অনির্দিষ্টকালের জন্য জ্বালানি তেল উত্তোলন বন্ধ খুলনায়

ভোরের দর্পণ ডেস্কঃ

খুলনায় জ্বালানি তেল বিক্রির কমিশন, ট্যাংকলরির ভাড়া বৃদ্ধিসহ তিনদফা দাবিতে অনির্দিষ্টকালের ধর্মঘট পালন করছেন জ্বালানি তেল ও ট্যাংকলরি মালিকরা।

আজ মঙ্গলবার (৩০ আগস্ট) সকাল ৮টা থেকে খুলনার পদ্মা, মেঘনা ও যমুনা অয়েল ডিপো থেকে জ্বালানি তেল উত্তোলন এবং ১৪ জেলায় সরবরাহ বন্ধ রয়েছে।

বাংলাদেশ ট্যাংকলরি অনার্স অ্যাসোসিয়েশন, বাংলাদেশ জ্বালানি তেল পরিবেশক সমিতিসহ চারটি সংগঠন এই ধর্মঘট পালন করছে।

বাংলাদেশ ট্যাংকলরি ওনার্স এসোসিয়েশনের সাধারণ সম্পাদক মো. ফরহাদ হোসেন এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন। তিনি বলেন, জ্বালানি তেলের কমিশন বৃদ্ধি, ট্যাংকলরি ভাড়া বৃদ্ধিসহ তিন দফা দাবি জানিয়ে আসছি। অথচ সোমবার রাতে তেলের দাম কমানোর পাশাপাশি আমাদের কমিশন ও ট্যাংকলরি ভাড়া কমানো হয়েছে। এর প্রতিবাদে আজ সকাল ৮টা থেকে তেল উত্তোলন বন্ধ রেখেছে ব্যবসায়ীরা।

জ্বালানি তেল পরিবেশক সমিতির খুলনা বিভাগীয় কমিটির সিনিয়র সহ-সভাপতি মোড়ল আব্দুস সোবাহান বলেন, ব্যবসা করার কোনো পরিবেশ নেই। এখনই ৮-৯টি প্রতিষ্ঠানের লাইসেন্স নেওয়া লাগছে। আরো অনেকেই লাইসেন্স নিতে বলছেন। এতো লাইসেন্স কেন প্রয়োজন, কী কাজে লাগবে? এছাড়া তেলের কমিশন বাড়ানো এবং ট্যাংকলরি ভাড়া বাড়ানোর দাবি জানিয়ে আসছি আমরা। অথচ তেলের দাম যখন বাড়লে তখন কমিশন সেই পর্যায়ে বাড়ানো হয়নি। অথচ ৫ টাকা দাম কমানোর সাথে কমিশন ও ট্যাংকরি ভাড়া কমানো হয়েছে। সরকারের নীতি নির্ধারক পর্যায় কী করছে, কী ভাবছে আমাদের বোধগম্য নয়।

বাংলাদেশ ট্যাংকলরি ওনার্স এসোসিয়েশনের সভাপতি সাজ্জাদুল ইসলাম কাবুল বলেন, তিন দফা দাবি জানিয়ে আমরা কর্মসূচি ঘোষণা দিয়েছিলাম। আমাদের দাবির বিষয়ে সুরহা হবে এমন কথা বলা হয়। অথচ রাতে দেখলাম কমিশন বাড়ানোর স্থানে উল্টো কমানো হয়েছে। সেইসাথে ট্যাংকলরি ভাড়া কমানো হয়েছে। সকালে খুলনার ডিপো থেকে তেল উত্তোলন বন্ধ রেখে ধর্মঘট পালন করছে ব্যবসায়ীরা। অনির্দিষ্টকালে জন্য এই ধর্মঘট চলবে।