কবে নাগাত হাসপাতালটি চালু হবে তাও নিশ্চিত করে বলতে পারছে না কেউ। যার কারনে একদিকে যেমন স্বাস্থ্য সেবা থেকে বঞ্চিত হচ্ছে দূর্ঘটনা কবলিতরা অন্যদিকে সরকারের প্রায় ১১ কোটি টাকায় নির্মিত হাসপাতালটি পরে রয়েছে অযন্তে অবহেলায়। স্থানীয়দের দাবী দ্রুত চালু করা হোক হাসপাতালটি।

সিরাজগঞ্জে বঙ্গবন্ধু সেতু পশ্চিম মহাসড়কে প্রায়ই সড়ক দূর্ঘটনার কারনে বিভিন্ন ভাবে ক্ষতিগ্রস্থ হচ্ছেন পথচারী-যাত্রী-চালকরা। সরকারী জরিপ অনুযায়ী গত পাঁচ বছরে এই মহাসড়কে সড়ক দুর্ঘটনায় প্রান হারিয়েছেন ২২১ জন আর আহত হয়েছেন প্রায় ২’শ জন। তবে বেসরকারী হিসাবে এর পরিমান আরো বেশি।

এ সকল বিষয় ভেবে ২০১৮ সালে উত্তরবঙ্গের প্রবেশদার সিরাজগঞ্জের মুলিবাড়ীতে নির্মান কাজ শুরু হয় শেখ হাসিনা ট্রমা হাসপাতালের। নির্দিষ্ট সময় শেষে ২০২০ সালের ১লা নভেম্বরে ১০ কোটি ৭৯ লক্ষ ৩৪ হাজার ৮শ ৬৯ টাকা ব্যয়ে নির্মাণ শেষে হাসতাপালটি হস্তান্তর করা হয় স্বাস্থ্য প্রকৌশলী অধিদপ্তরের কাছে। কিন্ত নির্মান শেষে হাসপাতালটি উদ্ভোধনের অপেক্ষায় রয়েছে দীর্ঘ দুই বছর ধরে। স্থানীয়দের দাবী হাসপাতালটি চালু হলে দূর্ঘটনায় পড়া মানুষদের দ্রুত চিকিৎসা সেবার আওতায় এনে মৃত্যুঝুকি কমানো সম্ভব। এছাড়াও হাসপাতালটি প্রয়োজনিয় যন্ত্রপাতি ও লোকবল না থাকায় অযতেœ পড়ে থাকায় নষ্ট হচ্ছে স্থাপনা সহ বিভিন্ন মালামাল। স্থানীয়জন প্রতিনিধি ও সাধারন মানুষের দাবী দ্রুত চালু করা হোক হাসপাতালটি।

মহাসড়কে দূর্ঘটনা হবার কারন হিসাবে বেপরোয়া গাড়ি চালানো ও ট্রাফিক নিয়ম না মানাই মূল কারন বলে দেখছেন হাইওয়ে পুলিশ। সিরাজগঞ্জ হাটিকুমরুল হাইওয়ে থানা ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা লুৎফর রহমান জানান, এই মহাসড়কটি দূর্ঘটনা প্রবণ এলাকা। এখানে প্রায়শই ঘটছে দূর্ঘটনা। সবাই যদি আমরা নিজে থেকে সচেতন হই, যার যার জায়গা থেকে যদি সঠিক ভাবে ট্রাফিক আইন মেনে চলি তাহলে দূর্ঘটনা এড়ানো সম্ভব।

এ বিষয়ে স্থানীয় সংসদ সদস্য অধ্যাপক ডাঃ হাবিবে মিল­াত জানান, হাইওয়ে পাশেই আমাদের রয়েছে শেখ হাসিনা ট্রমা হাসপাতাল। এটি চালু করা হলে দূর্ঘটনা কবলিতদের তাৎক্ষনিক সেবা নিশ্চিত করা সম্ভব। অনেক ক্ষেত্রে দ্রুত রক্তক্ষরণ জনিত কারণে রোগী মারা যায়, সেই দৃষ্টি থেকে তাৎক্ষনিক চিকিৎসার মাধ্যমে রক্তক্ষরন বন্ধ করা সম্ভব হলে রোগীর মৃত্যুহার টা কমে যাবে পাশাপাশি অঙ্গহানি রোধ করাও সম্ভব।
তিনি আরো জানান, শেখ হাসিনা ট্রমা সেন্টার টি নিয়ে মন্ত্রণালয়ে যোগাযোগ করা হচ্ছে। দ্রুত এটি চালু করা হবে বলে আমাদের আশ্বাস দেওয়া হয়েছে।

স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের মহাপরিচালক অধ্যাপক ডাঃ আব্দুল বাসার মোহাম্মদ খুরশীদ আলম জানান, আমাদের কিছুটা ত্র“টি ছিলো যার কারনে এটি চালু করতে পারিনি। তবে কবে নাগাদ হাসপাতালটি চালু হবে সেটি নিশ্চিত করে বলতে না পারলেও হাসপাতাল চালু করার জন্য উদ্দ্যেগ নেওয়ার কথা বলেন তিনি।

জনপ্রতিনিধি, সাধারন জনগন এবং স্থানীয়রা কেউই নিশ্চিত করে বলতে পারছে না আর কতদিন এ অপেক্ষার প্রহর গুনতে হবে। কতদিন রাস্তায়ই মারা যাবে দূর্ঘটনা কবলিতরা?

আরও খবর

Sponsered content

Powered by