প্রতিনিধি ২৪ এপ্রিল ২০২০ , ৮:৫২:১৬ প্রিন্ট সংস্করণ
এসএম ওমর আলী সানি, আগৈলঝাড়া (বরিশাল) : বরিশালের আগৈলঝাড়ায় চলতি বারো মৌসুমে ফসলের বাম্পার ফলন হলেও করোনা ভাইরাস মোকাবেলায় লকডাউনের কারনে ধান কাটা শ্রমিক সংকটে উঠতি ফসল ঘরে তোলা নিয়ে চরম হতাসায় ও উৎকন্ঠার মধ্যে রয়েছে চাষিরা। সরকারী ব্যবস্থাপনায় শ্রমিকদের ধান কাটাতে আগৈলঝাড়ায় আসার ব্যবস্থা গ্রহন করেছে উপজেলা কৃষি বিভাগ।
বরিশাল জেলার আগৈলঝাড়া উপজেলা কৃষি অফিসার মো. নাসির উদ্দিন জানন, উপজেলার আবহাওয়া অনুকুলে থাকায় চলতি বছর ধানের বাম্পার ফলন হয়েছে। চলতি বোরো মৌসুমে উপজেলার পাঁচটি ইউনিয়নে মোট ৯ হাজার ৫শ হেক্টর জমি ইরি–বোরো চাষের লক্ষ্যমাত্রা থাকলেও আবাদ হয়েছে ৯ হাজার ৪শ ৫০হেক্টর। উপজেলায় ৮ হাজার ৮শ ৫০ হেক্টর জমিতে হাইব্রীড ধান ও ৬শ হেক্টর জমিতে উচ্চ ফলনশীল (উফসী) বোরো ধান চাষ হয়েছে। উপজেলায় উৎপাদনের লক্ষমাত্রা নির্ধারন ছিল ৪৯হাজার ৮শ ৮মেট্রিক টন চাল। এবছর বাম্পর ফলন হওয়ায় লক্ষ্যমাত্রার চেয়ে বেশী ধান উৎপাদন হয়েছে বলে দাবি করেন তিনি।
উপজেলা উপ–সহকারী উদ্ভিদ সংরক্ষণ কর্মকর্তা সুভাষ চন্দ্র মন্ডল জানান, বৃহস্পতিবার উপজেলার রাজিহার গ্রামের কৃষক জেমস মৃদুল হালদারের ব্রি–ধান ৫৮ এর বীজ উৎপাদন প্রদর্শনী ক্রপ কাটিং করা হয়েছে। ওই ক্রপ কাটিংএ হেক্টর প্রতি সাড়ে ৭ মেট্টিক টন ধান উৎপাদন হয়েছে । এটাকে বাম্পার ফলোন বলাহয়।
কৃষি কর্মকর্তা মো. নাসির উদিদ্দন জানান, প্রধানমন্ত্রীর নির্দেশ অনুযায়ি সরকারী ব্যবস্থাপনায় অন্যান্য বছরের মতো দেশের বিভিন্ন জেলা থেকে ধান কাটতে এবছরও শ্রমিকেরা আগৈলঝাড়ায় আসতে পারবেন। সেক্ষেত্রে ধান কাটতে ইচ্ছুক শ্রমিকেরা তাদের নিজেদের উপজেলা কৃষি অফিসের মাধ্যমে আগৈলঝাড়া উপজেলায় ধান কাটতে আসার প্রত্যয়নপত্র গ্রহন করতে হবে। ওই প্রত্যয়নপত্র সাথে নিয়ে শ্রমিকেরা তাদের নিজস্ব ব্যবস্থাপনায় অথবা কণ্টাক্ট মালিকের ব্যবস্থাপনায় আগৈলঝাড়ায় আসতে পারবেন।
ধান কাটতে আগত শ্রমিকদের করোনা ঝুঁকি এড়িয়ে স্বাস্থ্য সুরক্ষায় থাকার জন্য বন্ধ স্কুলগুলো ব্যবহার করার জন্য স্ব–স্ব চেয়ারম্যানদের নির্দেশনা দেয়া হয়েছে। পাশাপাশি শ্রমিকদরে স্বাস্থ্য সুরক্ষায় প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহন করে মনিটরিং এর জন্য উপ–সহকারী কৃষি কর্মকর্তা, পুলিশ বাহিনীর সদস্য ও চেয়ারম্যান ও ইউপি সচিবদের পদক্ষেপ নেয়ার ব্যবস্থা গ্রহন করা হয়েছে।
আগৈলঝাড়া উপজেলায় ধান কাটা শ্রমিকের চাহিদা রয়েছে ৩ হাজার ৫শ জন। ইতোমধ্যেই ৫শ শ্রমিক দঅন কাটার জন্য এলাকায় এসে পৌঁছেছে। আগামী সপ্তাহ থেকে ফসল কাটার ভরা মৌসুম শুরু হবে। আগামী সপ্তাহে ভরা মৌসুম শুরুর মধ্যেই কৃষকের চাহিদানুযায়ি শ্রমিক পাওয়া যাবে বলেও আশাবাদ ব্যক্ত করেন তিনি।