প্রতিনিধি ৪ জুলাই ২০২০ , ৮:০০:৪৭ প্রিন্ট সংস্করণ
চট্টগ্রাম ব্যুরো: চট্টগ্রাম মহানগরীর একটি বালিকা বিদ্যালয়ের সামনে ছাত্রী ও অভিভাবক নারীদের শরীরের আপত্তিকর অংশ ভিডিওতে ধারণ করে তা দীর্ঘদিন ধরে ফেসবুকে প্রচার করে আসছিল বিকৃত রুচির এক যুবক। এ নিয়ে ফেসবুকে ব্যাপক আলোচনা-সমালোচনার ঝড় উঠার পর অবশেষে গোয়েন্দা পুলিশ মো. গোলাম মোক্তাদির (২৫) নামে ওই যুবককে গ্রেফতার করেছে। গত শুক্রবার বিকেলে জেলার সীতাকুণ্ড সদরের উত্তর বাজার এলাকা থেকে এ যুবককে আটক করা হয় বলে ডিবি পুলিশ জানায়। সেখানে একটি প্রকল্পে কাজ করতো আটক মুক্তাদির। তার বাড়ী গাইবান্ধা জেলার গোবিন্দগঞ্জ থানার সাপমারা গ্রামে। বাবার নাম আবদুল মান্নান মণ্ডল। গোয়েন্দা পুলিশ জানায়, গত ৬ মাস আগে চট্টগ্রামের জিইসি মোড় সংলগ্ন একটি কন্সট্রাকশন ফার্মে চাকুরীসূত্রে গোলাম মোক্তাদির চট্টগ্রামে আসে। পরবর্তীতে সে নিজস্ব মোবাইলের মাধ্যমে বিশেষ সফটওয়্যার ব্যবহার করে গোপনে নগরীর জিইসি, বাওয়া স্কুল, সেন্ট্রাল প্লাজা, সী বীচ সহ নগরীর বিভিন্ন এলাকায় চলাচলরত মহিলাদের কুরুচিপূর্ণ ভিডিও ধারণ করে এবং তা ফেসবুক পেইজে কুরুচিপূর্ণ ক্যাপশন সহ আপলোড করে। আটকের পর পুলিশ তার মোবাইল ফোন ও বাসার ল্যাপটপ জব্দ করেছে। সেখান থেকে অন্তত ৩০০ ভিডিও খুঁঁজে পেয়েছে গোয়েন্দা পুলিশ। সিএমপির অতিরিক্ত উপ-কমিশনার আসিফ মহিউদ্দিন, দীর্ঘদিন ধরে এ যুবক নগরীর দামপাড়া বাওয়া স্কুলের সামনে অপেক্ষামান নারী অভিভাবক ও স্কুল ও কলেজ ছাত্রীদের অজান্তে গোপনে ভিডিও ধারণ করে আসছিল। তা পরে তার একটি ফেসবুক পেইজে আপত্তিকর ও অশ্লীল ক্যাপশন দিয়ে ছেড়ে দিত। এনিয়ে বেশ কিছুদিন ধরে অভিযোগ আসার পর আমরা গোয়েন্দা দিয়ে এই ছেলের বিষয়ে তদন্ত শুরু করি। পরে আজ তাকে গ্রেফতার করা হয়েছে। গ্রেফতারকৃত মো. গোলাম মোক্তাদির নামে এ যুবক পেশায় ডিপ্লোমা ইঞ্জিনিয়ার জানিয়েছে। সে মূলত একজন বিকৃত রূচির যুবক। সে নগরীর বিভিন্ন স্কুল কলেজের সামনে ঘুরে ঘুরে গোপনে ছোট ক্যামেরা ও মোবাইল ফোন দিয়ে নারীদের শরীরের স্পর্শকাতর অংশ ভিডিও করতো। পরে তা “আড্ডা” নামে একটি ফেসবুক পেইজে ছাড়তো। এই পেইজের এডমিনও সে। পেইজেটিতে গিয়ে দেখা গেছে এতে প্রায় ৩০ হাজার ৭৫৯ জন সদস্য রয়েছে। গ্রেফতারের পর গোয়েন্দা কার্যালয়ে মোক্তাদিরের জিজ্ঞাসাবাদ চলছে, তার বিরুদ্ধে ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনে মামলা দায়ের হবে বলে পুলিশ জানায়।